ইসলামী ব্যাংকের লকার থেকে ১৪৯ ভরি স্বর্ণালংকার উধাও
চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখার লকার থেকে এক গ্রাহকের ১৪৯ ভরি স্বর্ণালংকার উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। রোববার (২ জুন) ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নজরুল ইসলাম সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিটি লকার খোলার জন্য দুটি চাবির প্রয়োজন হয়। যার একটি গ্রাহক ও অপরটি ব্যাংকের নিকট থাকে। গ্রাহকের চাবি ব্যতীত শুধুমাত্র ব্যাংকে রক্ষিত চাবি দিয়ে কোনোভাবেই লকার খোলা সম্ভব নয়। ব্যাংকিং নিয়ম অনুযায়ী গ্রাহককে তার লকারের মূল চাবি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। লকারে রক্ষিত মালামাল ও তার পরিমাণ সম্পর্কে গ্রাহক ব্যতীত ব্যাংকার বা অন্য কোনও ব্যক্তির জানার সুযোগ নেই।
আরও বলা হয়, গত ৮ এপ্রিল লকারের গ্রাহক রোকেয়া বারী লকার ব্যবহারের জন্য ব্যাংকে আসেন। এ সময় ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রাহকের উপস্থিতিতে মাস্টার কি (চাবি) দিয়ে লকার আনলক করেন। পরবর্তীতে গ্রাহক যথারীতি তার নিকট রক্ষিত চাবি ব্যবহার করে পরিপূর্ণভাবে লকার খুলে তার কাজ শেষে লকার বন্ধ করে ব্যাংকারকে অবহিত করে চলে যান।
নিয়ম অনুযায়ী লকার বন্ধ করার সময় ব্যাংকের কারো উপস্থিত থাকার সুযোগ নেই। একমাত্র গ্রাহকই তার লকার বন্ধ করতে পারেন। গ্রাহক যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংক কর্মকর্তা লকার রুমের মূল ফটক নিয়ম মাফিক তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেন।
গত ২৯ মে গ্রাহক রোকেয়া বারী লকার ব্যবহার করতে এসে তার গহনা খোয়া গেছে বলে ব্যাংককে জানান। লকার হোল্ডার একবার বলেন, তার ৩০০ ভরি স্বর্ণ নেই, কিছুক্ষণ পর আবার জানান ১৫০ ভরি স্বর্ণ নেই এবং কিছুক্ষণ পর আবার জানান ১৫০ ভরির মধ্যে অর্ধেক পেয়েছেন, বাকি অর্ধেক পাননি। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ লকার রুম পরিদর্শন করেছে এবং গ্রাহকের অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটির প্রদত্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যাংক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ বিষয়ে ব্যাংকের পক্ষ থেকেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এর আগে, চট্টগ্রাম নগরীর চট্টেশ্বরী সড়কের বিটিআই বেভারলী হিলসের বাসিন্দা রোকেয়া বারী ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার লকার থেকে ১৪৯ ভরি স্বর্ণালংকার উধাও হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। গত ২৯ মে এ ঘটনা ঘটে।