কোটা সংস্কার আন্দোলন : আবারো ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
সরকারি চাকরি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে ২০১৮ সালের পরিপত্র বাতিল করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ৩০ শতাংশ কোটা পূনর্বহাল করার প্রতিবাদে আবারো কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে পদযাত্রা ও বিক্ষোভ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে পদযাত্রায় অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। বটতলা থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান সড়ক ও পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া বাজার প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে এসে জড়ো হয়। কর্মসূচির একপর্যায়ে কুষ্টিয়া খুলনা মহাসড়কে অবস্থান নিলে প্রায় ১ ঘন্টার মতো যানচলাচল বন্ধ থাকে।
এসময় শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই; সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে; কোটার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন; জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে; আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম; কোটা না মেধা, মেধা মেধা; মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
এসময় সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আইরিন বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করছি না। তবে আমরা নারী হয়েও যেখানে কোটা চাচ্ছি না সেখানে যুদ্ধের ৫৩ বছর পর এসে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতী-নাতনীরা কোন যুক্তিতে কোটা ভোগ করবে? সরকারি চাকরিতে এই ৩০% কোটা বৈষম্যের সৃষ্টি করে। আমরা এর দ্রুত সমাধান চাই।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, পাকিস্তানি আমলে পশ্চিম পাকিস্তানি কোটার জন্য বৈষম্যের সৃষ্টি হতো ঠিক তেমনি এখন আমরা নব্য এক বৈষম্য দেখতে পাচ্ছি। একটি নিয়োগে যদি ৫৬% চাকরি হয় কোটার মাধ্যমে তাহলে যাদের কোটা নেই তারা পড়াশোনা করে কিভাবে চাকরি পাবে? এটা একপ্রকার বৈষম্য যা একজন সচেতন নাগরিক হয়ে আমরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারিনা। ১৮ এর পরিপত্র পুনর্বহাল করা হোক।
অন্যতম সমন্বয়ক ও ইবি ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুইট বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবি আদায়ে কর্মসূচি পালন করছি। আমরা চাই সরকার ন্যায়সঙ্গত ভাবে আমাদের যৌক্তিক দাবী মেনে নিক৷ আমরা কোটা বাতিলের পক্ষে না আমরা কোটা সংস্কারের পক্ষে। তবে যদি দাবী না মেনে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল করা না হয় তবে ছাত্রসমাজ তাদের দাবী আদায়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখবে।