ঢাকা ১০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ইবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ

ওয়াসিফ আল আবরার, ইবি

উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (ইবিশিস) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে অনুষদ ভবনের ৪২৭ নং কক্ষে ভোট গ্রহণ শুরু হয় যা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।

শিক্ষক সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা যায় ভোটকেন্দ্রের সামনে। ভোট দিতে আসা শিক্ষকদের মাঝে লক্ষ্য করা যায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। ভোট প্রদান শেষে নিজেদের মাঝে খোশগল্পে মেতে ওঠেন শিক্ষকরা। নির্বাচনের শেষ সময়ে এসেও নির্বাচনী প্রচারণায় লিপ্ত ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। নির্বাচনে নিজ পক্ষের প্যানেলের জয় নিয়ে আশাবাদী উভয়পক্ষের শিক্ষকরা।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা প্যানেলগুলো হলো- মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম মনোনীত ড. মাহবুবুর-ড. মামুনুর প্যানেল, শাপলা ফোরামের সদস্যদের মনোনীত ড. আনোয়ার-ড. স্বপন প্যানেল এবং ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষক সমর্থিত গ্রিন ফোরাম। এছাড়া স্বতন্ত্র ভাবে অধ্যাপক ড. খন্দকার তৌহিদুল আনাম সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ৩টি পূর্ণাঙ্গ প্যানেলের মধ্যে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের দুইটি প্যানেল রয়েছে। প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম মনোনীত প্যানেল থেকে অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান সভাপতি ও অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শাপলাপন্থী আওয়ামী শিক্ষকদের অন্য আরেকটি প্যানেলে অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন সভাপতি পদে ও অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন। জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ড. আবু সিনা সভাপতি ও অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে ভোট বর্জন করেছে বিএনপিপন্থী শিক্ষক সংগঠন জিয়া পরিষদ, সাদা দল এবং ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।

নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে নাই। সকলের সহযোগীতায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলে আমরা আশাবাদী।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
১১০ বার পড়া হয়েছে

উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ইবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ

আপডেট সময় ০৬:০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (ইবিশিস) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে অনুষদ ভবনের ৪২৭ নং কক্ষে ভোট গ্রহণ শুরু হয় যা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।

শিক্ষক সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা যায় ভোটকেন্দ্রের সামনে। ভোট দিতে আসা শিক্ষকদের মাঝে লক্ষ্য করা যায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। ভোট প্রদান শেষে নিজেদের মাঝে খোশগল্পে মেতে ওঠেন শিক্ষকরা। নির্বাচনের শেষ সময়ে এসেও নির্বাচনী প্রচারণায় লিপ্ত ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। নির্বাচনে নিজ পক্ষের প্যানেলের জয় নিয়ে আশাবাদী উভয়পক্ষের শিক্ষকরা।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা প্যানেলগুলো হলো- মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম মনোনীত ড. মাহবুবুর-ড. মামুনুর প্যানেল, শাপলা ফোরামের সদস্যদের মনোনীত ড. আনোয়ার-ড. স্বপন প্যানেল এবং ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষক সমর্থিত গ্রিন ফোরাম। এছাড়া স্বতন্ত্র ভাবে অধ্যাপক ড. খন্দকার তৌহিদুল আনাম সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ৩টি পূর্ণাঙ্গ প্যানেলের মধ্যে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের দুইটি প্যানেল রয়েছে। প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম মনোনীত প্যানেল থেকে অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান সভাপতি ও অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শাপলাপন্থী আওয়ামী শিক্ষকদের অন্য আরেকটি প্যানেলে অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন সভাপতি পদে ও অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন। জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ড. আবু সিনা সভাপতি ও অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে ভোট বর্জন করেছে বিএনপিপন্থী শিক্ষক সংগঠন জিয়া পরিষদ, সাদা দল এবং ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।

নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে নাই। সকলের সহযোগীতায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলে আমরা আশাবাদী।