ঢাকা ০৫:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামী দিনের বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তারেক রহমানের বার্তা

নিজস্ব সংবাদ

সরকারবিরোধী আন্দোলনে ১৪ থেকে  ১৫ বছরে যারা শহীদ, পঙ্গু ও নির্যাতনের শিকার এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে আজ সমাবেশ  করবে বিএনপি। বেলা সাড়ে ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এতে সংগীত, কবিতাপাঠ, আবৃত্তিসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড হবে।

ওদিকে আগামীকাল রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে সমাবেশ করবে দলটি। এই সমাবেশ থেকে দেশ গঠনে নতুন বার্তা দেবেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

গতকাল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দু’দিনের সমাবেশের প্রস্ততি নিয়ে যৌথ সভা শেষে এসব কথা জানান বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। বলেন, গণতন্ত্র দিবসে ১৫ই সেপ্টেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ হবে।

এই সমাবেশ হবে অন্যতম বৃহৎ সমাবেশ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এই সমাবেশ থেকে আগামী দিনের বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তারেক রহমান অবশ্যই একটি বার্তা দেবেন।

জাহিদ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ১৪ সালে বিনাভোটে নির্বাচন করেছে, ১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করেছে, ২৪ সালে ডামি নির্বাচন করে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। সেইসঙ্গে নিজের ক্ষমতাকে বাঁচিয়ে রাখতে সকল প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছে।

আর আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানকে কাঁটাছেড়া করতে করতে একটি দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছে। আইন আদালতকে যেমন ইচ্ছা তেমনভাবে ব্যবহার করেছে।

তিনি বলেন, ভোটের অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। দেশে হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় আন্দোলন করেছেন, এখন আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা আন্দোলন করছি। বিএনপি আন্দোলনে ছিল এবং আন্দোলনে থাকবে। যতদিন পর্যন্ত ভোটের অধিকার আর গণতন্ত্র ফিরে না আসবে।

ড. জাহিদ বলেন, আওয়ামী লীগ মানেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ। আওয়ামী লীগ আমলেই একের পর এক গণমাধ্যম বন্ধ হয়। ইলিয়াস আলীর কবর কোথায়? বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা কোথায়? এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। আর বিরোধী দলের নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে লাখ লাখ মামলা দেয়া হয়েছে। যে তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলে তাকে হত্যা বা গুম করা হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:৩৩:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৭৮ বার পড়া হয়েছে

আগামী দিনের বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তারেক রহমানের বার্তা

আপডেট সময় ০৫:৩৩:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারবিরোধী আন্দোলনে ১৪ থেকে  ১৫ বছরে যারা শহীদ, পঙ্গু ও নির্যাতনের শিকার এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে আজ সমাবেশ  করবে বিএনপি। বেলা সাড়ে ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এতে সংগীত, কবিতাপাঠ, আবৃত্তিসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড হবে।

ওদিকে আগামীকাল রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে সমাবেশ করবে দলটি। এই সমাবেশ থেকে দেশ গঠনে নতুন বার্তা দেবেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

গতকাল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দু’দিনের সমাবেশের প্রস্ততি নিয়ে যৌথ সভা শেষে এসব কথা জানান বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। বলেন, গণতন্ত্র দিবসে ১৫ই সেপ্টেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ হবে।

এই সমাবেশ হবে অন্যতম বৃহৎ সমাবেশ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এই সমাবেশ থেকে আগামী দিনের বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তারেক রহমান অবশ্যই একটি বার্তা দেবেন।

জাহিদ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ১৪ সালে বিনাভোটে নির্বাচন করেছে, ১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করেছে, ২৪ সালে ডামি নির্বাচন করে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। সেইসঙ্গে নিজের ক্ষমতাকে বাঁচিয়ে রাখতে সকল প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছে।

আর আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানকে কাঁটাছেড়া করতে করতে একটি দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছে। আইন আদালতকে যেমন ইচ্ছা তেমনভাবে ব্যবহার করেছে।

তিনি বলেন, ভোটের অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। দেশে হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় আন্দোলন করেছেন, এখন আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা আন্দোলন করছি। বিএনপি আন্দোলনে ছিল এবং আন্দোলনে থাকবে। যতদিন পর্যন্ত ভোটের অধিকার আর গণতন্ত্র ফিরে না আসবে।

ড. জাহিদ বলেন, আওয়ামী লীগ মানেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ। আওয়ামী লীগ আমলেই একের পর এক গণমাধ্যম বন্ধ হয়। ইলিয়াস আলীর কবর কোথায়? বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা কোথায়? এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। আর বিরোধী দলের নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে লাখ লাখ মামলা দেয়া হয়েছে। যে তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলে তাকে হত্যা বা গুম করা হয়েছে।