ঢাকা ০৮:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অসামাজিক কার্যকলাপে দুই শিক্ষককে গভীর রাতে আটক

মো: সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী

রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানাধীন মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ির পাশে সাবিনা কটেজ নামের বাসা হইতে গভীর রাতে পুঠিয়া ধোপাপাড়া ডিগ্রি মেমোরিয়াল কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাবিনা ইয়াসমিন ও সাবেক প্রিন্সিপাল ধোপাপাড়া ডিগ্রি কলেজ শফিকুল ইসলাম সফিকে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে হাতেনাতে ধরেন কিছু শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

 

ওই কটেজের ভাড়াটিয়া দুই শিক্ষার্থী জানান, আমারা ধারণা করছিলাম বাসায় কোনো এক পুরুষ আছে। পাশের রুমের ম্যাডাম এর হাজবেন্ড বাসায় নেই ঢাকায় গেছে তাহলে রুমে কে। আমারা অনেক ভয় পায় কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। এরপর গভীর রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে রুম থেকে বের হলে টয়লেটের সামনে একজন পুরুষ মানুষকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পাই। তখন আমার আমাদের বন্ধু ও আশেপাশের মানুষকে জানায় আর ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশ কে জানাই। তখন ফ্ল্যাটের মালিক সাবিনা ইয়াসমিন জানান যে ওই ভদ্রলোক তার মামা হন। চিকিৎসার জন্য শহরে এসেছেন। তিনি আরও আমাদের হুমকী ধামকি দেই তোমারা কেনো আর কোন সাহসে মানুষ আর পুলিশকে জানালা। তোমাদের আমি দেখো নিবো বাসা থেকে বেড় করে দিবো।

 

শিক্ষার্থীদের সাথে থাকা তাদের বন্ধু জানাই, আমার তাদের দুজনকে আটক করে এবং মতিহার থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছি। কিন্তু আমাদের বান্ধবীর এখন ওই বাসায় থাকা নিরাপত্তা হবে কি না বুঝছি না কারণ ওই মহিলা ওদের হুমকী দিয়েছে। তারা একই ফ্ল্যাটে এক রুমে তিন বান্ধবী থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। তারা আজই হুট করে অন্য বাসা কিভাবে পায়। তাছাড়া পুলিশ ও তাদের ছেড়ে দিসে রহস্য জনক ভাবে। তাদের চালান না করে থানা থেকে ছেড়ে দিল।

 

এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামকে প্রশ্ন করা হয় পুলিশ যখন হোটেলে কাউকে অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য আটক করে তাদের মহামান্য আদালতে প্রেরণ করা হয়। সেই একই কাজে আপনি এদের আটক করার পরে ছেড়ে কেন দিলেন জিজ্ঞেস করায় উনি বলেন , জানান তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না থাকায় উদ্ধতম কর্মকর্তাদের আদেশে তাদেরকে নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

কিন্তু এ বিষয়ে এলাকাবাসি জানায়, পুলিশের চরিত্র এখনো একই রয়েছে টাকাই সবকিছু। তাদেরকে আটক করার পর তাদের থানার জেল হাজতে কাউকে রাখা হয় নাই । তাদের ফ্যানের নিচে আদর যত্নে রেখেছে আর এখন ছাত্রছাত্রীকে উল্টা বুঝিয়ে অভিযোগ না নিয়ে জিডি করিয়ে তাদের ছেড়ে দিল এমনি এমনি। একটু আগে আপনারাই দেখলেন ওই লোকটাকে ছেড়ে দিয়েছিল এসআই মিজান আপনাদের প্রশ্ন করাতেই তাকে আবার থানার হেফাজতে নিল যে ওসি স্যার ব্যবস্থা নেবে বলে। পরে আবার তাদের ছেড়ে দেয়।

 

এইদিকে আটকৃত অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাবিনা ইয়াসমিনের পুঠিয়া ধোপাপাড়া ডিগ্রি মেমোরিয়াল কলেজে সশরীরে উপস্থিত হলে দেখা যায় উপস্থিত খাতায় সাবিনা ইয়াসমিনের সিগনেচার রয়েছে কিন্তু সে রাত তিনটা থেকে থানায় রয়েছেন। উনি থানায় থাকা সময়ে ফোন করে কলেজের খাতায় নিজের উপস্থিতির সই করিয়ে নিয়েছে।

 

এ বিষয়ে পুঠিয়া ধোপাপাড়া ডিগ্রি মেমোরিয়াল কলেজের প্রিন্সিপাল ফাতেমা জানান, উনি হয়তো ভুল করে আগের দিন সই করে রেখে গেছে। তাই আমি লাল কালি দিয়ে গোল চিহ্ন দিয়ে রাখলাম।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:০২:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
১৩৫ বার পড়া হয়েছে

