ঢাকা ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইবির বাসে মারধরের শিকার ইবি শিক্ষার্থী

ওয়াসিফ আল আবরার, ইবি

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে বহিরাগত যাত্রী তুলতে নিষেধ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ড্রাইভার ও হেলপার কর্তৃক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধরের শিকার হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নবীন এক শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

রবিবার (৩ মার্চ ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তর ও প্রক্টর বরাবর লাঞ্চিতের অভিযোগ তুলে বিচার দাবি করে আবেদন দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

অভিযোগ পত্রে ভুক্তভোগী বলেন, শনিবার আনুমানিক বিকাল ৩ টায় কুষ্টিয়া থেকে ক্যাম্পাসে আসার উদ্দেশ্যে মজমপুর থেকে ‘নিউ এসবি সুপার ডিলাক্স’ যার নাম্বার প্লেট (ঢাকা মেট্রো-ব ১৪৭৪৯৫) নামে একটি বাসে উঠি। বাসে উঠার পর দেখতে পাই তারা বহিরাগত যাত্রীদের কে বাসে তুলছে, পরে আমি বহিরাগতদের তুলতে নিষেধ করি এবং দ্রুত গাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কথা বললে বাসের হেলপার আমাকে খুব অশ্লীল ভাষায় আমার বাবা-মা তুলে গালাগালি শুরু করেন এবং এক পর্যায়ে আমাকে জোর করে বাস থেকে নামিয়ে দেয়। তাদের কর্মকাণ্ডের প্রমাণ রাখতে আমি ভিডিও করতে গেলে বাসের ড্রাইভার এবং হেলপার মিলে ক্যাম্পাসে আসলে আমাকে দেখে নিবে, কুষ্টিয়া থেকে তুলে নিয়ে যাবে বলে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিট করার জন্য চাপ দিতে থাকে। আমি ফোন দিতে রাজি না হলে, তারা দুজন আবারো গালাগালি ও এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সানি আহমেদ মিথুন বলেন, বাসে উঠে দেখি অনেক বহিরাগত যাদের নামিয়ে দেওয়ার জন্য বললে অশালীন ভাষায় গালি দেয় এবং পরে ডকুমেন্টস হিসেবে ভিডিও করতে গেলে ড্রাইভার ও হেলপার ধরে মারধর করে। এই বিষয়ে অভিযোগ পত্র দেওয়া হয়েছে। এখন কী করব বুঝতে পারছি না। আমি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত।

এ বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন বলেন, ড্রাইভার-হেলপার কর্তৃক মারধরের ঘটনায় আমাদের কাছে একটা অভিযোগ পত্র এসেছে। ভুক্তভোগীর সাথে যোগাযোগ করে কাল সকালে বসব। সত্যতা খুঁজে পেলে যযথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটি শোনার পর আমি ড্রাইভারের সাথে কথা বলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। এই ড্রাইভার আর আমাদের ক্যাম্পাসে ঢুকবে না। তবে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা পূনরায় ঘটলে আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর সিদ্ধান্ত নিবো।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:০২:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪
১৬৬ বার পড়া হয়েছে

ইবির বাসে মারধরের শিকার ইবি শিক্ষার্থী

আপডেট সময় ০৭:০২:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে বহিরাগত যাত্রী তুলতে নিষেধ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ড্রাইভার ও হেলপার কর্তৃক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধরের শিকার হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নবীন এক শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

রবিবার (৩ মার্চ ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তর ও প্রক্টর বরাবর লাঞ্চিতের অভিযোগ তুলে বিচার দাবি করে আবেদন দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

অভিযোগ পত্রে ভুক্তভোগী বলেন, শনিবার আনুমানিক বিকাল ৩ টায় কুষ্টিয়া থেকে ক্যাম্পাসে আসার উদ্দেশ্যে মজমপুর থেকে ‘নিউ এসবি সুপার ডিলাক্স’ যার নাম্বার প্লেট (ঢাকা মেট্রো-ব ১৪৭৪৯৫) নামে একটি বাসে উঠি। বাসে উঠার পর দেখতে পাই তারা বহিরাগত যাত্রীদের কে বাসে তুলছে, পরে আমি বহিরাগতদের তুলতে নিষেধ করি এবং দ্রুত গাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কথা বললে বাসের হেলপার আমাকে খুব অশ্লীল ভাষায় আমার বাবা-মা তুলে গালাগালি শুরু করেন এবং এক পর্যায়ে আমাকে জোর করে বাস থেকে নামিয়ে দেয়। তাদের কর্মকাণ্ডের প্রমাণ রাখতে আমি ভিডিও করতে গেলে বাসের ড্রাইভার এবং হেলপার মিলে ক্যাম্পাসে আসলে আমাকে দেখে নিবে, কুষ্টিয়া থেকে তুলে নিয়ে যাবে বলে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিট করার জন্য চাপ দিতে থাকে। আমি ফোন দিতে রাজি না হলে, তারা দুজন আবারো গালাগালি ও এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সানি আহমেদ মিথুন বলেন, বাসে উঠে দেখি অনেক বহিরাগত যাদের নামিয়ে দেওয়ার জন্য বললে অশালীন ভাষায় গালি দেয় এবং পরে ডকুমেন্টস হিসেবে ভিডিও করতে গেলে ড্রাইভার ও হেলপার ধরে মারধর করে। এই বিষয়ে অভিযোগ পত্র দেওয়া হয়েছে। এখন কী করব বুঝতে পারছি না। আমি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত।

এ বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন বলেন, ড্রাইভার-হেলপার কর্তৃক মারধরের ঘটনায় আমাদের কাছে একটা অভিযোগ পত্র এসেছে। ভুক্তভোগীর সাথে যোগাযোগ করে কাল সকালে বসব। সত্যতা খুঁজে পেলে যযথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটি শোনার পর আমি ড্রাইভারের সাথে কথা বলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। এই ড্রাইভার আর আমাদের ক্যাম্পাসে ঢুকবে না। তবে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা পূনরায় ঘটলে আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর সিদ্ধান্ত নিবো।