ঢাকা ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবনানন্দ প্রমাণ করেন বাংলা কবিতা বাঙালির নিজস্ব সরণিতেই চলবে : উপাচার্য

মোঃ সাহাদাৎ হোসেন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, “জীবনানন্দ দাশ পরাধীন ভারতবর্ষে বাঙালির মনে ৫৬ হাজার বর্গ মাইলের বাংলাদেশের একটি মনোজাগতিক মানচিত্র তৈরির ক্ষেত্রে কবিতার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। তিনি মূলত আত্মমগ্ন নিষন্ন কবি। সমকালীন আধুনিক কবিদের মতো তিনি পশ্চিম থেকে ধার করা তত্ত্ব দিয়ে শুধু কবিতা লিখেন নি। জীবনানন্দ দাশ বাঙালির চিরকালীন লোকপুরাণ ও হাজার বছরের ঐতিহ্যকে কবিতায় নিয়ে এসে প্রমাণ করেন বাংলা কবিতা বাঙালির নিজস্ব সরণিতেই চলবে, পশ্চিমের দেখানো পথে নয়। জীবনানন্দ দাশ এ কারণেই বাঙালির মাটির কবি হয়েও আধুনিক।”

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনানন্দ দাশ রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে ক্যাম্পাসের জীবনানন্দ দাশ কনফারেন্স হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর আরও বলেন, “রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের ১২৫তম জন্মদিন জাতীয়ভাবে পালিত হওয়ার প্রয়োজন। আলোচনা সভা শেষে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের অধ্যাপকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।”

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন মোহাম্মদ তানভীর কায়ছার।

জীবনানন্দ দাশ রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক সঞ্জয় কুমার সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মুহসিন উদ্দীন, বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান উন্মেষ রায়, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শারমিন আক্তার এবং একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহসিনা হোসাইন।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, পরিচালক, প্রভোস্টসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা সভা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:৪০:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
৫৫ বার পড়া হয়েছে

জীবনানন্দ প্রমাণ করেন বাংলা কবিতা বাঙালির নিজস্ব সরণিতেই চলবে : উপাচার্য

আপডেট সময় ০৯:৪০:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, “জীবনানন্দ দাশ পরাধীন ভারতবর্ষে বাঙালির মনে ৫৬ হাজার বর্গ মাইলের বাংলাদেশের একটি মনোজাগতিক মানচিত্র তৈরির ক্ষেত্রে কবিতার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। তিনি মূলত আত্মমগ্ন নিষন্ন কবি। সমকালীন আধুনিক কবিদের মতো তিনি পশ্চিম থেকে ধার করা তত্ত্ব দিয়ে শুধু কবিতা লিখেন নি। জীবনানন্দ দাশ বাঙালির চিরকালীন লোকপুরাণ ও হাজার বছরের ঐতিহ্যকে কবিতায় নিয়ে এসে প্রমাণ করেন বাংলা কবিতা বাঙালির নিজস্ব সরণিতেই চলবে, পশ্চিমের দেখানো পথে নয়। জীবনানন্দ দাশ এ কারণেই বাঙালির মাটির কবি হয়েও আধুনিক।”

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনানন্দ দাশ রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে ক্যাম্পাসের জীবনানন্দ দাশ কনফারেন্স হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর আরও বলেন, “রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের ১২৫তম জন্মদিন জাতীয়ভাবে পালিত হওয়ার প্রয়োজন। আলোচনা সভা শেষে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের অধ্যাপকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।”

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন মোহাম্মদ তানভীর কায়ছার।

জীবনানন্দ দাশ রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক সঞ্জয় কুমার সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মুহসিন উদ্দীন, বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান উন্মেষ রায়, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শারমিন আক্তার এবং একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহসিনা হোসাইন।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, পরিচালক, প্রভোস্টসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা সভা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।