ঢাকা ০৩:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ

ওয়াসিফ আল আবরার, ইবি

 

 

ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল।

 

শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা নিজেদের পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার এইচ. এম আলী হাসান বলেন, তাদের পদত্যাগ পত্রটি পেয়েছি। তারা দুজনের ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করেছেন। পরবর্তী প্রশাসন আসলে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আসলে প্রক্টরের কোন কাজে উপাচার্যের কাছে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু আমাদের ক্যাম্পাসের উপাচার্য মহোদয় পদত্যাগ করছেন, তাই আমি চাইলেও আমার মতো করে কোন কাজ করতে পারবো না। তাই ব্যক্তিগতভাবে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এই পদে আমার আর না থাকাই ভালো হবে। তাই পদত্যাগ করেছি।

ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে পদত্যাগের বিষয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ চিন্তা করছিলাম। আজ আমি একান্তই ব্যক্তিগত কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। তবে পদে থাকি আর না থাকি আমি মনে করি শিক্ষকরা বেঁচে থাকেন শিক্ষার্থীদের মাঝে। আমি ভবিষ্যতে সবসময়ই আমার প্রিয় শিক্ষার্থীদের সাথে থাকার চেষ্টা করব।

এর আগে, ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারী প্রক্টর হিসেবে অধ্যাপক আজাদ ও এবছরের ৩০শে মার্চ ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে অধ্যাপক বাকী বিল্লাহ দায়িত্ব পান। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে ৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার একযোগে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টাও পদত্যাগ করলেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৩৩:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪
৫৩ বার পড়া হয়েছে

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ

আপডেট সময় ০৮:৩৩:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪

 

 

ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল।

 

শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা নিজেদের পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার এইচ. এম আলী হাসান বলেন, তাদের পদত্যাগ পত্রটি পেয়েছি। তারা দুজনের ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করেছেন। পরবর্তী প্রশাসন আসলে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আসলে প্রক্টরের কোন কাজে উপাচার্যের কাছে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু আমাদের ক্যাম্পাসের উপাচার্য মহোদয় পদত্যাগ করছেন, তাই আমি চাইলেও আমার মতো করে কোন কাজ করতে পারবো না। তাই ব্যক্তিগতভাবে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এই পদে আমার আর না থাকাই ভালো হবে। তাই পদত্যাগ করেছি।

ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে পদত্যাগের বিষয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ চিন্তা করছিলাম। আজ আমি একান্তই ব্যক্তিগত কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। তবে পদে থাকি আর না থাকি আমি মনে করি শিক্ষকরা বেঁচে থাকেন শিক্ষার্থীদের মাঝে। আমি ভবিষ্যতে সবসময়ই আমার প্রিয় শিক্ষার্থীদের সাথে থাকার চেষ্টা করব।

এর আগে, ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারী প্রক্টর হিসেবে অধ্যাপক আজাদ ও এবছরের ৩০শে মার্চ ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে অধ্যাপক বাকী বিল্লাহ দায়িত্ব পান। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে ৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার একযোগে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টাও পদত্যাগ করলেন।