দেশবার্তা২৪নিউজের ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) ব্যবহার করার সময় পাঠক, ভিজিটর অথবা ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষিত রাখতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। নিম্নোক্ত মাধ্যম থেকে সেবা গ্রহণের সময় তাঁদের যেসব ব্যক্তিগত তথ্য সংগৃহীত হয়, এই গোপনীয়তার নীতি সেসবের ওপর প্রযোজ্য হবে:
- গোপনীয়তা নীতিসংবলিত দেশবার্তা২৪নিউজের যেকোনো ওয়েবসাইট
- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য যেকোনো ওয়েবসাইটে দেশবার্তা২৪নিউজের কনটেন্ট
- মোবাইল ও ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ)।
দেশবার্তা২৪নিউজের তৈরি অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ), ওয়েবসাইট বা কনটেন্টের ক্ষেত্রেই শুধু এই গোপনীয়তা নীতি প্রযোজ্য হবে। কোনো নকল ওয়েবসাইট, পেজ বা গ্রুপে প্রচারিত বা দেশবার্তা২৪নিউজের লোগো-সংবলিত ভুয়া কনটেন্টের ক্ষেত্রে এই গোপনীয়তা নীতি প্রযোজ্য হবে না।
দেশবার্তা২৪নিউজের নানা উদ্দেশ্যে পাঠকদের তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, পাঠকদের সেবা দেওয়া বা সেবার মান উন্নত করা এবং বিপণন ও প্রচারণার উদ্দেশ্যে এসব তথ্য সংগৃহীত হয়। এসব তথ্যের মধ্যে আছে গ্রাহকের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা, বয়স, সামাজিক মাধ্যমের হিসাব ইত্যাদি (ইনফরমেশন বা তথ্য)।
দেশবার্তা২৪নিউজের অন্যান্য সেবার ক্ষেত্রে আলাদা গোপনীয়তার নীতি প্রযোজ্য হতে পারে। সে জন্য পাঠকদের প্রতি অনুরোধ, ওই সব সেবার জন্য নিবন্ধন করার সময় তাঁরা যেন সে-সংক্রান্ত নীতিমালা পড়ে নেন। দেশবার্তা২৪নিউজ পাঠকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আর তথ্য যে উদ্দেশ্যে সংগৃহীত হয়, তা যেন সেই উদ্দেশ্যই ব্যবহৃত হয়, তা নিশ্চিত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা দেশবার্তা২৪নিউজ করে।
বিশেষ সতর্কতা
দেশবার্তা২৪নিউজ নামে দেশে একাধিক নকল ওয়েবসাইট আছে, যেগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ভুয়া ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপ অন্তর্ভুক্ত। ওই সব ভুয়া ওয়েবসাইট, পেজ বা গ্রুপে প্রচারিত কনটেন্টের দায় দেশবার্তা২৪নিউজের নয়।
দেশবার্তা২৪নিউজ যেভাবে তথ্য সংগ্রহ করে
নিম্নোক্ত যেকোনো ক্ষেত্রে পাঠক দেশবার্তা২৪নিউজ তথ্য সংগ্রহের সার্বিক সম্মতি প্রদান করেছেন এবং এই গোপনীয়তা নীতির সব শর্ত মেনে নিয়েছেন বলে ধরে নেওয়া হবে:
- সাইট বা অ্যাপে নিবন্ধন করলে
- নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করলে
- জরিপ বা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলে
- সাইট বা পেজে লগইন করলে
সংগৃহীত তথ্য প্রকাশ
