ঢাকা ০৬:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ

আনোয়ার সুলতান, সাভার

 

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালনের জন্য ১০৮ একর জমির উপর নির্মিত জাতীয় স্মৃতিসৌধের ৭টি  মিনার, পুষ্পবেদী, গণসমাধী, কৃত্রিম হ্রদসহ নানা অবকাঠামো সেজেছে নতুন করে। শেষ হয়েছে রং-তুলির কাজ। শতাধীক শ্রমিক-কর্মচারি মাসব্যাপী অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিবিড় যত্নে জাতীয় স্মৃতিসৌধকে ধুয়ে মুছে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ শেষ করেছে।

স্মৃতিসৌধে আগত দর্শনার্থীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এর আশপাশের এলাকায় সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিসহ মোতায়েন থাকবে সহস্রাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। নিরাপত্তার জন্য জাতীয় স্মৃতি সৌধের ভেতরে ও বাইরে লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে শেষ হয়েছে বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতার সব ধরনের প্রস্তুতি।

জানা গেছে, দিবসটির প্রথম প্রহরেই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, বিভিন্ন কুটনৈতিকবৃন্দ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন।

জাতীয় স্মৃতিসৌধের গণপূর্ত বিভাগ উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ ও বিদেশি কূটনীতিকসহ লাখো মানুষ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এজন্য সাভার গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধকে প্রায় এক মাস ধরে ধুয়ে-মুছে, রং তুলির আচড়ে রং-বেরংয়ের ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। স্মৃতিসৌধে আগত দর্শনার্থীসহ সকলের নিরাপত্তার জন্য সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। স্মৃতিসৌধ এখন সম্পুর্ণভাবে প্রস্তুত লাখো জনতার শ্রদ্ধাঞ্জলী ও ভালোবাসা গ্রহণ করার জন্য।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সাথের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রস্তুত হয়েছে তিন বাহিনীর সুসজ্জিত দলের মহড়া। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ইতমধ্যে স্মৃতিসৌধে দায়িত্ব পালন করছেন এসএসএফ-এর সদস্যরা।

এদিকে দিবসটিকে ঘিরে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও আশেপাশের এলাকাজুড়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে পুলিশসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা।

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার, বিজয় দিবসে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই তারপরেও আমরা সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে সকল ধরনের প্রস্তুতি আমাদের আছে। আমরা আশা করছি অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্য এবং উৎসবমুখর পরিবেশে এবারের বিজয় দিবস উদযাপিত হবে। আমরা নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ওয়াচ-টাওয়ার দিয়েছি। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকা জেলা পুলিশ সর্বদাই প্রস্তত আছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ জাতীয় স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করার পর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:২১:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
২২২ বার পড়া হয়েছে

শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ

আপডেট সময় ০৮:২১:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

 

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালনের জন্য ১০৮ একর জমির উপর নির্মিত জাতীয় স্মৃতিসৌধের ৭টি  মিনার, পুষ্পবেদী, গণসমাধী, কৃত্রিম হ্রদসহ নানা অবকাঠামো সেজেছে নতুন করে। শেষ হয়েছে রং-তুলির কাজ। শতাধীক শ্রমিক-কর্মচারি মাসব্যাপী অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিবিড় যত্নে জাতীয় স্মৃতিসৌধকে ধুয়ে মুছে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ শেষ করেছে।

স্মৃতিসৌধে আগত দর্শনার্থীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এর আশপাশের এলাকায় সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিসহ মোতায়েন থাকবে সহস্রাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। নিরাপত্তার জন্য জাতীয় স্মৃতি সৌধের ভেতরে ও বাইরে লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে শেষ হয়েছে বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতার সব ধরনের প্রস্তুতি।

জানা গেছে, দিবসটির প্রথম প্রহরেই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, বিভিন্ন কুটনৈতিকবৃন্দ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন।

জাতীয় স্মৃতিসৌধের গণপূর্ত বিভাগ উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ ও বিদেশি কূটনীতিকসহ লাখো মানুষ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এজন্য সাভার গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধকে প্রায় এক মাস ধরে ধুয়ে-মুছে, রং তুলির আচড়ে রং-বেরংয়ের ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। স্মৃতিসৌধে আগত দর্শনার্থীসহ সকলের নিরাপত্তার জন্য সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। স্মৃতিসৌধ এখন সম্পুর্ণভাবে প্রস্তুত লাখো জনতার শ্রদ্ধাঞ্জলী ও ভালোবাসা গ্রহণ করার জন্য।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সাথের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রস্তুত হয়েছে তিন বাহিনীর সুসজ্জিত দলের মহড়া। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ইতমধ্যে স্মৃতিসৌধে দায়িত্ব পালন করছেন এসএসএফ-এর সদস্যরা।

এদিকে দিবসটিকে ঘিরে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও আশেপাশের এলাকাজুড়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে পুলিশসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা।

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার, বিজয় দিবসে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই তারপরেও আমরা সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে সকল ধরনের প্রস্তুতি আমাদের আছে। আমরা আশা করছি অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্য এবং উৎসবমুখর পরিবেশে এবারের বিজয় দিবস উদযাপিত হবে। আমরা নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ওয়াচ-টাওয়ার দিয়েছি। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকা জেলা পুলিশ সর্বদাই প্রস্তত আছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ জাতীয় স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করার পর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।