পদ্মা সেতুতে উঠলেই তার ক্ষুধা চলে যাবে?
উন্নয়ন নামের নাটক বন্ধ করুন- গণ অধিকার পরিষদ
৫ই জানুয়ারি ২০২৪ রোজ শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা পল্টন বিজয় নগর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশ করেন গণ অধিকার পরিষদ ও যুব অধিকার পরিষদ ।
মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন৷
মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশে তাদের বক্তব্য দান তারা আগামী ৭ তারিখ নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানান৷ তারা বলেন সরকার একতরফা নির্বাচন দিয়ে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে৷ সরকার ক্ষমতার নেশায় মত্ত হয়ে গেছে, জনগণকে জনগণ মনে করতেছে না, সরকার একতরফা নির্বাচন করে নিজের ক্ষমতা আবার টিকিয়ে রাখার পাঁয়তারা করছে, যেমনটি করেছিল ২০১৪ এবং ২০১৮ নির্বাচনে।
বক্তব্যে আরও বলেন আমরা সরকারকে বলতে চাই, আপনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে প্রহসনমূলক নির্বাচন বন্ধ করুন, আপনি জনগণের কাছে ক্ষমা চান, জনগণ আপনাকে ক্ষমা করে দিবে, এবং আমরাও আপনাকে ক্ষমা করে দিব, আমরা আবারো আপনাদের সাথে এক টেবিলে বসতে চাই, কিন্তু আপনি পদত্যাগ করে সকল দলের সমন্বয়ে নির্বাচনের আয়োজন করুন।
২০১৪ এবং ২০১৮ এর মত প্রহসন মূলক নির্বাচন করলে ১৮ কোটি জনগণ মেনে নিবে না। আমরা আরো বলতে চাই , আপনার যদি শুভবুদ্ধির উদয় হয়ে থাকে, বুদ্ধিমানের মত পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকার গঠন করে নির্বাচনের আয়োজন করুন।
তারা সরকারের সমালোচনা করে আরো বলেন, যে ১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু ৩৫ হাজার কোটি টাকায় করেছেন, এখানে বিপুল পরিমাণ একটা দুর্নীতি করেছেন, যার ঋণের ভার জনগণ কে নিতে হচ্ছে, আপনি বঙ্গবন্ধুর টানেল করেছেন, মেট্রো রেল করেছেন, দেশ অনেক উন্নয়ন করেছেন, কিন্তু মানুষের জীবনযাত্রার কি উন্নয়ন করেছেন ?এখন মানুষ বাজারে কিনতে গিয়ে ধুকে ধুকে কেদে মরে, কোনো জিনিসের গায়ে হাত দেওয়ার আগেই যেন পকেটে টাকা শেষ হয়ে যায়। একজন মানুষ যখন কোন জিনিস কিনতে পারেনা তখন কি আপনার এই উন্নয়ন খেয়ে থাকবে?তখন কি পদ্মা সেতুতে উঠলেই তার ক্ষুধা চলে যাবে? আপনার বঙ্গবন্ধু টানেলে উঠলেই কি সেই ক্ষুদা চলে যাবে? আমরা বলতে চাই এটা কোন উন্নয়ন নয়। এ উন্নয়ন নামের নাটক বন্ধ করুন জনগণ আর আপনাদের নাটক দেখতে চায় না।
বক্তব্য শেষে মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশ সংক্ষিপ্ত করে, সেখান থেকেই মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি বিজয়নগর পানির ট্যাংক, গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে হতে শুরু হয়ে,পল্টন, বায়তুল মোকাররম, ফকিরাপুল, নয়া পল্টন, বিএনপির কার্যালয়ের সামনে দিয়ে, আবারো বিজয়নগর, পল্টন, হয়ে প্রেসক্লাব, অভিমুখে রওনা দেন। জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় বিক্ষোভ করে, বিক্ষোভটি পল্টন মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে সমাপ্ত ঘোষণা করেন।