ওয়েবসাইট পরিচালনা, ব্যবসা পরিচালনা ও গ্রাহকদের সেবা দেওয়ার প্রয়োজন ছাড়া পাঠকের ব্যক্তিগত তথ্যাবলি দেশবার্তা২৪নিউজ কারও কাছে বিক্রি অথবা আদান-প্রদান করে না। তবে পাঠকদের পছন্দ-অপছন্দ বুঝতে বা তাঁদের আরও ভালোভাবে সম্পৃক্ত করতে কিংবা গ্রাহকসংখ্যা বাড়াতে অভ্যন্তরীণভাবে পাঠকদের তথ্য পরস্পর আদান-প্রদান করা হতে পারে।
উল্লিখিত কারণের বাইরে অন্য কোনোভাবে পাঠকের তথ্য ব্যবহার করার প্রয়োজন হলে তার জন্য দেশবার্তা২৪নিউজের ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ থেকে অনুমতি নেওয়া হবে। তবে বাংলাদেশের কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলে তা মানার জন্য দেশবার্তা২৪নিউজ পাঠকের কাছ থেকে সংগৃহীত ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ বা সরবরাহ করতে পারে।
এই গোপনীয়তার নীতিমালার বাইরে দেশবার্তা২৪নিউজ তার সেবাদাতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, অধিভুক্ত কোম্পানি, পরামর্শক বা অংশীদারদের কাছে কিংবা যারা দেশবার্তা২৪নিউজের পক্ষ থেকে ব্যবসাসংক্রান্ত কাজ করে থাকে, তাদের কাছে পাঠকের তথ্য সরবরাহ করতে পারে; আবার আইনি প্রক্রিয়া বা অন্য কোনো ফোরামে নিজ স্বার্থ সংরক্ষণে এসব তথ্য আদান-প্রদান করা হতে পারে। অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে বা তেমন কোনো কাজের তদন্তে এসব তথ্য ব্যবহৃত হতে পারে। আমাদের বা কোনো ব্যক্তির প্রতি হুমকি এলে সে রকম পরিস্থিতিতেও এসব তথ্য ব্যবহৃত হতে পারে। দেশবার্তা২৪নিউজের নীতি বা ব্যবহারের শর্তাবলি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রেও তা ব্যবহার করা হতে পারে। আমাদের সেবার শর্তাবলি মান্য করানোর লক্ষ্যেও এসব তথ্য ব্যবহার করা হতে পারে। এ ছাড়া গ্রাহকদের বিভিন্ন সেবা ও পণ্যের প্রস্তাব দেওয়ার লক্ষ্যেও এটি ব্যবহার করা হতে পারে। উল্লিখিত বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ বা বণ্টন করা হলে দেশবার্তা২৪নিউজের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, যাতে এসব তথ্য কেবল ঘোষিত লক্ষ্যেই ব্যবহার করা হয়।
তথ্য সংরক্ষণ
পাঠক বা ভিজিটর দেশবার্তা২৪নিউজের অ্যাকাউন্ট খুললে তাঁদের তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। এ ছাড়া নিজস্ব তথ্য সংরক্ষণ নীতির আলোকে দেশবার্তা২৪নিউজ আরও কিছুদিন তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে। অ্যাকাউন্টের মেয়াদ শেষ হলে পাঠকের ব্যক্তিগত তথ্যাবলি মুছে ফেলা হবে। কোনো কারণে এসব তথ্য মুছে ফেলতে সাধারণ সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে দেশবার্তা২৪নিউজের দায় থাকবে না।
তৃতীয় পক্ষের বিজ্ঞাপন ও লিংক
দেশবার্তা২৪নিউজের ওয়েবসাইট ও অ্যাপে তৃতীয় পক্ষের পণ্য ও সেবার বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। এই তৃতীয় পক্ষের ওয়েবসাইটগুলোর গোপনীয়তার নীতি পৃথক হতে পারে। তবে এটি করা বা না করার অধিকার দেশবার্তা২৪নিউজের হাতে থাকবে। বিজ্ঞাপনের বিষয়বস্তুতে কোনো ভুল, অসম্পূর্ণতা, সীমাবদ্ধতা থাকলে তার দায়দায়িত্ব দেশবার্তা২৪নিউজ গ্রহণ করবে না।
