ঢাকা ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদালত যেটা বলবেন আমাকে সেটা মানতে হবে: বুয়েট ভিসি

নিজস্ব সংবাদ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সব রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তির’ কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার দুপুরে হাইকোর্টের এই আদেশের পর বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেছেন, আদালত যেটা বলবেন, আমাকে সেটা মানতে হবে। আদালতের আদেশ শিরোধার্য। আমরা আদালত অবমাননা করতে পারব না।

আজ দুপুরে বুয়েট ক্যাম্পাসে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ভিসি।
বুয়েটে সব রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে ২০১৯ সালের ১১ই অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেয়া ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তির’ বৈধতা নিয়ে আজ হাইকোর্টে একটি রিট হয়।

হাইকোর্টের আজকের আদেশের বিষয়ে জানতে চাইলে বুয়েট ভিসি সত্য প্রসাদ মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, আদালত যা বলবেন, আমরা সেটা মানতে বাধ্য। আদালত সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। আদালত আমাদের যে নির্দেশনা দেবেন, আমরা সেই নির্দেশনা মেনে চলব।

আদালতের আদেশের পর বুয়েটের পদক্ষেপ কী হবে, জানতে চাইলে তিনি  বলেন, এ বিষয়ে আমাদের আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আদালতকে তো আমরা ভায়োলেট (আদেশ লঙ্ঘন) করতে পারব না। আমাদের আদালতের নিয়মে চলতে হবে। আইন ও নিয়ম অনুযায়ী আমাদের এগোতে হবে।

ভিসি জানান, আদালতের আদেশ না দেখে তিনি কিছু বলতে পারছেন না। আদেশ দেখার পর বুয়েটের আইন উপদেষ্টার পরামর্শ অনুযায়ী তারা এগিয়ে যাবেন।
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চালু হলে আবার আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটবে কি না, এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ভিসি বলেন, আমি ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারব না।

কী হবে না হবে, সেটা কি আমি-আপনি জানি?
এক প্রশ্নের জবাবে বুয়েটের ভিসি বলেন, রাজনীতির পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও প্রশাসন সবাই মিলে একটা রূপান্তর করতে হবে। কীভাবে সেটা করা যায়, তা আলোচনার মাধ্যমে বের করতে হবে।  বর্তমানে ইউকসুর (ছাত্র সংসদ) কার্যক্রম বন্ধ আছে।

সব পক্ষের মতামত নিয়েই একটা কিছু করতে পারবেন তারা।  একা কিছু করলে, তা বাস্তবায়ন করা যাবে না। সেটা সিন্ডিকেটে অনুমোদিত হতে হবে, অর্ডিন্যান্সে যুক্ত হতে হবে। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের অনুমোদন নিতে হবে। তা না হলে এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্সে ঢুকবে না। তাদের সীমাবদ্ধতা আছে। তারা আদালতের আদেশ পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় তার নিয়মে চলে। কিন্তু আদালতের আদেশ শিরোধার্য।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:২৫:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪
৭৭ বার পড়া হয়েছে

আদালত যেটা বলবেন আমাকে সেটা মানতে হবে: বুয়েট ভিসি

আপডেট সময় ০৮:২৫:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সব রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তির’ কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার দুপুরে হাইকোর্টের এই আদেশের পর বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেছেন, আদালত যেটা বলবেন, আমাকে সেটা মানতে হবে। আদালতের আদেশ শিরোধার্য। আমরা আদালত অবমাননা করতে পারব না।

আজ দুপুরে বুয়েট ক্যাম্পাসে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ভিসি।
বুয়েটে সব রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে ২০১৯ সালের ১১ই অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেয়া ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তির’ বৈধতা নিয়ে আজ হাইকোর্টে একটি রিট হয়।

হাইকোর্টের আজকের আদেশের বিষয়ে জানতে চাইলে বুয়েট ভিসি সত্য প্রসাদ মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, আদালত যা বলবেন, আমরা সেটা মানতে বাধ্য। আদালত সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। আদালত আমাদের যে নির্দেশনা দেবেন, আমরা সেই নির্দেশনা মেনে চলব।

আদালতের আদেশের পর বুয়েটের পদক্ষেপ কী হবে, জানতে চাইলে তিনি  বলেন, এ বিষয়ে আমাদের আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আদালতকে তো আমরা ভায়োলেট (আদেশ লঙ্ঘন) করতে পারব না। আমাদের আদালতের নিয়মে চলতে হবে। আইন ও নিয়ম অনুযায়ী আমাদের এগোতে হবে।

ভিসি জানান, আদালতের আদেশ না দেখে তিনি কিছু বলতে পারছেন না। আদেশ দেখার পর বুয়েটের আইন উপদেষ্টার পরামর্শ অনুযায়ী তারা এগিয়ে যাবেন।
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চালু হলে আবার আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটবে কি না, এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ভিসি বলেন, আমি ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারব না।

কী হবে না হবে, সেটা কি আমি-আপনি জানি?
এক প্রশ্নের জবাবে বুয়েটের ভিসি বলেন, রাজনীতির পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও প্রশাসন সবাই মিলে একটা রূপান্তর করতে হবে। কীভাবে সেটা করা যায়, তা আলোচনার মাধ্যমে বের করতে হবে।  বর্তমানে ইউকসুর (ছাত্র সংসদ) কার্যক্রম বন্ধ আছে।

সব পক্ষের মতামত নিয়েই একটা কিছু করতে পারবেন তারা।  একা কিছু করলে, তা বাস্তবায়ন করা যাবে না। সেটা সিন্ডিকেটে অনুমোদিত হতে হবে, অর্ডিন্যান্সে যুক্ত হতে হবে। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের অনুমোদন নিতে হবে। তা না হলে এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্সে ঢুকবে না। তাদের সীমাবদ্ধতা আছে। তারা আদালতের আদেশ পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় তার নিয়মে চলে। কিন্তু আদালতের আদেশ শিরোধার্য।