আশুলিয়ায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনার ৯ দিন পর স্বামী গ্রেপ্তার
আশুলিয়ায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আত্মগোপনে থাকার ৯ দিন পর র্যাবের যৌথ অভিযানে স্বামী শেখ রাব্বীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাবের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাব্বী স্বীকার করেছেন পরকীয়ার সন্দেহেই স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন তিনি। গ্রেপ্তারের পরে তাকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
এর আগে গতকাল শনিবার (২০ জানুয়ারি) যশোরের মনিরামপুর থানার রহিত শেখপাড়া এলাকা থেকে শেখ রাব্বীকে গ্রেফতার করে র্যাব-৪ ও র্যাব-৬ এর যৌথ অভিযানিক দল। পরে আজ রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেপ্তার আসামীকে আশুলিয়া থানা থেকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত শেখ রাব্বী সাতক্ষীরা জেলার তালা থানার মহল্লাপাড়া গ্রামের শেখ মনিরুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় গাড়ির চালক ছিলেন। হত্যাকান্ডের শিকার সুমাইয়া খাতুন খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার মালথ গ্রামের মো. মনিরুদ্দদিন মোড়লের মেয়ে। তিনি একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। এর ৩ বছর আগে তারা প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। তারা দুজনেই আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
র্যাব জানায়, গত ১১ জানুয়ারি দুপুরে তাদের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে শেখ রাব্বী সুমাইয়ার গলা টিপে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে বাসায় তালা দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায় শেখ রাব্বী। ঘটনার পরের দিন গত ১২ জানুয়ারি নিহত সুমাইয়া খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই মো. মোশারফ হোসেন মোড়ল।
র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর কোম্পানী কমান্ডার লে কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছেন রাব্বী। কারণ হিসেবে স্ত্রীর পরকীয়ায় জড়িত থাকার কথা বলেছেন তিনি। এ নিয়েই তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক বলেন, আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাঁর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার কথা রয়েছে।