ঢাকা ১০:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিমলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের জয়লাভ

মোঃ মামুন ডিমলা (নীলফামারী)

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ১৫২টি উপজেলা নির্বাচনের মধ্যে প্রথম ধাপে নীলফামার ডিমলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনায়ারুল হক সরকার মিন্টু।

 

এ নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন ২৭ হাজার ২৯০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফেরদৌস পারভেজ আনারস প্রতীক পেয়েছেন ২৬ হাজার ৯১ ভোট। এছাড়া অন্যান্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান পেয়েছেন ৯ হাজার ৫৯৫ এবং কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম পেয়েছেন ৯ হাজার ৬৯০ ভোট।

 

ভাইস চেয়ারম্যান পদে শ্রী উত্তম কুমার রায় বৈদ্যুতিক বাল্ব ২৩ হাজার ৫৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারি ফলাফলে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক প্রতীকের প্রার্থী মো. মোফাক্কারুল ইসলাম পেয়েছেন ১৮ হাজার ২০৬ ভোট এছাড়া নীরেন্দ্র নাথ রায় টিউবওয়েল প্রতীকে ৫ হাজার ৪০০ ভোট, মো. আবু সাঈদ উড়োজাহাজ প্রতীকে ৩ হাজার ২৫৫ ভোট. মো. স্বপন টিয়া পাখি প্রতীকে ১৬ হাজার ৮২৮ ভোট, মো. হামিদের রহমান চশমা প্রতীকে ২ হাজার ৭৯৬ ভোট ও সুজয় কুমার রায় তালা প্রতীকে ১ হাজার ৫২৭ ভোট পেয়েছেন।

 

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আয়েশা সিদ্দিকা পদ্মফুল প্রতীকে ৫৩ হাজার ৬৯ ভোট পেয়ে বেসরকারি ফলাফলে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাঁস প্রতীক মোছাঃ জাহানারা বেগম পেয়েছেন ১১ হাজার ৩৩৬ ভোট এবং মোছাঃ পারুল বেগম ফুটবল প্রতীক ৬ হাজার ৩৯০ ভোট পেয়েছেন।

 

বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ডিমলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটারেরা উৎসবের আমেজে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ভোটারগণ শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পেরে খুশি।

 

বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে ভোটারা ভোটকেন্দ্রে আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারের উপস্থিতি আরো বাড়তে থাকে। তবে পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

 

ডিমলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন চারজন প্রার্থী। তারা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম, মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী ও সাবেক উপকর কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু এবং সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌস পারভেজ।

 

বুধবার ৮ মে প্রথম ধাপের অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোট ৭৪ হাজার ৬৪৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৯৩টি ভোটকেন্দ্রের ৬২৭টি বুথে এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় লিঙ্গের একজন ভোটারসহ উপজেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ২৭ হাজার ৯৭০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭৯ ও মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ১২ হাজার ৫৯০ জন। প্রদত্ত ফলাফলে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ৩২.৭৪ শতাংশ নারী ও পুরুষ ভোটার। উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শুভ কুমার রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

 

ফলাফল ঘোষণায় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) মো. সেকেন্দার আলী, ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবাশীষ কুমার রায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মেজবাহুর রহমান প্রমুখ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:১৫:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪
১০৯ বার পড়া হয়েছে

ডিমলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের জয়লাভ

আপডেট সময় ০৫:১৫:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ১৫২টি উপজেলা নির্বাচনের মধ্যে প্রথম ধাপে নীলফামার ডিমলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনায়ারুল হক সরকার মিন্টু।

 

এ নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন ২৭ হাজার ২৯০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফেরদৌস পারভেজ আনারস প্রতীক পেয়েছেন ২৬ হাজার ৯১ ভোট। এছাড়া অন্যান্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান পেয়েছেন ৯ হাজার ৫৯৫ এবং কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম পেয়েছেন ৯ হাজার ৬৯০ ভোট।

 

ভাইস চেয়ারম্যান পদে শ্রী উত্তম কুমার রায় বৈদ্যুতিক বাল্ব ২৩ হাজার ৫৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারি ফলাফলে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক প্রতীকের প্রার্থী মো. মোফাক্কারুল ইসলাম পেয়েছেন ১৮ হাজার ২০৬ ভোট এছাড়া নীরেন্দ্র নাথ রায় টিউবওয়েল প্রতীকে ৫ হাজার ৪০০ ভোট, মো. আবু সাঈদ উড়োজাহাজ প্রতীকে ৩ হাজার ২৫৫ ভোট. মো. স্বপন টিয়া পাখি প্রতীকে ১৬ হাজার ৮২৮ ভোট, মো. হামিদের রহমান চশমা প্রতীকে ২ হাজার ৭৯৬ ভোট ও সুজয় কুমার রায় তালা প্রতীকে ১ হাজার ৫২৭ ভোট পেয়েছেন।

 

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আয়েশা সিদ্দিকা পদ্মফুল প্রতীকে ৫৩ হাজার ৬৯ ভোট পেয়ে বেসরকারি ফলাফলে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাঁস প্রতীক মোছাঃ জাহানারা বেগম পেয়েছেন ১১ হাজার ৩৩৬ ভোট এবং মোছাঃ পারুল বেগম ফুটবল প্রতীক ৬ হাজার ৩৯০ ভোট পেয়েছেন।

 

বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ডিমলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটারেরা উৎসবের আমেজে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ভোটারগণ শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পেরে খুশি।

 

বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে ভোটারা ভোটকেন্দ্রে আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারের উপস্থিতি আরো বাড়তে থাকে। তবে পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

 

ডিমলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন চারজন প্রার্থী। তারা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম, মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী ও সাবেক উপকর কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু এবং সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌস পারভেজ।

 

বুধবার ৮ মে প্রথম ধাপের অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোট ৭৪ হাজার ৬৪৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৯৩টি ভোটকেন্দ্রের ৬২৭টি বুথে এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় লিঙ্গের একজন ভোটারসহ উপজেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ২৭ হাজার ৯৭০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭৯ ও মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ১২ হাজার ৫৯০ জন। প্রদত্ত ফলাফলে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ৩২.৭৪ শতাংশ নারী ও পুরুষ ভোটার। উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শুভ কুমার রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

 

ফলাফল ঘোষণায় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) মো. সেকেন্দার আলী, ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবাশীষ কুমার রায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মেজবাহুর রহমান প্রমুখ।