ঢাকা ১০:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইবির খালেদা জিয়া হলে ফের অগ্নিকান্ড

ওয়াসিফ আল আবরার, ইবি

 

 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খালেদা জিয়া আবাসিক হলের ডাইনিং এর রান্নাঘরে গ্যাসের নলে ছিদ্র থেকে এই অগ্নিকান্ড ঘটনাটি ঘটেছে। তবে এতে বড় ধরনের কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

 

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে খালেদা জিয়া হলের রান্নাঘরে এ ঘটনা ঘটে। ফলে ছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে তারা হল থেকে বেরিয়ে পড়েন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে হল ডাইনিং এর রান্নাঘরে সকালের জন্য রান্না করতে যায়। পরে চুলা জ্বালাতে গ্যাস সিলেন্ডার পাইপ থেকে আগুন জলে উঠে। কিন্তু তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এছাড়াও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চলে যায়। হলে প্রায় পাঁচ শতাধিক ছাত্রী থাকেন কিন্তু অগ্নিনির্বাপক কোনো ব্যবস্থা নেই। বিষয়টি নিয়ে হলের শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত বলেও জানান তারা।

হলের শিক্ষার্থী সুমাইয়া বলেন, আমাদের হলের ডাইনিং এ এতদিন গ্যাস এর চুলা ব্যবহার হয়নি। নতুন ম্যানেজার এনেছে। আমাদের যে খালা তিনি এর ব্যবহার ঠিকঠাক জানেন না। গতকাল কে চুলা অফ করেছে জানিনা তবে ঠিকভাবে অফ হয়নি। সারা রাত গ্যাস বের হয়েছে সকালে যখন চুলা ধরাতে গেছে তখন আগুন লেগে গেছে। আগুন ধরেছে ভোর ৫:৩৮ মিনিটে। যখন সাধারণত সবাই ঘুমিয়ে থাকে। আগুন অনেক বেশি জ্বলছিল ভায়ানক দেখা যাচ্ছিল। আমাদের রুমের (১১৩) জানালা দিয়ে দেখা যায় ডাইনিং। যিনি এই ঘটনা প্রথম প্রত্যক্ষ করেন তার চিৎকারে ঘুমন্ত অবস্থা থেকে প্রায় সকলে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে বাইরে চলে আসে। ভয়ংকর একটা অবস্থা সৃষ্টি হয়। তারপর গেটের মামা এবং বাইরে থেকে অন্যান্যরা আসে কিন্তু আগুন ঐভাবে চলতেই থাকে। আমাদের এক বড় আপু কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসে ফোন দেয়।

তিনি আরও বলেন, ওনারা এসে বিষয়টা বোঝায় যে কিভাবে গ্যাসের আগুন বন্ধ করা যায় বা কিভাবে এটা হতে পারে। একটা অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র থাকলে অবশ্যই এই পরিস্থিতি খুব অল্প সময়ের এর মধ্যে সামাল দেওয়া যেত। আর আমাদের ডাইনিংয়ের খালা উনি চুলা ধরানোর সময় গন্ধ পেয়েও বুঝতে পারেনি গ্যাস লিক হয়েছে কিংবা আগুন জালানো যাবে না।

কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের কামরুল বলেন, হেল্পলাইন থেকে আমার কাছে ফোন আসা মাত্রই একটি টিম পাঠিয়েছিলাম। তারা পৌছানোর আগেই শিক্ষার্থীরা আগুন নিভিয়ে ফেলেছে। গ্যাসের নলে ছিদ্র থাকায় মূলত আগুন লেগেছিল। সেক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি।

হলে দায়িত্বরত হাউজ টিউটর ড. মো: এরশাদুল হক বলেন, ডাইনিং থেকে যখনই আমার কাছে ফোন আসে, সাথে সাথেই আমি হেল্প লাইনে ফোন দিয়েছিলাম। পরে একটি ফায়ার সার্ভিস টিম এসে বিষয়টি দেখে।

অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৫ আগষ্টের আগে হলের প্রতিটি ফ্লোরে অগ্নিনির্বাপক রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পরবর্তীতে দেশের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হওয়ায় এই নিয়ে কাজ করা হয়নি। তবে খুব শীগ্রই আমরা হলে অগ্নিনির্বাপকের ব্যবস্থা করবো।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:৪০:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
১০৩ বার পড়া হয়েছে

