ঢাকা ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাকরি পেতে ইবি উপাচার্যকে তরুণীর ১০ লাখ টাকার প্রস্তাব

ওয়াসিফ আল আবরার, ইবি

বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি প্রদানের বিনিময়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামকে মিষ্টি খেতে ❝১০ লাখ টাকার❞ প্রস্তাব দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে রহস্যময় ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছেন মিথি নামের এক তরুণী।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে চাকরি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন এবং পরবর্তীতে ক্ষুদেবার্তা পাঠায় ঐ তরুণী। হোয়াটসঅ্যাপ আইডিতে তার নাম দেখা যায় মিথি। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান ইবি থানায় একটি সাধারণ অভিযোগ (জিডি) দায়ের করেছেন।

ক্ষুদে বার্তায় ঐ তরুণী লিখেন, “স্যার,,, ১০ লাখ মিষ্টি খেতে নেন স্যার, এটা আপনি আর আমি ছাড়া কেউ জানবেনা ইনশাআল্লাহ, আমার সত্যিই ওখানে কেউ নেই, প্লিজ স্যার চাকরিটা খুব দরকার।”

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘আনুমানিক বেলা ১১ টার দিকে উপাচার্যকে ফোন দিয়ে এক অপরিচিত মেয়ে কথা বলতে চাচ্ছিলো। উপাচার্যের সাড়া না পেয়ে মেয়েটি ক্ষুদে বার্তা পাঠায় যে, যদি তাকে চাকরি দেওয়া হয় তাহলে উপাচার্যকে মিষ্টি খেতে ১০ লাখ টাকা দেবেন। এসএমএস পাওয়ার পরপরই আমরা ইবি থানায় একটি জিডি করি যাতে ভবিষ্যতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটি প্রকাশ হলেও কোনো সমস্যা না হয়।’

জিডির বিষয়টি ইবি থানার এসআই মেহেদী হাসান নিশ্চিত করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার মহোদয় একটি জিডি করেছেন। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘এক মেয়ে আমার হোয়াটস অ্যাপে ফোন দিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়, পরিচয় কী? কী বিষয়ে কথা বলতে চান? জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাকরির বিষয়ে। তখন আমি বললাম যে চাকরির বিষয়ে আমি কোনো কথা বলি না। তখন তিনি বলেন, চাকরিটা আমার খুব দরকার। পরে আমি ফোন কেটে দিলে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে তাকে চাকরি প্রদানের বিনিময়ে মিষ্টি খেতে দশ লাখ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন।

উপাচার্য বলেন, ‘আমি মনে করি এটি কোন সংঘবদ্ধ চক্রের কাজ। আমাকে ফাঁদে ফেলার জন্য এটা করতে থাকতে পারে। আমার মানক্ষুণ্ণ করার জন্য তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এর আগে যেসব তৎপরতা চালিয়েছে এ ফোনকল তারই অংশ হতে পারে। আমি রেজিস্ট্রারকে তাৎক্ষণিক থানায় জিডি করতে বলেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:২৬:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
২৭১ বার পড়া হয়েছে

চাকরি পেতে ইবি উপাচার্যকে তরুণীর ১০ লাখ টাকার প্রস্তাব

আপডেট সময় ০৯:২৬:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি প্রদানের বিনিময়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামকে মিষ্টি খেতে ❝১০ লাখ টাকার❞ প্রস্তাব দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে রহস্যময় ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছেন মিথি নামের এক তরুণী।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে চাকরি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন এবং পরবর্তীতে ক্ষুদেবার্তা পাঠায় ঐ তরুণী। হোয়াটসঅ্যাপ আইডিতে তার নাম দেখা যায় মিথি। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান ইবি থানায় একটি সাধারণ অভিযোগ (জিডি) দায়ের করেছেন।

ক্ষুদে বার্তায় ঐ তরুণী লিখেন, “স্যার,,, ১০ লাখ মিষ্টি খেতে নেন স্যার, এটা আপনি আর আমি ছাড়া কেউ জানবেনা ইনশাআল্লাহ, আমার সত্যিই ওখানে কেউ নেই, প্লিজ স্যার চাকরিটা খুব দরকার।”

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘আনুমানিক বেলা ১১ টার দিকে উপাচার্যকে ফোন দিয়ে এক অপরিচিত মেয়ে কথা বলতে চাচ্ছিলো। উপাচার্যের সাড়া না পেয়ে মেয়েটি ক্ষুদে বার্তা পাঠায় যে, যদি তাকে চাকরি দেওয়া হয় তাহলে উপাচার্যকে মিষ্টি খেতে ১০ লাখ টাকা দেবেন। এসএমএস পাওয়ার পরপরই আমরা ইবি থানায় একটি জিডি করি যাতে ভবিষ্যতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটি প্রকাশ হলেও কোনো সমস্যা না হয়।’

জিডির বিষয়টি ইবি থানার এসআই মেহেদী হাসান নিশ্চিত করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার মহোদয় একটি জিডি করেছেন। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘এক মেয়ে আমার হোয়াটস অ্যাপে ফোন দিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়, পরিচয় কী? কী বিষয়ে কথা বলতে চান? জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাকরির বিষয়ে। তখন আমি বললাম যে চাকরির বিষয়ে আমি কোনো কথা বলি না। তখন তিনি বলেন, চাকরিটা আমার খুব দরকার। পরে আমি ফোন কেটে দিলে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে তাকে চাকরি প্রদানের বিনিময়ে মিষ্টি খেতে দশ লাখ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন।

উপাচার্য বলেন, ‘আমি মনে করি এটি কোন সংঘবদ্ধ চক্রের কাজ। আমাকে ফাঁদে ফেলার জন্য এটা করতে থাকতে পারে। আমার মানক্ষুণ্ণ করার জন্য তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এর আগে যেসব তৎপরতা চালিয়েছে এ ফোনকল তারই অংশ হতে পারে। আমি রেজিস্ট্রারকে তাৎক্ষণিক থানায় জিডি করতে বলেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছি।