ঢাকা ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অর্থ বরাদ্দে আটকা জবির দ্বিতীয় ক্যাফেটেরিয়া ! ভোগান্তিতে ১৮ হাজার শিক্ষার্থী

আরাফাতুল হক চৌধুরী, জবি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য একটা মাত্র ক্যাফেটেরিয়া। গত সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটক সংলগ্ন একটি উন্নত মানের ক্যাফেটেরিয়া (ফুড কোর্ট) গড়ে তোলা হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী বলেছেন, প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের অভাবে এখনো কাজ শুরু করা যায়নি। একটিমাত্র ক্যাফেটেরিয়া থাকায় অনেক সময় শিক্ষার্থীরা আসার আগেই ফুরিয়ে যায় খাবার। যার ফলে ক্যাফেটেরিয়ায় খাবার না পেয়ে অনেকেই বাধ্য হয়ে খাবার খান বাইরের হোটেলগুলোতে। এতে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে ও খাবার খেতে গিয়ে উচ্চমূল্য পরিশোধ করতে হচ্ছে।
জানা যায়, আগে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ চত্বরে ছোট একটা খাবারের দোকান থাকলেও সেটাও নেই এখন। সেটা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে প্রায় ৩ বছর হতে চললো। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, কলা অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদসহ সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবারের জন্য এই একটা ক্যাফেটেরিয়াই ভরসার স্থান। এখন ক্যাফেটেরিয়ায় সকালে পাওয়া যায় ডাল, পরোটা, হালুয়া। দুপুরে ভাত, মাছ, ডিম, ভর্তা, মুরগি, তেহারি। বিকালে ছোলা বুট, পুরি, ডাল। খাবারের দাম ও মান নিয়ে রয়েছে শিক্ষার্থীদের নানান প্রশ্ন।ক্যাফেটেরিয়ায় একসঙ্গে ৫০ থেকে ৬০ জনের বেশি শিক্ষার্থী বসে খেতে পারে না। ফলে দাঁড়িয়ে খাবার খেতে বাধ্য হচ্ছে অনেক শিক্ষার্থী। অনেক সময়  শিক্ষার্থীদের আসন দখল করে গ্রুপ স্টাডি ও আড্ডা দিতে দেখা যায়।
ক্যান্টিনে খেতে আসা মেহেদী হাসান শুভ নামে এক শিক্ষার্থী জানান, প্রায় সময় দেখা যায় শিক্ষার্থীরা ক্লাস শেষ করে এসে দেখে খাবার শেষ। প্রতিনিয়ত আমাদের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে আমাদের একটি ক্যাফেটেরিয়ার জায়গাও ছোট। যদি আরেকটি ক্যাফেটিরিয়া দ্রুত গড়ে তোলা হয় তাহলে আমাদের জন্য উপকার হবে।
এ বিষয়ে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম শাহারিয়ার বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান খুব একটা ভালো নয়। তবুও বাধ্য হয়ে আমরা এখান থেকেই খাই। কারণ এই একটি ক্যাফেটেরিয়া ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খাবার খাওয়ার জন্য আর কোনো জায়গা নেই ।এখানে খাবারের দামও বেশ চড়া। আমরা ঠিকমতো বসার জায়গাও পাই না। বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত আমাদের জন্য নতুন ক্যাফেটেরিয়া সহ খাবারের মান বৃদ্ধি করা। তাতে আমাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, নতুন ক্যাফেটেরিয়ার জন্য অত্যাধুনিক একটা নকশা ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। ফাইলটি অর্থ দপ্তরে পাঠানো হয়েছিলো কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকায় কাজটি শুরু করা যাচ্ছে না। পরবর্তীতে অর্থ বরাদ্দ হলে কাজটি শুরু করা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ড. জিএম আল-আমীন বলেন, এ নিয়ে একটা মিটিং হয়েছিল। আধুনিক ক্যাফেটেরিয়ার নকশাটি ইতোমধ্যে প্রস্তুত আছে। নতুন উপাচার্য সাথে আলোচনা করে যতদ্রুত সম্ভব অর্থ বরাদ্দ সহ নতুন ক্যাফেটেরিয়া নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০২:০০:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
৩০৩ বার পড়া হয়েছে

অর্থ বরাদ্দে আটকা জবির দ্বিতীয় ক্যাফেটেরিয়া ! ভোগান্তিতে ১৮ হাজার শিক্ষার্থী

আপডেট সময় ০২:০০:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য একটা মাত্র ক্যাফেটেরিয়া। গত সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটক সংলগ্ন একটি উন্নত মানের ক্যাফেটেরিয়া (ফুড কোর্ট) গড়ে তোলা হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী বলেছেন, প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের অভাবে এখনো কাজ শুরু করা যায়নি। একটিমাত্র ক্যাফেটেরিয়া থাকায় অনেক সময় শিক্ষার্থীরা আসার আগেই ফুরিয়ে যায় খাবার। যার ফলে ক্যাফেটেরিয়ায় খাবার না পেয়ে অনেকেই বাধ্য হয়ে খাবার খান বাইরের হোটেলগুলোতে। এতে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে ও খাবার খেতে গিয়ে উচ্চমূল্য পরিশোধ করতে হচ্ছে।
জানা যায়, আগে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ চত্বরে ছোট একটা খাবারের দোকান থাকলেও সেটাও নেই এখন। সেটা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে প্রায় ৩ বছর হতে চললো। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, কলা অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদসহ সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবারের জন্য এই একটা ক্যাফেটেরিয়াই ভরসার স্থান। এখন ক্যাফেটেরিয়ায় সকালে পাওয়া যায় ডাল, পরোটা, হালুয়া। দুপুরে ভাত, মাছ, ডিম, ভর্তা, মুরগি, তেহারি। বিকালে ছোলা বুট, পুরি, ডাল। খাবারের দাম ও মান নিয়ে রয়েছে শিক্ষার্থীদের নানান প্রশ্ন।ক্যাফেটেরিয়ায় একসঙ্গে ৫০ থেকে ৬০ জনের বেশি শিক্ষার্থী বসে খেতে পারে না। ফলে দাঁড়িয়ে খাবার খেতে বাধ্য হচ্ছে অনেক শিক্ষার্থী। অনেক সময়  শিক্ষার্থীদের আসন দখল করে গ্রুপ স্টাডি ও আড্ডা দিতে দেখা যায়।
ক্যান্টিনে খেতে আসা মেহেদী হাসান শুভ নামে এক শিক্ষার্থী জানান, প্রায় সময় দেখা যায় শিক্ষার্থীরা ক্লাস শেষ করে এসে দেখে খাবার শেষ। প্রতিনিয়ত আমাদের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে আমাদের একটি ক্যাফেটেরিয়ার জায়গাও ছোট। যদি আরেকটি ক্যাফেটিরিয়া দ্রুত গড়ে তোলা হয় তাহলে আমাদের জন্য উপকার হবে।
এ বিষয়ে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম শাহারিয়ার বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান খুব একটা ভালো নয়। তবুও বাধ্য হয়ে আমরা এখান থেকেই খাই। কারণ এই একটি ক্যাফেটেরিয়া ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খাবার খাওয়ার জন্য আর কোনো জায়গা নেই ।এখানে খাবারের দামও বেশ চড়া। আমরা ঠিকমতো বসার জায়গাও পাই না। বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত আমাদের জন্য নতুন ক্যাফেটেরিয়া সহ খাবারের মান বৃদ্ধি করা। তাতে আমাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, নতুন ক্যাফেটেরিয়ার জন্য অত্যাধুনিক একটা নকশা ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। ফাইলটি অর্থ দপ্তরে পাঠানো হয়েছিলো কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকায় কাজটি শুরু করা যাচ্ছে না। পরবর্তীতে অর্থ বরাদ্দ হলে কাজটি শুরু করা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ড. জিএম আল-আমীন বলেন, এ নিয়ে একটা মিটিং হয়েছিল। আধুনিক ক্যাফেটেরিয়ার নকশাটি ইতোমধ্যে প্রস্তুত আছে। নতুন উপাচার্য সাথে আলোচনা করে যতদ্রুত সম্ভব অর্থ বরাদ্দ সহ নতুন ক্যাফেটেরিয়া নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।