অসামাজিক কার্যকলাপে দুই শিক্ষককে গভীর রাতে আটক

আপডেট সময় ০৯:০২:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানাধীন মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ির পাশে সাবিনা কটেজ নামের বাসা হইতে গভীর রাতে পুঠিয়া ধোপাপাড়া ডিগ্রি মেমোরিয়াল কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাবিনা ইয়াসমিন ও সাবেক প্রিন্সিপাল ধোপাপাড়া ডিগ্রি কলেজ শফিকুল ইসলাম সফিকে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে হাতেনাতে ধরেন কিছু শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

 

ওই কটেজের ভাড়াটিয়া দুই শিক্ষার্থী জানান, আমারা ধারণা করছিলাম বাসায় কোনো এক পুরুষ আছে। পাশের রুমের ম্যাডাম এর হাজবেন্ড বাসায় নেই ঢাকায় গেছে তাহলে রুমে কে। আমারা অনেক ভয় পায় কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। এরপর গভীর রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে রুম থেকে বের হলে টয়লেটের সামনে একজন পুরুষ মানুষকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পাই। তখন আমার আমাদের বন্ধু ও আশেপাশের মানুষকে জানায় আর ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশ কে জানাই। তখন ফ্ল্যাটের মালিক সাবিনা ইয়াসমিন জানান যে ওই ভদ্রলোক তার মামা হন। চিকিৎসার জন্য শহরে এসেছেন। তিনি আরও আমাদের হুমকী ধামকি দেই তোমারা কেনো আর কোন সাহসে মানুষ আর পুলিশকে জানালা। তোমাদের আমি দেখো নিবো বাসা থেকে বেড় করে দিবো।

 

শিক্ষার্থীদের সাথে থাকা তাদের বন্ধু জানাই, আমার তাদের দুজনকে আটক করে এবং মতিহার থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছি। কিন্তু আমাদের বান্ধবীর এখন ওই বাসায় থাকা নিরাপত্তা হবে কি না বুঝছি না কারণ ওই মহিলা ওদের হুমকী দিয়েছে। তারা একই ফ্ল্যাটে এক রুমে তিন বান্ধবী থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। তারা আজই হুট করে অন্য বাসা কিভাবে পায়। তাছাড়া পুলিশ ও তাদের ছেড়ে দিসে রহস্য জনক ভাবে। তাদের চালান না করে থানা থেকে ছেড়ে দিল।

 

এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামকে প্রশ্ন করা হয় পুলিশ যখন হোটেলে কাউকে অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য আটক করে তাদের মহামান্য আদালতে প্রেরণ করা হয়। সেই একই কাজে আপনি এদের আটক করার পরে ছেড়ে কেন দিলেন জিজ্ঞেস করায় উনি বলেন , জানান তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না থাকায় উদ্ধতম কর্মকর্তাদের আদেশে তাদেরকে নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

কিন্তু এ বিষয়ে এলাকাবাসি জানায়, পুলিশের চরিত্র এখনো একই রয়েছে টাকাই সবকিছু। তাদেরকে আটক করার পর তাদের থানার জেল হাজতে কাউকে রাখা হয় নাই । তাদের ফ্যানের নিচে আদর যত্নে রেখেছে আর এখন ছাত্রছাত্রীকে উল্টা বুঝিয়ে অভিযোগ না নিয়ে জিডি করিয়ে তাদের ছেড়ে দিল এমনি এমনি। একটু আগে আপনারাই দেখলেন ওই লোকটাকে ছেড়ে দিয়েছিল এসআই মিজান আপনাদের প্রশ্ন করাতেই তাকে আবার থানার হেফাজতে নিল যে ওসি স্যার ব্যবস্থা নেবে বলে। পরে আবার তাদের ছেড়ে দেয়।

 

এইদিকে আটকৃত অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাবিনা ইয়াসমিনের পুঠিয়া ধোপাপাড়া ডিগ্রি মেমোরিয়াল কলেজে সশরীরে উপস্থিত হলে দেখা যায় উপস্থিত খাতায় সাবিনা ইয়াসমিনের সিগনেচার রয়েছে কিন্তু সে রাত তিনটা থেকে থানায় রয়েছেন। উনি থানায় থাকা সময়ে ফোন করে কলেজের খাতায় নিজের উপস্থিতির সই করিয়ে নিয়েছে।

 

এ বিষয়ে পুঠিয়া ধোপাপাড়া ডিগ্রি মেমোরিয়াল কলেজের প্রিন্সিপাল ফাতেমা জানান, উনি হয়তো ভুল করে আগের দিন সই করে রেখে গেছে। তাই আমি লাল কালি দিয়ে গোল চিহ্ন দিয়ে রাখলাম।