গাজায় ইসরায়েলি হামলা: জাতিসংঘের কর্মীসহ ৭০ জন নিহত
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় জাতিসংঘের এক কর্মীসহ তার পরিবারের ৭০ জনের বেশি সদস্য নিহত হয়েছে। গাজা সিটির কাছে জাতিসংঘের কর্মী ইসাম আল-মুঘরাবি (৫৬), তার স্ত্রী, পাঁচ সন্তানসহ তাদের আরও বেশ কয়েকজন স্বজন ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইউএনডিপির প্রধান আচিম স্টেইনার বলেন, গাজায় আজ আমাদের ইউএনডিপির সহকর্মী এবং তার পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর খবর ঘোষণা করতে গিয়ে আমি গভীরভাবে শোকাহত। বিমান হামলায় তার পরিবারের ৭০ জনেরও বেশি সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রায় ৩০ বছর ধরে ইসাম আল-মুঘরাবি জাতিসংঘের সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য ইউএনডিপির সঙ্গে কাজ করেছেন। এই সংস্থার একজন প্রিয় সদস্য হিসেবে তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন আচিম স্টেইনার। সেখানে ক্রমাগত হামলার কারণে ত্রাণ সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, গাজায় জাতিসংঘ এবং বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়। এই যুদ্ধের অবসান হওয়া উচিত। ইসামের পরিবার এবং অন্যান্য বেসামরিক নাগরিকরা যে যন্ত্রণা ও দুর্দশার সম্মুখীন হচ্ছেন তা যেন কোনো পরিবার বা বেসামরিক নাগরিকের সঙ্গে হওয়া উচিত নয়।
এদিকে গাজা ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় বার্তা সংস্থা আল রাই এজেন্সির উপ-পরিচালক আহমাদ জামাল আল মাধুন নিহত হয়েছেন। গাজা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তার মৃত্যুতে গাজায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০১ জনে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারপরই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত চলছেই। গাজার বিভিন্ন স্থানে হামাসকে নির্মূলের অজুহাতে দিন-রাত হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সৈন্যরা। এতে প্রায় প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিরা প্রাণ হারাচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না নারী বা শিশুরাও।