ঢাকা ০৭:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আশুলিয়ায় মালিককে জখম করে জমি দখলের চেষ্টা, আহত ৪

আনোয়ার সুলতান, সাভার

আশুলিয়ায় জমির মালিককে কুপিয়ে জখম করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আরো ৩ জন আহত হয়েছেন।

আজ শনিবার (০৯ মার্চ) বিকালে উপজেলার আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী। এর আগে গতকাল শুক্রবার (০৮ মার্চ) সন্ধ্যায় আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল এলাকায় বাইপাইল প্লাজার সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন আহতরা।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী হলেন- আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে ইয়াসিন আরাফাত (৩৪)। এ ঘটনায় বাকি আহতরা হলেন- কবির খোকন তালুকদার, কবির হোসেন ও হাবিবুর রহমান।

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকার কফিল উদ্দিনের ছেলে ইকবাল হোসেন (৪৫), ইকবাল হোসেনের ছেলে সাদিক (১৯), বসুন্ধরা এলাকার জসিম উদ্দিন (৩৩) ও পলাশবাড়ি এলাকার আলমগীর হোসেন (৪৫) ও অজ্ঞাত ২৫ থেকে ৩০ জন।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা যায়, বাইপাইলের পলাশবাড়ি মৌজার বিআরএস ৯০১ দাগে ৪০ শতাংশ জমি আম-মোক্তার নিয়োগ পেয়ে দখলে ছিলেন ইয়াসিন আরাফাত। পরে সেখানে বাইপাইল প্লাজা নামে একটি মার্কেট নির্মাণ করেন। এ জমি নিয়েই অবৈধ দখলকারী চক্রের রোষানলে পড়েন ইয়াসিন আরাফাত।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পলাশবাড়ি এলাকায় শাহরিয়ার গার্মেন্টসের বিপরীত পাশে ইয়াসিন আরাফাতের মালিকানাধীন বাইপাইল প্লাজা অবৈধ ভাবে দখলের চেষ্টা করে আসছিল অভিযুক্তরা। গত ০৮ মার্চ জমি দখলের চেষ্টা করে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের বের করে দিয়ে তাদের দোকানে ভাংচুর ও লুটপাট চালায় অভিযুক্তরা। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে ইয়াসিন আরাফাতের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা করে তারা। পরে রামদার আঘাতে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী। সেসময় তাঁর পকেট থেকে ভাড়ার ২ লাখ টাকা ও গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও মোবাইল লুট করে নেয় হামলাকারীরা। আশেপাশের লোকজনের চিৎকারে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে ইয়াসিন আরাফাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ইয়াসিন আরাফাত বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের সাথে বিবাদে জড়ানোর চেষ্টা করে আসছিল অভিযুক্তরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই এসে মার্কেটের দোকান ভাংচুর শুরু করে। তাদের কাছে রামদা, লাঠি, লোহার রড ও জিআই পাইপ ছিল। এরমধ্যে ইকবাল আমার মাথায় রামদা দিয়ে আঘাত করলে আমি পড়ে যাই। পরে তারা দৌড় দেয়। আমাকে এখানে আসলে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে তারা। পরে আমি চিকিৎসা নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমার মাথায় ১০ টা সিলাই লেগেছে। বাকিরাও আহত হয়েছেন। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আসামীরা এখনও পলাতক, তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। আইনী প্রক্রিয়া চলমান আছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:৫৫:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪
১১১ বার পড়া হয়েছে

আশুলিয়ায় মালিককে জখম করে জমি দখলের চেষ্টা, আহত ৪

আপডেট সময় ০৭:৫৫:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪

আশুলিয়ায় জমির মালিককে কুপিয়ে জখম করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আরো ৩ জন আহত হয়েছেন।

আজ শনিবার (০৯ মার্চ) বিকালে উপজেলার আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী। এর আগে গতকাল শুক্রবার (০৮ মার্চ) সন্ধ্যায় আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল এলাকায় বাইপাইল প্লাজার সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন আহতরা।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী হলেন- আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে ইয়াসিন আরাফাত (৩৪)। এ ঘটনায় বাকি আহতরা হলেন- কবির খোকন তালুকদার, কবির হোসেন ও হাবিবুর রহমান।

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকার কফিল উদ্দিনের ছেলে ইকবাল হোসেন (৪৫), ইকবাল হোসেনের ছেলে সাদিক (১৯), বসুন্ধরা এলাকার জসিম উদ্দিন (৩৩) ও পলাশবাড়ি এলাকার আলমগীর হোসেন (৪৫) ও অজ্ঞাত ২৫ থেকে ৩০ জন।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা যায়, বাইপাইলের পলাশবাড়ি মৌজার বিআরএস ৯০১ দাগে ৪০ শতাংশ জমি আম-মোক্তার নিয়োগ পেয়ে দখলে ছিলেন ইয়াসিন আরাফাত। পরে সেখানে বাইপাইল প্লাজা নামে একটি মার্কেট নির্মাণ করেন। এ জমি নিয়েই অবৈধ দখলকারী চক্রের রোষানলে পড়েন ইয়াসিন আরাফাত।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পলাশবাড়ি এলাকায় শাহরিয়ার গার্মেন্টসের বিপরীত পাশে ইয়াসিন আরাফাতের মালিকানাধীন বাইপাইল প্লাজা অবৈধ ভাবে দখলের চেষ্টা করে আসছিল অভিযুক্তরা। গত ০৮ মার্চ জমি দখলের চেষ্টা করে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের বের করে দিয়ে তাদের দোকানে ভাংচুর ও লুটপাট চালায় অভিযুক্তরা। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে ইয়াসিন আরাফাতের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা করে তারা। পরে রামদার আঘাতে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী। সেসময় তাঁর পকেট থেকে ভাড়ার ২ লাখ টাকা ও গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও মোবাইল লুট করে নেয় হামলাকারীরা। আশেপাশের লোকজনের চিৎকারে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে ইয়াসিন আরাফাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ইয়াসিন আরাফাত বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের সাথে বিবাদে জড়ানোর চেষ্টা করে আসছিল অভিযুক্তরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই এসে মার্কেটের দোকান ভাংচুর শুরু করে। তাদের কাছে রামদা, লাঠি, লোহার রড ও জিআই পাইপ ছিল। এরমধ্যে ইকবাল আমার মাথায় রামদা দিয়ে আঘাত করলে আমি পড়ে যাই। পরে তারা দৌড় দেয়। আমাকে এখানে আসলে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে তারা। পরে আমি চিকিৎসা নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমার মাথায় ১০ টা সিলাই লেগেছে। বাকিরাও আহত হয়েছেন। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আসামীরা এখনও পলাতক, তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। আইনী প্রক্রিয়া চলমান আছে।