ঢাকা ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্রের সমান সমান লড়াই, মানা হচ্ছে না বিধিমালা ! গোপালগঞ্জ-১

মাইনুল ইসলাম রাজু

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-১ (কাশিয়ানী-মুকসুদপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফারুক খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কাবির মিয়ার তুমুল লড়াই চলছে। আসনটির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় প্রতিটি এলাকাতেই ক্যাম্পিং, মাইকিং, পোস্টার-লিফলেট ও ব্যানারের ছড়াছড়ি। প্রচারে মানা হচ্ছে না নির্বাচনী বিধিমালা।

গোপালগঞ্জের এই আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগ এর ঘাটি হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। ১৯৮৬ এর নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী সারওয়ার জান চৌধুরী, ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এম এইচ খান মঞ্জুর নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপরে টানা ৭ বার আওয়ামী এর দখলে যার ৫ বারই বর্তমান আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফারুক খান নির্বাচিত হয়েছিল।

সরেজমিনে দেখা যায়, এই আসনটির অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন এলাকায় প্রচারের কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে উচ্চ শব্দের বক্সসেট ট্রাকে করে অল্পবয়স্ক তরুন দ্বারা চালানো হচ্ছে প্রচারণায় যা চলছে সকাল থেকে রাত অব্দি। অথচ নির্বাচনী বিধিমালায় স্পস্ট বলা আছে প্রচারের কাজে ট্রাকের ব্যাবহার করা যাবে না এবং দুপুর দুইটার আগে উচ্চ সাউন্ড ব্যাবহার করা যাবে না। স্থানীয় এলাকায় প্রতিটি ইউনিয়নে একটা ক্যাম্প থাকার কথা থাকলেও প্রতিটি ইউনিয়নে দুই/তিনটি করে ক্যাম্প রয়েছে। ব্যানার-পোস্টারে রঙিন ছবির ব্যাবহার নিষিদ্ধ হলেও রঙিন ব্যানারও দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায়।

প্রচারণায় উভয় প্রার্থীকেই সক্রিয় দেখা গিয়েছে। আসনের এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজারে গণসংযোগ কর্মসূচি চালাচ্ছেন উভয়ই।

এলাকাবাসী বলছেন, আমাদের আসনে এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচন আমরা দেখিনি। ফলাফল যাই হোক এমন একটা নির্বাচনী পরিবেশ দেখতে পেয়ে আমরা অনেক খুশি।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর অনুসারী মুকসুদপুর উপজেলার বহুগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দুলাল বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ রাজনীতির সাথে আছি। আমাদের প্রকৃত মূল্যায়ন আমরা পাইনা। আমরা আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান আমাদের নৌকার বাইরে যাওয়া সম্ভব না। তবুও আমরা এইবছর প্রার্থী বেছে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও আওয়ামী লীগ পরিবারেরই সন্তান।  আমরা আশা করছি জনগণ তাকেই সমর্থন করবে।’

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:৩০:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
৬৩ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্রের সমান সমান লড়াই, মানা হচ্ছে না বিধিমালা ! গোপালগঞ্জ-১

আপডেট সময় ১০:৩০:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-১ (কাশিয়ানী-মুকসুদপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফারুক খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কাবির মিয়ার তুমুল লড়াই চলছে। আসনটির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় প্রতিটি এলাকাতেই ক্যাম্পিং, মাইকিং, পোস্টার-লিফলেট ও ব্যানারের ছড়াছড়ি। প্রচারে মানা হচ্ছে না নির্বাচনী বিধিমালা।

গোপালগঞ্জের এই আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগ এর ঘাটি হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। ১৯৮৬ এর নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী সারওয়ার জান চৌধুরী, ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এম এইচ খান মঞ্জুর নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপরে টানা ৭ বার আওয়ামী এর দখলে যার ৫ বারই বর্তমান আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফারুক খান নির্বাচিত হয়েছিল।

সরেজমিনে দেখা যায়, এই আসনটির অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন এলাকায় প্রচারের কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে উচ্চ শব্দের বক্সসেট ট্রাকে করে অল্পবয়স্ক তরুন দ্বারা চালানো হচ্ছে প্রচারণায় যা চলছে সকাল থেকে রাত অব্দি। অথচ নির্বাচনী বিধিমালায় স্পস্ট বলা আছে প্রচারের কাজে ট্রাকের ব্যাবহার করা যাবে না এবং দুপুর দুইটার আগে উচ্চ সাউন্ড ব্যাবহার করা যাবে না। স্থানীয় এলাকায় প্রতিটি ইউনিয়নে একটা ক্যাম্প থাকার কথা থাকলেও প্রতিটি ইউনিয়নে দুই/তিনটি করে ক্যাম্প রয়েছে। ব্যানার-পোস্টারে রঙিন ছবির ব্যাবহার নিষিদ্ধ হলেও রঙিন ব্যানারও দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায়।

প্রচারণায় উভয় প্রার্থীকেই সক্রিয় দেখা গিয়েছে। আসনের এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজারে গণসংযোগ কর্মসূচি চালাচ্ছেন উভয়ই।

এলাকাবাসী বলছেন, আমাদের আসনে এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচন আমরা দেখিনি। ফলাফল যাই হোক এমন একটা নির্বাচনী পরিবেশ দেখতে পেয়ে আমরা অনেক খুশি।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর অনুসারী মুকসুদপুর উপজেলার বহুগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দুলাল বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ রাজনীতির সাথে আছি। আমাদের প্রকৃত মূল্যায়ন আমরা পাইনা। আমরা আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান আমাদের নৌকার বাইরে যাওয়া সম্ভব না। তবুও আমরা এইবছর প্রার্থী বেছে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও আওয়ামী লীগ পরিবারেরই সন্তান।  আমরা আশা করছি জনগণ তাকেই সমর্থন করবে।’