ঢাকা ১২:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহ মৎস্য হ্যাচারীতে মাছচাষীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

জাহাঙ্গীর আলম, ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারী কমপ্লেক্সে যশোরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২০ জন মৎস্য চাষী সফর করেছেন এবং প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ।

এ সময় তারা মাছ চাষ ও মৎস্য হ্যাচারী ম্যানেজমেন্টের উপর করেন ব্যবহারিক ক্লাস করেন হাতে কলমে প্রশিক্ষন নেন। হ্যাচারী কমপ্লেক্সে আসতে পেরে উচ্ছাস প্রকাশ করেন ওই মাছচাষীরা।

জানা যায়, ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এন্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প (মৎস্য অধিদপ্তর অংশ) এর আওতায় মৎস্যচাষী সুফলভোগীদের জলবায়ু সহিষ্ণু প্রযুক্তি ভিত্তিক মাছ চাষ প্রশিক্ষণের মাঠ সফর করেন তারা। (১০ই ডিসেম্বর) রবিবার দুপুরে বলুহর কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারীতে যশোর জেলা মৎস্য অফিসারের কার্যালয়ের আয়োজনে মাঠ সফর করা হয়।

মাছচাষী গৌতম দেবনাথ ও জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের ৪টি মৎস্য হ্যাচারীর ভিতর এটি কেন্দ্রীয় মংস্য হ্যাচারী কমপ্লেক্স। মাছ চাষে আসার পর এ হ্যাচারীর গল্প শুনেছি। আজ স্বচক্ষে দেখে অনেক ভাল লাগলো। এখানে এসে কি শিখলেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এতদিন আমরা কোন পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাছচাষ করেছি। এখন হাতে কলমে প্রশিক্ষণের জন্য এসেছি । এখানে এসে জানতে পারলাম, পুরুষ আর স্ত্রী মাছ চেনার উপায়। কিভাবে মাছ থেকে ডিম সংগ্রহ করতে হয় এবং কিভাবে সেই ডিম থেকে রেনু হয়। আর রেনু গুলো কিভাবে বাজার জাত করা হয়। তারা বলেন, আজকের দিনটা সারা জীবনের জন্য মনে রাখার মত দিন।

এ ছাড়া হ্যাচারীর ব্যবস্থাপক আশরাফ-উল-ইসলামের প্রশিক্ষনের গঠন মূলক ধরন, তার দিকনির্দেশনা মূলক আলোচনা আমাদের মুগ্ধ করেছে। চোখ খুলে দিয়েছেন সামনে দিনে এগিয়ে যাবার। তারা আরো বলেন, আমরা আরো বেশি খুশি হয়েছি আশরাফ-উল-ইসলাম কে দেখে। কারণ তিনি আমাদের এই অঞ্চলের সন্তান ও এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। উনি এই প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর থেকে সরকারের রাজস্ব খাতে অনেক সফলতা পেয়েছে। এখানে এসে অনেক কিছু শিখলাম। হাতে কলমে শিক্ষা ও নিজেদের মেধা কে কাজে লাগিয়ে নিজেদের বড়ো উদ্দোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটাবেন বলে তারা জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, যশোর জেলা মৎস্য অফিসার মুহাম্মাদ রফিকুল আলম, সহকারী পরিচালক জেলা মৎস্য দপ্তর আবুল হাসান, ফিসারিজ কোয়ারান্টাইন অফিসার বেনাপোল স্থলবন্দর মাহবুবুর রহমান, কোটচাঁদপুর কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারির ব্যবস্থাপক আশরাফ-উল-ইসলামসহ হ্যাচারি কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারী।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:১০:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
৪৮ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ মৎস্য হ্যাচারীতে মাছচাষীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

আপডেট সময় ০৪:১০:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারী কমপ্লেক্সে যশোরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২০ জন মৎস্য চাষী সফর করেছেন এবং প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ।

এ সময় তারা মাছ চাষ ও মৎস্য হ্যাচারী ম্যানেজমেন্টের উপর করেন ব্যবহারিক ক্লাস করেন হাতে কলমে প্রশিক্ষন নেন। হ্যাচারী কমপ্লেক্সে আসতে পেরে উচ্ছাস প্রকাশ করেন ওই মাছচাষীরা।

জানা যায়, ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এন্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প (মৎস্য অধিদপ্তর অংশ) এর আওতায় মৎস্যচাষী সুফলভোগীদের জলবায়ু সহিষ্ণু প্রযুক্তি ভিত্তিক মাছ চাষ প্রশিক্ষণের মাঠ সফর করেন তারা। (১০ই ডিসেম্বর) রবিবার দুপুরে বলুহর কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারীতে যশোর জেলা মৎস্য অফিসারের কার্যালয়ের আয়োজনে মাঠ সফর করা হয়।

মাছচাষী গৌতম দেবনাথ ও জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের ৪টি মৎস্য হ্যাচারীর ভিতর এটি কেন্দ্রীয় মংস্য হ্যাচারী কমপ্লেক্স। মাছ চাষে আসার পর এ হ্যাচারীর গল্প শুনেছি। আজ স্বচক্ষে দেখে অনেক ভাল লাগলো। এখানে এসে কি শিখলেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এতদিন আমরা কোন পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাছচাষ করেছি। এখন হাতে কলমে প্রশিক্ষণের জন্য এসেছি । এখানে এসে জানতে পারলাম, পুরুষ আর স্ত্রী মাছ চেনার উপায়। কিভাবে মাছ থেকে ডিম সংগ্রহ করতে হয় এবং কিভাবে সেই ডিম থেকে রেনু হয়। আর রেনু গুলো কিভাবে বাজার জাত করা হয়। তারা বলেন, আজকের দিনটা সারা জীবনের জন্য মনে রাখার মত দিন।

এ ছাড়া হ্যাচারীর ব্যবস্থাপক আশরাফ-উল-ইসলামের প্রশিক্ষনের গঠন মূলক ধরন, তার দিকনির্দেশনা মূলক আলোচনা আমাদের মুগ্ধ করেছে। চোখ খুলে দিয়েছেন সামনে দিনে এগিয়ে যাবার। তারা আরো বলেন, আমরা আরো বেশি খুশি হয়েছি আশরাফ-উল-ইসলাম কে দেখে। কারণ তিনি আমাদের এই অঞ্চলের সন্তান ও এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। উনি এই প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর থেকে সরকারের রাজস্ব খাতে অনেক সফলতা পেয়েছে। এখানে এসে অনেক কিছু শিখলাম। হাতে কলমে শিক্ষা ও নিজেদের মেধা কে কাজে লাগিয়ে নিজেদের বড়ো উদ্দোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটাবেন বলে তারা জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, যশোর জেলা মৎস্য অফিসার মুহাম্মাদ রফিকুল আলম, সহকারী পরিচালক জেলা মৎস্য দপ্তর আবুল হাসান, ফিসারিজ কোয়ারান্টাইন অফিসার বেনাপোল স্থলবন্দর মাহবুবুর রহমান, কোটচাঁদপুর কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারির ব্যবস্থাপক আশরাফ-উল-ইসলামসহ হ্যাচারি কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারী।