ঢাকা ০২:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আখাউড়া-কসবায় দেখা দিয়েছে রোদের আলো,পানি কমতে শুরু করেছে

নিজস্ব সংবাদ

বন্যা কবলিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেখা দিয়েছে রোদের আলো। ভারী বর্ষণ না হওয়ায় শনিবার (২৪ আগস্ট) আখাউড়া-কসবার বিভিন্ন গ্রামের অনেক অংশে বন্যার পানি কমে গেছে। তবে এখনও পানিবন্দি আছেন ৩ শতাধিক মানুষ।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল থেকেই সুবর্ণচরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে সূর্যের দেখা মিলছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, হওড়া নদীর পানির সমতল হ্রাস পাওয়া অব্যাহত রয়েছে। পানি গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ শনিবার ভোর সকাল ৬টা পর্যন্ত আরও সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটারের নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ৩৬ ঘণ্টায় ২৪ সেন্টিমিটার পানি হ্রাস পেয়েছে।

বর্তমানে হওড়া নদীর গঙ্গাসাগড় পয়েন্টে পানির সমতল রয়েছে ৫.৫৪ মিটার। এতে আখাউড়ায় বন্যার পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। তবে কসবায় সলদা নদীতে কোনো স্টেশন না থাকায় পানির বিপৎসীমার ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই।

অন্যদিকে কসবা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহরিয়ার মোক্তার বলেন, কসবায় বন্যার পানির কমতে শুরু করেছে। গত দুই দিনে এক থেকে দেড় ফুট পানি কমে গেছে।

তারপরেও কিছু এলাকায় বন্যার পানি রয়েছে। কসবায় আজ সর্বমোট ১৩ শত ৬৮ পরিবারকে ৭ মেট্রিক টন চাল, ২৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং পানি বিশুদ্ধাকরণ খাবার ট্যাবলেট বিতরণ করা হবে। আশা করি খুব দ্রুতই এই বন্যার পরিস্থিতি উন্নতি হবে।

তথ্য মতে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড় থেকে নেমে রাজ্যের আগরতলার বুক চিরে হওড়া নদীর পানি বৃদ্ধি করে আখাউড়ায় প্রবেশ করে। সেই সঙ্গে একই কসবা সীমান্তবর্তী সালদা নদীর পানি বৃদ্ধি হয়। এতে আখাউড়া-কসবা দুটি উপজেলায় বন্যা কবলিত হয়। এতে আখাউড়ায় ৪৭টি গ্রামের ১৬৯৭ পরিবারের ৪৯ হাজার ২০৯ জন ও কসবায় ২৬টি গ্রামের ২ হাজার ৩৫০টি পরিবার পানিতে আক্রান্ত হয়।

আখাউড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন বলেন, উপজেলাটিতে পানি কমে আসছে। গতকাল শুক্রবারে তুলায় আজ শনিবার আরও ৪ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। পানি আক্রান্তদের অনেককেই আমরা রিকভারি করতে পেরেছি। যেখানে প্রথম অবস্থায় ১১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। সেটি কমে গিয়ে ৭টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র খোলা রয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৩৮:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪
৫৫ বার পড়া হয়েছে

আখাউড়া-কসবায় দেখা দিয়েছে রোদের আলো,পানি কমতে শুরু করেছে

আপডেট সময় ০৪:৩৮:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

বন্যা কবলিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেখা দিয়েছে রোদের আলো। ভারী বর্ষণ না হওয়ায় শনিবার (২৪ আগস্ট) আখাউড়া-কসবার বিভিন্ন গ্রামের অনেক অংশে বন্যার পানি কমে গেছে। তবে এখনও পানিবন্দি আছেন ৩ শতাধিক মানুষ।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল থেকেই সুবর্ণচরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে সূর্যের দেখা মিলছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, হওড়া নদীর পানির সমতল হ্রাস পাওয়া অব্যাহত রয়েছে। পানি গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ শনিবার ভোর সকাল ৬টা পর্যন্ত আরও সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটারের নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ৩৬ ঘণ্টায় ২৪ সেন্টিমিটার পানি হ্রাস পেয়েছে।

বর্তমানে হওড়া নদীর গঙ্গাসাগড় পয়েন্টে পানির সমতল রয়েছে ৫.৫৪ মিটার। এতে আখাউড়ায় বন্যার পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। তবে কসবায় সলদা নদীতে কোনো স্টেশন না থাকায় পানির বিপৎসীমার ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই।

অন্যদিকে কসবা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহরিয়ার মোক্তার বলেন, কসবায় বন্যার পানির কমতে শুরু করেছে। গত দুই দিনে এক থেকে দেড় ফুট পানি কমে গেছে।

তারপরেও কিছু এলাকায় বন্যার পানি রয়েছে। কসবায় আজ সর্বমোট ১৩ শত ৬৮ পরিবারকে ৭ মেট্রিক টন চাল, ২৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং পানি বিশুদ্ধাকরণ খাবার ট্যাবলেট বিতরণ করা হবে। আশা করি খুব দ্রুতই এই বন্যার পরিস্থিতি উন্নতি হবে।

তথ্য মতে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড় থেকে নেমে রাজ্যের আগরতলার বুক চিরে হওড়া নদীর পানি বৃদ্ধি করে আখাউড়ায় প্রবেশ করে। সেই সঙ্গে একই কসবা সীমান্তবর্তী সালদা নদীর পানি বৃদ্ধি হয়। এতে আখাউড়া-কসবা দুটি উপজেলায় বন্যা কবলিত হয়। এতে আখাউড়ায় ৪৭টি গ্রামের ১৬৯৭ পরিবারের ৪৯ হাজার ২০৯ জন ও কসবায় ২৬টি গ্রামের ২ হাজার ৩৫০টি পরিবার পানিতে আক্রান্ত হয়।

আখাউড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন বলেন, উপজেলাটিতে পানি কমে আসছে। গতকাল শুক্রবারে তুলায় আজ শনিবার আরও ৪ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। পানি আক্রান্তদের অনেককেই আমরা রিকভারি করতে পেরেছি। যেখানে প্রথম অবস্থায় ১১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। সেটি কমে গিয়ে ৭টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র খোলা রয়েছে।