ইবিতে শিক্ষকের পদ অবনমনের ঘটনায় ২১ বিভাগীয় সভাপতির বিবৃতি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে বিভাগের সাবেক সভাপতিকে নিয়ম বর্হিভূতভাবে পদ অবনমন করার ঘটনায় আরোপিত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ টি বিভাগের সভাপতিবৃন্দ।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি বিভাগের বিভাগীয় সভাপতিদের স্বাক্ষরিত সম্বলিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবী জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আমরা নিম্নস্বাক্ষরকারীগণ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, গত ২৫/০৯/২০২২ তারিখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে বিভাগের সভাপতির সাথে নিয়োগ বোর্ডের অন্য সদস্যদের মতপার্থক্যকে কেন্দ্র করে বিভাগের সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বোর্ডে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ এনে তাঁকে পদ অবনমন করা হয়েছে। আমরা মনে করি যেকোন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে মতপার্থক্য কিংবা মতভিন্নতা থাকতেই পারে এবং অতীতে এধরনের ঘটনার অসংখ্য নজির এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে।
এতে আরো বলা হয়, নিয়োগ বোর্ডের প্রত্যেক সদস্যের স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের আইনগত অধিকার থাকা সত্ত্বেও সেটিকে অসৌজন্যমূলক আচরণ হিসেবে আখ্যায়িত করলে ভবিষ্যতে বিভাগের সভাপতি হিসেবে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করা দূরুহ হয়ে পড়বে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মত স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে এধরনের নজির স্থাপন ভবিষ্যতের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবেনা প্রকারান্তে এটি ব্যক্তি প্রতিহিংসার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে-মর্মে আমরা মনে করি। আমরা অনতিবিলম্বে ড মোঃ বখতিরার হাসানের বিরুদ্ধে আরোপিত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোরালো দাবি জানাচ্ছি অন্যথায় এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কর্মকান্ডের উপর সুদূর প্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ২৫/০৯/২০২২ তারিখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়।নিয়োগ বোর্ডে এক মতভিন্নতার কারণে গত ১২ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত ২৬২তম সিন্ডিকেটে ড. মোঃ বখতিয়ার হোসেন-কে পদ অবনমন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।