ইবির বগুড়া জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির চড়ুইভাতি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
উৎসবমুখর পরিবেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বগুড়া জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘বগুড়া জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি’র উদ্যোগে চড়ুইভাতি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্প্রতিবার (৩ অক্টোবর) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসির সামনে দিনব্যাপি এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলাটির ২০১৭-১৮ থেকে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত প্রতিটি ব্যাচের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
এদিন, অনুষ্ঠানের শুরুতেই বগুড়ার ঐতিহ্যবাহি “হামরা বোগরোড় ছোল পুটিমাছ মারবার যাইয়া মাইরা আনি বোইল” গান দিয়ে শুরু হওয়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে প্রায় দুই ঘন্টা। এসময় তারা কাওয়ালী, নাশীদ, আধুনিক গান ও কবিতা আবৃতি ও বগুড়ার আঞ্চলিক ভাষায় কুশল বিনিময় করে শিক্ষার্থীরা।
টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল কাইয়ুম বলেন, আমি ক্যাম্পাসে এসেছি প্রায় দুইবছর হলো কিন্তু জেলার ছাত্রকল্যান সমিতির কোন প্রোগ্রাম দেখিনি। আজ জেলা কল্যানের এমন একটা প্রোগ্রাম পেয়ে খুবই আনন্দিত। আশা করি এমন অনুষ্ঠান আমরা মাঝে মাঝেই পাবো।
সংগঠনটির সদস্য সচিব সাদ আল মায়াজ বলেন, ‘বগুড়া জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের প্রাণের সংগঠন বগুড়া জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি। আজকের আয়োজনটি সফল করার জন্য যাদের অবদান তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বিশেষ করে আমার বন্ধু মামুন ও শাহিন আমাকে বিভিন্ন ভাবে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন এবং কাজ করেছেন। এছাড়াও বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নেহের ছোট ভাইদের। আমাদের লক্ষ্য থাকবে সবাইকে সাথে নিয়ে সংগঠনকে গতিশীল করা।
সংগঠনটির আহবায়ক আলী আরমান রকি বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য কল্যাণকর এমন নানাবিধ সৃষ্টিশীল ও বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞানচর্চার সুযোগ থাকে এমন কিছু কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে চাই। আশা রাখি আমাদের ছাত্রকল্যাণ সমিতিতে যুক্ত থাকার মধ্য দিয়ে পারস্পারিক ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি গড়ে উঠবে। সুখে দুঃখে আমরা একে অপরের পাশে থাকতে পারবো। সবার সহযোগিতা ও অংশগ্রহণে বগুড়া জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বুকে শ্রেষ্ঠ ও মডেল জেলা কল্যাণ সমিতি হিসেবে গড়ে তোলার আশাবাদ ব্যক্ত করছি। এসময় তিনি খুব দ্রুত নতুন কমিটি দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেন।