ঢাকা ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করলেন ছাত্রলীগ নেতা

নিজস্ব সংবাদ

কুড়িগ্রামে ছাত্রলীগ নেতার পিটুনিতে শরিফুল ইসলাম সোহান (৪০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার খলিলগঞ্জ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর শহরের শাপলা চত্বরে প্রায় দুই ঘণ্টা রংপুর-কুড়িগ্রাম সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।

নিহত সোহান শহরের হাটিরপাড় এলাকার মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে। তিনি কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এবং জেলা মোটর মালিক সমিতির সদস্য। অভিযুক্ত সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভি কবির চৌধুরী বিন্দু।

সোহানের বন্ধু খন্দকার রেদোয়ান মাহমুদ বলেন, ‘সন্ধ্যায় সোহানসহ তিন বন্ধু শহরের অভিনন্দন কনভেনশন সেন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমাদের গাড়ির সামনে ছিটকে পড়ে। আমরা আহত মোটরসাইকেল আরোহী সিয়াম ও রিয়াদকে অটোরিকশায় হাসপাতালে পাঠাই। পরে আমরা শহরের দিকে আসার পথে ছাত্রলীগ নেতা বিন্দুসহ তাঁর লোকজন আমার জিপ গাড়ি থামায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাদের ওপর হামলা চালায় তারা। এতে সোহান গুরুতর আহত হন।

আমাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে তাঁকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় বিন্দু। পরে আমি হাসপাতালের সামনে গিয়ে দেখি সে ও তার লোকজন আবারও সোহানকে মারধর করছে। আমরা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’

হাসপাতালের চিকিৎসক শাহিনুর রহমান সরদার জানান, সোহানকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মৃত অবস্থায় পান চিকিৎসক।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:৪৪:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
৭১ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করলেন ছাত্রলীগ নেতা

আপডেট সময় ১২:৪৪:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কুড়িগ্রামে ছাত্রলীগ নেতার পিটুনিতে শরিফুল ইসলাম সোহান (৪০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার খলিলগঞ্জ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর শহরের শাপলা চত্বরে প্রায় দুই ঘণ্টা রংপুর-কুড়িগ্রাম সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।

নিহত সোহান শহরের হাটিরপাড় এলাকার মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে। তিনি কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এবং জেলা মোটর মালিক সমিতির সদস্য। অভিযুক্ত সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভি কবির চৌধুরী বিন্দু।

সোহানের বন্ধু খন্দকার রেদোয়ান মাহমুদ বলেন, ‘সন্ধ্যায় সোহানসহ তিন বন্ধু শহরের অভিনন্দন কনভেনশন সেন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমাদের গাড়ির সামনে ছিটকে পড়ে। আমরা আহত মোটরসাইকেল আরোহী সিয়াম ও রিয়াদকে অটোরিকশায় হাসপাতালে পাঠাই। পরে আমরা শহরের দিকে আসার পথে ছাত্রলীগ নেতা বিন্দুসহ তাঁর লোকজন আমার জিপ গাড়ি থামায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাদের ওপর হামলা চালায় তারা। এতে সোহান গুরুতর আহত হন।

আমাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে তাঁকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় বিন্দু। পরে আমি হাসপাতালের সামনে গিয়ে দেখি সে ও তার লোকজন আবারও সোহানকে মারধর করছে। আমরা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’

হাসপাতালের চিকিৎসক শাহিনুর রহমান সরদার জানান, সোহানকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মৃত অবস্থায় পান চিকিৎসক।