ঢাকা ০১:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসিকে পাবনা-১ এর স্বতন্ত্র প্রার্থীর চ্যালেঞ্জ

ওয়াসিফ আল আবরার

সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন ৬৮, পাবনা-১ (সাথিয়া-বেড়া আংশিক) নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি দাবি করে নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন এই আসনের ট্রাক মার্কা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ডক্টর আবু সাইয়িদ।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারী) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই আসনের নির্বাচনী ফলাফল বাতিল ও পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করেন তিনি।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ৬৮, পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়া আংশিক) নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। কেননা নির্বাচন বিধি-বিধান লংঘন করে এজেন্টদের ভোট কেন্দ্র থেকে বিতারণ করা, কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, ভোটের আগের রাত্রে এজেন্টদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে অন্যত্র আটকে রাখা, ভোট কেন্দ্রের ভেতরে থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টদের রক্তাক্ত করে বের করে দেওয়া, ভোট কেন্দ্রের ভেতরে জোরপূর্বক ঢুকে ব্যালট পেপার নিয়ে সিল মেরে ব্যালট বাক্সে ঢোকানো, কোনো কোনো কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক এজেন্টদের অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া, জোরপূর্বক ব্যালট ছিনতাই করে বাক্সে ঢুকানো ব্যালটের মুড়ি বইতে কোনো প্রকার ভোটার নম্বর না থাকা এবং প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক অগ্রিমভাবে বহু ব্যালট পেপারে সিল দিয়ে রাখা ইত্যাদি অনিয়মের কারণে ৬৮, পাবনা-১ নির্বাচনের ফলাফল অবিলম্বে স্থগিত রাখা ও গেজেটভুক্ত না করার জন্য ইতোমধ্যেই বারবার প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবর আবেদন করেছি।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে আমি বলতে চাই, যেহেতু এই আসনে (৬৮, পাবনা-১) নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় নাই সেহেতু কমপক্ষে ৫৮টি ভোট কেন্দ্র উপর্যুক্ত কারণে অবিলম্বে ফলাফল বাতিল এবং পুনঃনির্বাচনের দাবি জানাই।

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ট্রাক মার্কা প্রতীক নিয়ে ১২৫ টি কেন্দ্রের ফলাফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ট্রাক পেয়েছেন ৭২,৩৮৭ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু ৯৪,৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪,৩১,৬২০ জন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৫৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪
৫৭ বার পড়া হয়েছে

ইসিকে পাবনা-১ এর স্বতন্ত্র প্রার্থীর চ্যালেঞ্জ

আপডেট সময় ০৮:৫৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪

সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন ৬৮, পাবনা-১ (সাথিয়া-বেড়া আংশিক) নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি দাবি করে নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন এই আসনের ট্রাক মার্কা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ডক্টর আবু সাইয়িদ।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারী) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই আসনের নির্বাচনী ফলাফল বাতিল ও পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করেন তিনি।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ৬৮, পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়া আংশিক) নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। কেননা নির্বাচন বিধি-বিধান লংঘন করে এজেন্টদের ভোট কেন্দ্র থেকে বিতারণ করা, কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, ভোটের আগের রাত্রে এজেন্টদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে অন্যত্র আটকে রাখা, ভোট কেন্দ্রের ভেতরে থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টদের রক্তাক্ত করে বের করে দেওয়া, ভোট কেন্দ্রের ভেতরে জোরপূর্বক ঢুকে ব্যালট পেপার নিয়ে সিল মেরে ব্যালট বাক্সে ঢোকানো, কোনো কোনো কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক এজেন্টদের অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া, জোরপূর্বক ব্যালট ছিনতাই করে বাক্সে ঢুকানো ব্যালটের মুড়ি বইতে কোনো প্রকার ভোটার নম্বর না থাকা এবং প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক অগ্রিমভাবে বহু ব্যালট পেপারে সিল দিয়ে রাখা ইত্যাদি অনিয়মের কারণে ৬৮, পাবনা-১ নির্বাচনের ফলাফল অবিলম্বে স্থগিত রাখা ও গেজেটভুক্ত না করার জন্য ইতোমধ্যেই বারবার প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবর আবেদন করেছি।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে আমি বলতে চাই, যেহেতু এই আসনে (৬৮, পাবনা-১) নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় নাই সেহেতু কমপক্ষে ৫৮টি ভোট কেন্দ্র উপর্যুক্ত কারণে অবিলম্বে ফলাফল বাতিল এবং পুনঃনির্বাচনের দাবি জানাই।

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ট্রাক মার্কা প্রতীক নিয়ে ১২৫ টি কেন্দ্রের ফলাফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ট্রাক পেয়েছেন ৭২,৩৮৭ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু ৯৪,৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪,৩১,৬২০ জন।