ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আরো জোরদার হতে যচ্ছে
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করবে ওয়াশিংটন।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে মার্কিন চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং হেলেন লাফেভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, মার্কিন সরকার প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানাতে পেরে খুশি এবং একসঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ ছিল।
তিনি বলেন, ভিসা প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস চলতি সপ্তাহে কনস্যুলার পরিষেবা পুনরায় চালু করবে। তিনি আরও বলেন, হাজার হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এখন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শ্রম, শাসন ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।
ওয়াশিংটন রোহিঙ্গাদের যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন শুরু করেছে, এই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন হেলেন লাফেভ। তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য জীবিকার সুযোগেরও আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস কক্সবাজারের ক্যাম্পে বসবাসকারী ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের জন্য অব্যাহত অর্থায়নসহ বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে গভীর সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং একটি যুক্তিসঙ্গত সময়ের পরে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশে বন্যার প্রতিক্রিয়ার জন্য দাতাদের মধ্যে একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্মের আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত শ্রম ও সংখ্যালঘু বিষয় নিয়ে কিছু উদ্বেগ উত্থাপন করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত এবং অন্তর্বর্তী সরকার সব নাগরিকের মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মানবাধিকার ইস্যু, সাইবার নিরাপত্তা আইন এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নও আলোচনার সময় উঠে এসেছে।