ভিজিটর বা পাঠক পৃথক লিংক, অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) বা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার কারণে তার তথ্য ফাঁস হলে—দেশবার্তা২৪নিউজের ওয়েবসাইটের লিংক বা কনটেন্টও যদি তার মাধ্যম হয়—তার দায়দায়িত্ব দেশবার্তা২৪নিউজ নেবে না।
কুকির ব্যবহার
দেশবার্তা২৪নিউজ কুকিভিত্তিক ব্যবহারকারীর উপাত্ত সংগ্রহ করে না কিংবা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যও সংরক্ষণ করে না।
যদি দেশবার্তা২৪নিউজের ওয়েবসাইটে প্রবেশের মাধ্যমে কোনো ব্যবহারকারীর কুকি তৃতীয় পক্ষ সংগ্রহ করে, তার নিয়ন্ত্রণ দেশবার্তা২৪নিউজের হাতে থাকবে না। সে জন্য পাঠকদের তৃতীয় পক্ষের ওয়েবসাইট খতিয়ে দেখা উচিত।
জনগোষ্ঠী ও ক্রয়সংক্রান্ত তথ্য
সুনির্দিষ্ট যোগাযোগ ও প্রচারণার জন্য আমরা জনগোষ্ঠীসংক্রান্ত এবং অন্যান্য তথ্য ভিন্ন উৎস থেকে দেশবার্তা২৪নিউজ সংগ্রহ করতে পারে। এসব ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের আচরণ অনুসন্ধানে অন্যান্য উৎসের মধ্যে আমরা গুগল অ্যানালিটিকস ব্যবহার করে থাকি। তবে পাঠক গুগলের অ্যাডস সেটিং ব্যবহার করে গুগল অ্যানালিটিকসের আওতার বাইরে চলে যেতে পারেন কিংবা গুগল ডিসপ্লে নেটওয়ার্ক কাস্টমাইজ করে নিতে পারেন।
দেশবার্তা২৪নিউজের যোগাযোগ
সময়ে সময়ে দেশবার্তা২৪নিউজ ব্যবহারকারীদের সঙ্গে ইমেইল, ফোন বা এসএমএসের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারে। মূলত, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদানের আমন্ত্রণ, তথ্য সংগ্রহ এবং জরিপের জন্য দেশবার্তা২৪নিউজ এ যোগাযোগ করবে। ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতেই তা করা হবে।
দেশের বাইরে থেকে ওয়েবসাইটে প্রবেশ
দেশের বাইরে থেকে ব্যবহারকারীরা যেসব ব্যক্তিগত তথ্য দেবেন, ব্যবহারবিধি এবং ‘গোপনীয়তা নীতি’র আলোকে তা আবার প্রক্রিয়াজাত করা হবে।
আইন
দেশবার্তা২৪নিউজের গোপনীয়তা নীতি কিংবা এর সঙ্গে পাঠকদের সম্পর্ক ইত্যাদি নির্ধারিত হবে বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনের আলোকে। তথ্য ব্যবহার, সংরক্ষণ, প্রকাশ, ফাঁস বা বিতরণ নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হলে বাংলাদেশের আদালতে তার মীমাংসা হবে। আদালতের রায়ই এ ক্ষেত্রে চূড়ান্ত। পাঠক যে জাতির, দেশের বা পেশার হোন না কেন, তিনি দেশবার্তা২৪নিউজের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে, এর কোনো সেবা নিলে বা অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করলে তাঁর ক্ষেত্রে এই গোপনীয়তার নীতি প্রযোজ্য হবে।
তথ্য ধারণ
যে পর্যন্ত দেশবার্তা২৪নিউজের আপনার অ্যাকাউন্ট থাকবে, ততক্ষণ অবধি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য আমাদের কাছে সংরক্ষণ করা হবে। আপনি তা মুছে ফেলার অনুরোধ করলে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সময়ের ওপর ভিত্তি করে এবং প্রযোজ্য আইন অনুসারে সম্ভবপর দ্রুততার সঙ্গে আপনার তথ্য মুছে ফেলা হবে। তবে আইনি উদ্দেশ্যে আমরা কিছু তথ্য সংরক্ষণ করতে পারি।
দেশবার্তা২৪নিউজের তার নিজস্ব অভ্যন্তরীণ উপাত্ত ধারণ নীতি অনুসারে আরও কিছু সময়ের জন্য (৫ থেকে ৭ বছর) আপনার উপাত্ত সংরক্ষণ করে রাখতে পারে। অপ্রত্যাশিত ঘটনায় তথ্য মুছে ফেলার কাজটিতে কখনো স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময়ও লেগে যেতে পারে। দেশবার্তা২৪নিউজ এ ধরনের ঘটনার কোনো দায় নেবে না।
আপনি ওয়েবসাইটে সাইন ইন করে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য পরিবর্তন করতে পারেন। এ ধরনের পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে অবশ্যই আপনার ব্যক্তিগত তথ্য হালনাগাদ করতে হবে। দেশবার্তা২৪নিউজের আপনার দেওয়া কোনো তথ্য পরিবর্তন করবে না।
তথ্য মুছে ফেলা
দেশবার্তা২৪নিউজের ব্যবহারকারীর উপাত্ত বা ডেটা মুছে ফেলার অধিকারকে সমর্থন করে। তবে এ ধরনের অনুরোধ আমরা লিখে জানানোর ওপর গুরুত্ব দিই, আর তা হতে হবে দেশবার্তা২৪নিউজের উপাত্ত সুরক্ষা ও রেকর্ড ব্যবস্থাপনা কমিটির সহযোগিতার মাধ্যমে। এতে অনুরোধের এই স্পষ্টতা নিশ্চিত হবে যে এটি অস্থায়ী ওয়েব এবং সোশ্যাল মিডিয়া কুকিজের মতো অস্থায়ী সংরক্ষিত কোনো বিষয় নয়।
আপনাকে আমাদের পরিষেবা প্রদানের জন্য প্রয়োজন প্রত্যাহার কিংবা আপনার উপাত্ত ধরে না রাখার জন্য আপনি বলার আগপর্যন্ত আমরা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করব। আপনার তথ্য আর ব্যবহার করতে দিতে না চাইলে আপনি তা মুছে ফেলার বা দেশবার্তা২৪নিউজতে আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করতে পারবেন।
কর, আইনি প্রতিবেদন, নিরীক্ষার বাধ্যবাধকতা ইত্যাদি জাতীয় আইনি বাধ্যবাধকতা মেনে চলার জন্য আপনার ব্যক্তিগত তথ্য আমরা প্রয়োজনীয় পরিমাণে সংরক্ষণ এবং ব্যবহার করতে পারব। আমাদের সঙ্গে আপনার একাধিক অ্যাকাউন্ট থাকলে প্রতিটির জন্য আলাদা আলাদাভাবে ই–মেইল আইডি ও ফোন নম্বর জানিয়ে অনুরোধ করতে হবে।
গোপনীয়তার নীতি সংশোধন
গোপনীয়তার নীতির ধারা যেকোনো সময় সংশোধন, পরিবর্তন ও বাদ দেওয়ার অধিকার দেশবার্তা২৪নিউজ সংরক্ষণ করে। তবে সেই পরিবর্তিত নীতি তাৎক্ষণিকভাবে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হবে। পরিবর্তনের পর পাঠক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে ধরে নিতে হবে, তিনি এগুলো মেনে নিয়েছেন এবং সব সময় মেনে চলবেন। পাঠক কোনো কারণে নীতি পড়তে ব্যর্থ হলে তার জন্য দেশবার্তা২৪নিউজ দায়ী থাকবে না।
পাঠকদের প্রতি আহ্বান, তাঁরা যেন সময়ে সময়ে আমাদের নীতি পর্যালোচনা করেন। তাহলে তাঁরা বুঝতে পারবেন, আমরা কীভাবে তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহার করি এবং কার সঙ্গে তা বিনিময় করি।