এ মৌসুমের তালশাঁস চলে এসেছে বাজারে
খুলনা শহরের রাস্তায় রাস্তায় তালশাঁস নিয়ে ঘুরে বেড়ানো শুরু করেছেন ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা। ক্রেতারাও ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। সুস্বাদু তালশাঁস খেয়ে পথচারী মানুষ প্রশান্তির পরশ নিয়ে দূর করছেন তাৎক্ষণিক ক্লান্তি। আবার কেউ কেউ নিজের পরিবারের জন্যও নিয়ে ঘরে ফিরছেন।
তাল পাড়া, কেনা খরচ, বহন ও নিজের মজুরি মিলে, একটি তিন চোখের পানিতাল ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি করছে ভ্রাম্যমান বিক্রেতারা।
বর্তমান বিষাক্ত ফরমালিন যুগে সম্পূর্ণভাবে ভেজালমুক্ত এই তালশাঁস যে শুধু খেতেই ভালো, তা কিন্তু নয়। এটি নানা পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ।
তালশাঁসে থাকে আয়োডিন, মিনারেলস, পটাশিয়াম, জিঙ্ক এবং ফসফরাস। এসব পুষ্টি উপাদান গরমে নানা উপায়ে শরীরের যত্নে কাজ করে। বিশেষজ্ঞরা গরমের সময়ে তালশাঁস খাওয়ার পরামর্শ দেন। এটি এই সময়ে শরীরে শক্তি জোগানোর পাশাপাশি দৈহিক তাপমাত্রা কমাতেও কাজ করে।
পাকস্থলীর সমস্যায় সমাধান দিতে পারে তালশাঁস, সেইসঙ্গে হজমশক্তি ভালো করতেও কাজ করে এটি। তালশাঁস আমাদের লিভারকে সুরক্ষিত রাখে, শরীরে সৃষ্ট অ্যালার্জি ও চুলকানির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। গরমে নিয়মিত তালশাঁস খেলে যেমন দূরে থাকা যায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকে, তেমনি শরীরে পানির অভাব দূর করে শরীরকে আর্দ্র রাখতেও কাজ করবে তালশাঁস।