ইবির খালেদা জিয়া হলে ফের অগ্নিকান্ড

আপডেট সময় ১২:৪০:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খালেদা জিয়া আবাসিক হলের ডাইনিং এর রান্নাঘরে গ্যাসের নলে ছিদ্র থেকে এই অগ্নিকান্ড ঘটনাটি ঘটেছে। তবে এতে বড় ধরনের কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

 

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে খালেদা জিয়া হলের রান্নাঘরে এ ঘটনা ঘটে। ফলে ছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে তারা হল থেকে বেরিয়ে পড়েন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে হল ডাইনিং এর রান্নাঘরে সকালের জন্য রান্না করতে যায়। পরে চুলা জ্বালাতে গ্যাস সিলেন্ডার পাইপ থেকে আগুন জলে উঠে। কিন্তু তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এছাড়াও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চলে যায়। হলে প্রায় পাঁচ শতাধিক ছাত্রী থাকেন কিন্তু অগ্নিনির্বাপক কোনো ব্যবস্থা নেই। বিষয়টি নিয়ে হলের শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত বলেও জানান তারা।

হলের শিক্ষার্থী সুমাইয়া বলেন, আমাদের হলের ডাইনিং এ এতদিন গ্যাস এর চুলা ব্যবহার হয়নি। নতুন ম্যানেজার এনেছে। আমাদের যে খালা তিনি এর ব্যবহার ঠিকঠাক জানেন না। গতকাল কে চুলা অফ করেছে জানিনা তবে ঠিকভাবে অফ হয়নি। সারা রাত গ্যাস বের হয়েছে সকালে যখন চুলা ধরাতে গেছে তখন আগুন লেগে গেছে। আগুন ধরেছে ভোর ৫:৩৮ মিনিটে। যখন সাধারণত সবাই ঘুমিয়ে থাকে। আগুন অনেক বেশি জ্বলছিল ভায়ানক দেখা যাচ্ছিল। আমাদের রুমের (১১৩) জানালা দিয়ে দেখা যায় ডাইনিং। যিনি এই ঘটনা প্রথম প্রত্যক্ষ করেন তার চিৎকারে ঘুমন্ত অবস্থা থেকে প্রায় সকলে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে বাইরে চলে আসে। ভয়ংকর একটা অবস্থা সৃষ্টি হয়। তারপর গেটের মামা এবং বাইরে থেকে অন্যান্যরা আসে কিন্তু আগুন ঐভাবে চলতেই থাকে। আমাদের এক বড় আপু কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসে ফোন দেয়।

তিনি আরও বলেন, ওনারা এসে বিষয়টা বোঝায় যে কিভাবে গ্যাসের আগুন বন্ধ করা যায় বা কিভাবে এটা হতে পারে। একটা অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র থাকলে অবশ্যই এই পরিস্থিতি খুব অল্প সময়ের এর মধ্যে সামাল দেওয়া যেত। আর আমাদের ডাইনিংয়ের খালা উনি চুলা ধরানোর সময় গন্ধ পেয়েও বুঝতে পারেনি গ্যাস লিক হয়েছে কিংবা আগুন জালানো যাবে না।

কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের কামরুল বলেন, হেল্পলাইন থেকে আমার কাছে ফোন আসা মাত্রই একটি টিম পাঠিয়েছিলাম। তারা পৌছানোর আগেই শিক্ষার্থীরা আগুন নিভিয়ে ফেলেছে। গ্যাসের নলে ছিদ্র থাকায় মূলত আগুন লেগেছিল। সেক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি।

হলে দায়িত্বরত হাউজ টিউটর ড. মো: এরশাদুল হক বলেন, ডাইনিং থেকে যখনই আমার কাছে ফোন আসে, সাথে সাথেই আমি হেল্প লাইনে ফোন দিয়েছিলাম। পরে একটি ফায়ার সার্ভিস টিম এসে বিষয়টি দেখে।

অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৫ আগষ্টের আগে হলের প্রতিটি ফ্লোরে অগ্নিনির্বাপক রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পরবর্তীতে দেশের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হওয়ায় এই নিয়ে কাজ করা হয়নি। তবে খুব শীগ্রই আমরা হলে অগ্নিনির্বাপকের ব্যবস্থা করবো।