কোটা সংস্কারের দাবীতে ইবি শিক্ষার্থীদের গণপদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান
সরকারি চাকরিতে ৩০% মুক্তিযুদ্ধ কোটার বিপক্ষে বৈষম্য নিরসনের কল্পে আইন পাসের লক্ষ্যে সংসদের জরুরি অধিবেশন আহ্বান ও ২৪ ঘন্টার মধ্যে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এবার ক্যাম্পাস এলাকার বাইরে কুষ্টিয়া শহরে গণপদযাত্রা, বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১৪ জুলাই) সকাল ১০ টার দিকে কুষ্টিয়ার সকল বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের শিক্ষার্থীরা চৌড়হাস মোড় থেকে মজমপুর গেট ও মুজিব চত্বর হয়ে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন কার্যালয় অভিমুখে গণ-পদযাত্রা ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ, কুষ্টিয়া পলিটেকনিক, সিটি কলেজ ও মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
পদযাত্রা শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষে ইবি ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ৭ শিক্ষার্থীর প্রতিনিধি স্মারক লিপি জমা দেয়। ডিসি মোঃ এহেতেশাম রেজার অনুপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি জমা নেন এনডিসি মোঃ মহসিন উদ্দীন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি টি আমরা যথাযথভাবে রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছে দিব।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে সংসদে অধিবেশন ডেকে আমাদের দাবিগুলো আমলে নিয়ে কমিটি গঠন করে বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কার করবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের উপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে দাবিদাওয়া মেনে নিয়ে আমাদের ক্লাসরুমে ফিরিয়ে দিক।
পরবর্তীতে ডিসি অফিসে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৭২ সালে সংবিধানটি ছিল সমতার সংবিধান যেখানে সবার সমতার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। কিন্তু আজ এতদিন পরে এসেও আমরা কোটার নামে এক বৈষম্য ব্যবস্থা দেখতে পাচ্ছি যা সংবিধানের লঙ্ঘন। ৫৬% নিয়োগ যদি কোটার মাধ্যমে হয় তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে কি করবে? উপরন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে যুক্ত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি নির্বাচন করা হচ্ছে, মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। কোটা সংস্কারে আমরা জরুরি অধিবেশন চাই।