ঢাকা ০৭:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করা হচ্ছে জিরা

মোঃ মাসুদ রানা, গাইবান্ধা

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্রথম বারের মত চাষ হচ্ছে মসলা জাতীয় ফসল জিরার চাষ। জিরা মসলা হিসেবে একটি জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত মসলা ফসল। বিশ্ব বাজারে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মসলা উচ্চমূল্য এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ কম আয়তনিক কৃষিপণ্য যা খাদ্যের স্বাদ ও ঘ্রাণ, বৃদ্ধি করে।

 

মসলা ফসলের উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার, পোষ্ট হারভেস্ট প্রযুক্তিসমুহ ব্যবহারকারী উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরামর্শ সহ বিভিন্ন সময়ে কৃষক ও কৃষিকর্মীদের প্রশিক্ষণ, মাঠদিবস, কর্মশালা আয়োজনের মাধ্যমে মসলা চাষে কৃষকদের উৎসাহ বৃদ্ধির জন্য এই প্রকল্পের ব্যবস্থা করা রয়েছে। মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের বড় সাতাল বাতাইল গ্রামে প্রদর্শনী প্লট আকারে ১০ শতক জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে মসলা জাতীয় ফসল কৃষক পর্যায়ে জিরা চাষ করা হচ্ছে।

 

ফুলবাড়ী ইউনিয়নের বড় সাতাইল-বাতাইল গ্রামের মসল্লা চাষী মোঃ এজবর আলী বলেন, বগুড়া মসলা গবেষনা ইনষ্টিটিউটের বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে স্থানীয় কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে ১০ শতক জমিতে নিয়ম মেনে সেচ, সার প্রয়োগ ও সঠিক পরিচর্যায় ৫০০ গ্রাম জিরার বীজ বপন করেছি। আসা করা যায় ভালো ফলন হবে। এই আবাদে যদি ভালো ফলন পাই তাহলে আগামী বছর আরো বেশী জমিতে জিরা চাষ করার নিয়ত আছে ।

 

গোবিন্দগঞ্জের ফুলবাড়ী ইউনিয়নের সাতাল বাতাইল ব্লক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকতা ঝর্ণা বালা বলেন প্রথমবারের মত জিরার আবাদে সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহায়াতা দিয়েছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের কৃষিতাত্বিক আবহাওয়া অধিকাংশ প্রধান মসলাগুলো যেমন-পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, আদা, হলুদ, ধনিয়া এবং অপ্রধান মসলা ফসল যেমন- মেথি, কালোজিরা, বিলাতি ধনিয়া, পান প্রভৃতির চাষের জন্য উপযোগী এবং সম্ভাবনাময়। কিন্তু চাহিদার কারণে কিছু বিদেশি মসলা যেমন-দারুচিনি, গোলমরিচ, ছোট এলাচ, লবঙ্গ, জিরা , আলুবোখারা, জয়ফল, জৈয়ত্রী প্রভৃতি পুরোপুরোই আমদানি নির্ভর এবং মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় মসলা জাতীয় ফসল হিসাবে কৃষক পর্যায়ে পরীক্ষামূলক জিরা চাষ বেশ ভালো হওয়ার আশাবাদি তিনি। এ এলাকার মাটি ও আবহওয়া জিরা চাষের উপযোগি হওয়ায় আগামীতে কৃষক পর্যায়ে বানিজ্যিক ভাবে জিরা চাষ সম্প্রসারণ ঘটানোর উদ্যোগ নেওয়ার হবে। আর বেশী জিরা চাষ করে আমদানি খরচ কমানো সম্ভব।

 

উন্নত মানের বীজ ও প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ঘটিয়ে কৃষক পর্যায়ে মসলা জাতীয় ফসল জিরা চাষ সম্প্রসারণ করা গেলে স্থানীয় ভাবে একদিকে যেমন জিরার উত্পাদন বৃদ্ধি পাবে, সেই সাথে জিরার আমদানি নির্ভরতা কমানো গেলে দেশের বৈদিশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:০৮:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
১০৭ বার পড়া হয়েছে

