ঢাকা ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গবেষণা প্রকল্পে ৩৯ লাখ টাকা অনুদান পাচ্ছেন জবির ১৪ শিক্ষক

আরাফাতুল হক চৌধুরী, জবি
গবেষণা প্রকল্পে ৩৯ লাখ টাকা অনুদান পাচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১৪ জন শিক্ষক। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে গবেষণা প্রকল্পে এ অনুদান পেতে যাচ্ছেন তারা।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) অনুদানের জন্য মনোনীত একাধিক শিক্ষক বিষয়টি জানান। এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র আইচ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতেও বিষয়টি জানানো হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচির আওতায় গবেষকদের ৬৯৬টি বিশেষ গবেষণা প্রকল্প স্থান পেয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচি’ খাত হতে যেসব প্রকল্প প্রস্তাবের পিয়ার রিভিউ কমিটি কর্তৃক বিশেষ গবেষণা অনুদান দেওয়ার লক্ষ্যে সুপারিশ এবং অনুমোদন করা হয়েছে সেসব প্রকল্পে নিযুক্ত ফেলোশিপ প্রাপ্ত শিক্ষকদের নাম প্রকাশ করে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ জন শিক্ষক ৭টি প্রকল্পে ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং আরও ৭ জন শিক্ষক অপর ৭টি প্রকল্পে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
শিক্ষকদের মধ্যে গবেষণা অনুদানে সর্বোচ্চ বরাদ্দ (৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা) পাচ্ছেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের। আর রসায়ন বিভাগ থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষক এঅর্থবছরে গবেষণা অনুদান জন্য মনোনীত হয়েছেন(৬জন)।
বরাদ্দের জন্য মনোনীত শিক্ষকরা হলেন- অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক, একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জামির হোসেন, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন, ড. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান, ড. মো. দেলোয়ার হোসেন এবং ড. জগদীশ চন্দ্র দাস,ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান। পাশাপাশি গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল,কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. আবু লায়েক ও একই বিভাগের ড. মো. মনোয়ারুল ইসলাম, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহরিয়ার আহম্মদ এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শিল্পী সাহা অনুদানের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও জ্ঞান বিতরণের জায়গা। যেই গবেষণা প্রপোজালগুলো তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে সেগুলোতে অনুদানের পরিমাণ আরও বাড়ানো প্রয়োজন। অনুদানের জন্য মনোনীত শিক্ষকদের পাশে বিশ্ববিদ্যালয় থাকলে তারা আরও উৎসাহিত হবেন।
প্রসঙ্গত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ বিষয়ক প্রকল্পের গবেষণার জন্য ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছর থেকে বিশেষ গবেষণা অনুদান দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত, গবেষণারত এমএস, এমফিল, পিএইচডি এবং পোস্ট-ডক্টরাল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এই অনুদান দেওয়া হয়। সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এই ফেলোশিপ দিয়ে থাকে। সাধারণত তিনটি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এই ফেলোশিপ দেওয়া হয়। প্রতি বছর বায়োলজিক্যাল সায়েন্স, মেডিকেল সায়েন্স, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সায়েন্স, ফিজিক্যাল সায়েন্স ও ইন্টার-ডিসিপ্লিনারি গ্রুপসহ ছয়টি গ্রুপে গবেষণা অনুদান দেওয়া হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উৎসাহ দেওয়াই এই ফেলোশিপের মূল উদ্দেশ্য।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৪৬:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
২৮২ বার পড়া হয়েছে

গবেষণা প্রকল্পে ৩৯ লাখ টাকা অনুদান পাচ্ছেন জবির ১৪ শিক্ষক

আপডেট সময় ০৪:৪৬:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
গবেষণা প্রকল্পে ৩৯ লাখ টাকা অনুদান পাচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১৪ জন শিক্ষক। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে গবেষণা প্রকল্পে এ অনুদান পেতে যাচ্ছেন তারা।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) অনুদানের জন্য মনোনীত একাধিক শিক্ষক বিষয়টি জানান। এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র আইচ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতেও বিষয়টি জানানো হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচির আওতায় গবেষকদের ৬৯৬টি বিশেষ গবেষণা প্রকল্প স্থান পেয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচি’ খাত হতে যেসব প্রকল্প প্রস্তাবের পিয়ার রিভিউ কমিটি কর্তৃক বিশেষ গবেষণা অনুদান দেওয়ার লক্ষ্যে সুপারিশ এবং অনুমোদন করা হয়েছে সেসব প্রকল্পে নিযুক্ত ফেলোশিপ প্রাপ্ত শিক্ষকদের নাম প্রকাশ করে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ জন শিক্ষক ৭টি প্রকল্পে ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং আরও ৭ জন শিক্ষক অপর ৭টি প্রকল্পে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
শিক্ষকদের মধ্যে গবেষণা অনুদানে সর্বোচ্চ বরাদ্দ (৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা) পাচ্ছেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের। আর রসায়ন বিভাগ থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষক এঅর্থবছরে গবেষণা অনুদান জন্য মনোনীত হয়েছেন(৬জন)।
বরাদ্দের জন্য মনোনীত শিক্ষকরা হলেন- অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক, একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জামির হোসেন, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন, ড. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান, ড. মো. দেলোয়ার হোসেন এবং ড. জগদীশ চন্দ্র দাস,ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান। পাশাপাশি গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল,কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. আবু লায়েক ও একই বিভাগের ড. মো. মনোয়ারুল ইসলাম, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহরিয়ার আহম্মদ এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শিল্পী সাহা অনুদানের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও জ্ঞান বিতরণের জায়গা। যেই গবেষণা প্রপোজালগুলো তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে সেগুলোতে অনুদানের পরিমাণ আরও বাড়ানো প্রয়োজন। অনুদানের জন্য মনোনীত শিক্ষকদের পাশে বিশ্ববিদ্যালয় থাকলে তারা আরও উৎসাহিত হবেন।
প্রসঙ্গত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ বিষয়ক প্রকল্পের গবেষণার জন্য ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছর থেকে বিশেষ গবেষণা অনুদান দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত, গবেষণারত এমএস, এমফিল, পিএইচডি এবং পোস্ট-ডক্টরাল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এই অনুদান দেওয়া হয়। সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এই ফেলোশিপ দিয়ে থাকে। সাধারণত তিনটি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এই ফেলোশিপ দেওয়া হয়। প্রতি বছর বায়োলজিক্যাল সায়েন্স, মেডিকেল সায়েন্স, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সায়েন্স, ফিজিক্যাল সায়েন্স ও ইন্টার-ডিসিপ্লিনারি গ্রুপসহ ছয়টি গ্রুপে গবেষণা অনুদান দেওয়া হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উৎসাহ দেওয়াই এই ফেলোশিপের মূল উদ্দেশ্য।