গ্রেপ্তারকৃত কর্মীদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে রাস্তায় লতিফ সিদ্দিকী
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের নির্বাচনী সহিংসতার মামলায় কর্মী-সমর্থকদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কের কালিহাতী থানার সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন সদ্য নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রাস্তায় বসে সড়ক অবরোধ করেছেন তিনি।
বড় ভাইয়ের অবরোধের খবর পেয়ে কালিহাতী ছুটে এসেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম। বর্তমানে তিনি কালিহাতী থানায় অবস্থান করছেন।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় কালিহাতী থানার সামনের রাস্তা অবরোধ করেন লতিফ। বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত তার অবরোধ চলছে। এতে সড়কের দুই পাশে শত শত গাড়ি আটকা পড়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো যাত্রী।
জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরদিন সোমবার (৮ জানুয়ারি) কালিহাতীর নাগবাড়ীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুমের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। আব্দুল কাইয়ুম আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোজাহারুল ইসলাম তালুকদারের অনুসারী।
এ ঘটনায় কয়েকজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত কয়েক ব্যক্তিকে আসামি করে কালিহাতী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর কালিহাতী থানা পুলিশ এজাহারভুক্ত মনির সওদাগর ও লাট মিয়া নামে দুই যুবকসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। তারা সবাই লতিফ সিদ্দিকীর অনুসারী এবং তার পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে লতিফ সিদ্দিকীর অনুসারী সাবেক চেয়ারম্যান হাসমত আলী ও মোশারফ হোসেন সিদ্দিকী থানায় যান মনির ও লাটের খোঁজ নিতে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে তাদের আটক করে পুলিশ।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সদ্য নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফ সিদ্দিকী ও তার অপর ছোট ভাই আজাদ সিদ্দিকী নিজেদের শত শত নেতাকর্মী নিয়ে থানার সামনে অবস্থান নেন। তারা তারা গ্রেপ্তারকৃতদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে রাস্তায় বসে পড়েন।