জাতিসংঘে পাঠানো চিঠি ফাঁস, বিস্মিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী!
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘জাতিসংঘে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো থ্যাংকস লেটারটি (চিঠি) গণমাধ্যমে ছাপা উচিত হয়নি। জাতিসংঘ সফর শেষে প্রতি বছরই এ ধরনের চিঠি দেওয়া হয়। এটা একান্তই ব্যক্তিগত, কিভাবে তা গণমাধ্যমে ছাপা হয় বোধগম্য নয়। যারা ছাপছে তারা দেশের শত্রুর মতো আচরণ করছে।’
গতকাল শুক্রবার সিলেটে ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘে গিয়েছিলাম সেপ্টেম্বর মাসে, সেই সময় অনেকের সঙ্গেই সাক্ষাৎ হয়। আমাদের একটি রেওয়াজ আছে যাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা হয়, দেখা-সাক্ষাৎ হয় তাদের একটি ধন্যবাদপত্র দেওয়ার। এবারও সেটাই হয়েছে। ধন্যবাদ দেওয়ার পাশাপাশি যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সেসব কথাবার্তা চিঠিতে উল্লেখ ছিল। যা একান্ত ব্যক্তিগত চিঠি। এটা খামাখা একটি পত্রিকা ছেপে দিয়েছে। এটা বড় লজ্জার বিষয়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জানি না এটা কিভাবে হলো, দেশে কিছু লোক আছে যারা দেশের শত্রুর মতো আচরণ করছে। বাহবা পাওয়ার জন্য যা পাচ্ছে তাই গণমাধ্যমে নিয়ে আসছে। এটা হওয়া উচিত নয়। এটা খুব দুঃখজনক।’
পোশাক খাতে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এসব খামাখা। এমন কোনো তথ্য নেই। কিছু বিপথগামী লোক নির্বাচন বানচাল করতে এসব কথা বলে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, সেটি বলে না। জনগণের শিক্ষা, কর্মসংস্থান এগুলোর কিছুই বলে না। গাজায় এত লোক মারা যাচ্ছে, মুরব্বিদের খুশি করতে এ নিয়ে কোনো কথা বলে না। তারা জনগণের কথা বলে না। সুতরাং আমার ধারণা, তাদের গ্রহণযোগ্যতা নাই।’
শেখ হাসিনা সরকার বিএনপির চেয়ারপারসনকে জেল দেয়নি মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাকে জেলে দিয়েছে ওনারই প্রিয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তারাই কেস দিয়েছে। সুতরাং আমাদের কিছুই করার নেই। আমরা বিচারব্যবস্থার ওপর কোনো হস্তক্ষেপ করি না। তাদের এক নম্বর দাবি হচ্ছে, শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ করতে হবে। দুনিয়ার কোনো দেশে এই সিস্টেম নাই।’