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করা হচ্ছে জিরা

আপডেট সময় ০৮:০৮:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্রথম বারের মত চাষ হচ্ছে মসলা জাতীয় ফসল জিরার চাষ। জিরা মসলা হিসেবে একটি জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত মসলা ফসল। বিশ্ব বাজারে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মসলা উচ্চমূল্য এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ কম আয়তনিক কৃষিপণ্য যা খাদ্যের স্বাদ ও ঘ্রাণ, বৃদ্ধি করে।

 

মসলা ফসলের উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার, পোষ্ট হারভেস্ট প্রযুক্তিসমুহ ব্যবহারকারী উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরামর্শ সহ বিভিন্ন সময়ে কৃষক ও কৃষিকর্মীদের প্রশিক্ষণ, মাঠদিবস, কর্মশালা আয়োজনের মাধ্যমে মসলা চাষে কৃষকদের উৎসাহ বৃদ্ধির জন্য এই প্রকল্পের ব্যবস্থা করা রয়েছে। মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের বড় সাতাল বাতাইল গ্রামে প্রদর্শনী প্লট আকারে ১০ শতক জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে মসলা জাতীয় ফসল কৃষক পর্যায়ে জিরা চাষ করা হচ্ছে।

 

ফুলবাড়ী ইউনিয়নের বড় সাতাইল-বাতাইল গ্রামের মসল্লা চাষী মোঃ এজবর আলী বলেন, বগুড়া মসলা গবেষনা ইনষ্টিটিউটের বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে স্থানীয় কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে ১০ শতক জমিতে নিয়ম মেনে সেচ, সার প্রয়োগ ও সঠিক পরিচর্যায় ৫০০ গ্রাম জিরার বীজ বপন করেছি। আসা করা যায় ভালো ফলন হবে। এই আবাদে যদি ভালো ফলন পাই তাহলে আগামী বছর আরো বেশী জমিতে জিরা চাষ করার নিয়ত আছে ।

 

গোবিন্দগঞ্জের ফুলবাড়ী ইউনিয়নের সাতাল বাতাইল ব্লক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকতা ঝর্ণা বালা বলেন প্রথমবারের মত জিরার আবাদে সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহায়াতা দিয়েছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের কৃষিতাত্বিক আবহাওয়া অধিকাংশ প্রধান মসলাগুলো যেমন-পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, আদা, হলুদ, ধনিয়া এবং অপ্রধান মসলা ফসল যেমন- মেথি, কালোজিরা, বিলাতি ধনিয়া, পান প্রভৃতির চাষের জন্য উপযোগী এবং সম্ভাবনাময়। কিন্তু চাহিদার কারণে কিছু বিদেশি মসলা যেমন-দারুচিনি, গোলমরিচ, ছোট এলাচ, লবঙ্গ, জিরা , আলুবোখারা, জয়ফল, জৈয়ত্রী প্রভৃতি পুরোপুরোই আমদানি নির্ভর এবং মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় মসলা জাতীয় ফসল হিসাবে কৃষক পর্যায়ে পরীক্ষামূলক জিরা চাষ বেশ ভালো হওয়ার আশাবাদি তিনি। এ এলাকার মাটি ও আবহওয়া জিরা চাষের উপযোগি হওয়ায় আগামীতে কৃষক পর্যায়ে বানিজ্যিক ভাবে জিরা চাষ সম্প্রসারণ ঘটানোর উদ্যোগ নেওয়ার হবে। আর বেশী জিরা চাষ করে আমদানি খরচ কমানো সম্ভব।

 

উন্নত মানের বীজ ও প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ঘটিয়ে কৃষক পর্যায়ে মসলা জাতীয় ফসল জিরা চাষ সম্প্রসারণ করা গেলে স্থানীয় ভাবে একদিকে যেমন জিরার উত্পাদন বৃদ্ধি পাবে, সেই সাথে জিরার আমদানি নির্ভরতা কমানো গেলে দেশের বৈদিশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।