টাকা লুটের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে , টাকা হজমে নাটক!
নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জে একটি স্বর্ণের দোকানের ৩ কর্মচারিকে গ্রেপ্তার করার ভয় দেখিয়ে টাকা লুটের দায় এড়াতে সিএনজি চালক মো. মঞ্জু (৩৩) কে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক।
গ্রেপ্তার মো. মঞ্জু সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো গেইট মুন্সিপাড়া এলাকার মো. ফারুকের ছেলে। তিনি সুফিয়ানের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
পুলিশ জানায়, গত সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি সিদ্ধিরগঞ্জ পুলের দক্ষিন পাশে জামান জুয়েলার্স দোকানের সামনে আসামী অজ্ঞাতনামা লোকজনের সাথে মারামারিতে লিপ্ত আছে। এতে প্রাণহানীসহ আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে। এখবর পেয়ে উপ-পরিদর্শক হুমায়ূন কবির-৩ পরিস্থিতি শান্ত করতে গেলে আসামি মঞ্জু উশৃঙ্খল আচরণ শুরু করে। তখন শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে তাকে তাৎক্ষনিকভাবে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৫১ ধারা মোতাবেক গ্রেফতার করা হয়। তদন্ত কার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেল হাজতে আটক রাখার আবেদন জানিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোমবার দুপুরে জামান জুয়েলার্স এর সামনে কোন মারামারির ঘটনাই ঘটেনি। অভিযোগ রয়েছে, রোববার ভোররাত সাড়ে ৩ টার দিকে এসআই হুমায়ুন কবির-৩ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে জামান জুয়েলার্সের কর্মচারিদের হাতকড়া পড়িয়ে ক্যাশবাক্স থেকে নগদ ৪৪ হাজার টাকা লুটে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোমবার বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ঘটনার দিন রাতে মঞ্জুর সিএনজি দিয়ে টহল দিয়েছিলেন এসআই হুমায়ুন কবির-৩। স্বর্ণের দোকানের ঘটনায় পুলিশ দায় এড়াতে সিএনজি চালক মঞ্জুকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় এলাকাবাসীর।