ঢাকা ০৫:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে, আমি তাদের নিয়ে চলব: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদ

‘দেশে এক শ্রেণির মানুষ আছে যারা বেশ জ্ঞানী-গুণী কিন্তু তারা সব সময় দেশের অর্জনের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তাদের দিকে আমাদের তাকানোর সুযোগ নেই। বাংলাদেশের উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে, আমি তাদের নিয়ে চলব। আর সেভাবেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’

রোববার (২ জুন) গণভবনে ‘আমার চোখে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোন দেশের সঙ্গে কোন দেশের ঝগড়া, সেটা আমার দেখার দরকার নাই। আমার দরকার উন্নয়ন। যারা এ উন্নয়নে সহযোগিতা করবে তাদেরকে নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই।

সরকার প্রধান বলেন, দেশে একশ্রেণির লোক আছে যারা বেশ জ্ঞানী-গুণী, কিন্তু তারা শুধু নিজেদের আরাম-আয়েশের কথা চিন্তা করে পড়ে থাকে। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ শক্তিশালী হবে, সিদ্ধান্ত নেবে, ক্ষমতাসীন হবে–এটা তারা মানতে পারে না, পছন্দ করে না।

তিনি বলেন, তারা সবসময় এটা অর্জনের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। আর তাদের সঙ্গে ইন্ধন জোগায় স্বাধীনতাবিরোধী দেশগুলো। যারা সেভেন ফ্লিট পাঠিয়েছিল। তাদের কাছে বাংলাদেশের বিজয় গ্রহণযোগ্য ছিল না।

ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা যায় না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, একদল মানুষ চেয়েছিল এদেশের ইতিহাস বিকৃতি করতে। কিন্তু সেটা তারা পারেনি। ইতিহাস বিকৃতি এখন মুছে গেছে। মানুষের সামনে সঠিক ইতিহাস উঠে এসেছে।

১৫ আগস্টে স্মৃতিচারণা করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর, জার্মানিতে ৬ বছর নির্বাসনে থাকাকালীন জয়-পুতুল খুব দেশে আসতে চাইত। সারা দিন কান্নাকাটি করত। ইন্দিরা গান্ধীও অনেক চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু আমাদের দেশে আসতে দেয়া হয়নি।

সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। পরিবারের সবাই সেটা জানতেন, কিন্তু স্বাধীনতার কথা মুখে বলা বারণ ছিল।

প্রতিযোগীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের তৈরি করতে হবে। রেহানা ও আমি ছেলেমেয়েদের একটা জিনিস শিখিয়েছি যে, তোমাদের জন্য কোনো সম্পদ রেখে যেতে পারব না। তোমাদের একটাই সম্পদ, সেটা হলো শিক্ষা। এটা অর্জন করলে কেউ ছিনতাই-হাইজ্যাক করতে পারবে না। কেননা, জ্ঞান তো কেড়ে নেয়া যায় না।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:০১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪
১৬৬ বার পড়া হয়েছে

উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে, আমি তাদের নিয়ে চলব: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০১:০১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

‘দেশে এক শ্রেণির মানুষ আছে যারা বেশ জ্ঞানী-গুণী কিন্তু তারা সব সময় দেশের অর্জনের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তাদের দিকে আমাদের তাকানোর সুযোগ নেই। বাংলাদেশের উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে, আমি তাদের নিয়ে চলব। আর সেভাবেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’

রোববার (২ জুন) গণভবনে ‘আমার চোখে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোন দেশের সঙ্গে কোন দেশের ঝগড়া, সেটা আমার দেখার দরকার নাই। আমার দরকার উন্নয়ন। যারা এ উন্নয়নে সহযোগিতা করবে তাদেরকে নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই।

সরকার প্রধান বলেন, দেশে একশ্রেণির লোক আছে যারা বেশ জ্ঞানী-গুণী, কিন্তু তারা শুধু নিজেদের আরাম-আয়েশের কথা চিন্তা করে পড়ে থাকে। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ শক্তিশালী হবে, সিদ্ধান্ত নেবে, ক্ষমতাসীন হবে–এটা তারা মানতে পারে না, পছন্দ করে না।

তিনি বলেন, তারা সবসময় এটা অর্জনের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। আর তাদের সঙ্গে ইন্ধন জোগায় স্বাধীনতাবিরোধী দেশগুলো। যারা সেভেন ফ্লিট পাঠিয়েছিল। তাদের কাছে বাংলাদেশের বিজয় গ্রহণযোগ্য ছিল না।

ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা যায় না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, একদল মানুষ চেয়েছিল এদেশের ইতিহাস বিকৃতি করতে। কিন্তু সেটা তারা পারেনি। ইতিহাস বিকৃতি এখন মুছে গেছে। মানুষের সামনে সঠিক ইতিহাস উঠে এসেছে।

১৫ আগস্টে স্মৃতিচারণা করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর, জার্মানিতে ৬ বছর নির্বাসনে থাকাকালীন জয়-পুতুল খুব দেশে আসতে চাইত। সারা দিন কান্নাকাটি করত। ইন্দিরা গান্ধীও অনেক চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু আমাদের দেশে আসতে দেয়া হয়নি।

সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। পরিবারের সবাই সেটা জানতেন, কিন্তু স্বাধীনতার কথা মুখে বলা বারণ ছিল।

প্রতিযোগীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের তৈরি করতে হবে। রেহানা ও আমি ছেলেমেয়েদের একটা জিনিস শিখিয়েছি যে, তোমাদের জন্য কোনো সম্পদ রেখে যেতে পারব না। তোমাদের একটাই সম্পদ, সেটা হলো শিক্ষা। এটা অর্জন করলে কেউ ছিনতাই-হাইজ্যাক করতে পারবে না। কেননা, জ্ঞান তো কেড়ে নেয়া যায় না।