ঢাকা ১১:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘তোদের এতো বড় সাহস কে দিছে ট্রাক মার্কার পোষ্টার লাগাছ?’ 

আনোয়ার সুলতান, সাভার
‘তোদের এতো বড় সাহস কে দিছে ট্রাক মার্কার পোষ্টার লাগাছ?’

‘তোদের এতো বড় সাহস কে দিছে ট্রাক মার্কার পোষ্টার লাগাইতে? এখান থেকে তারাতাড়ি সর, তা-না হলে মেরে ফেলবো। তারাতাড়ি সর এখান থেকে। আমি প্রতিবাদ করাতে আমাকেসহ আমার সহযোগীদের মারধর করে। চড়থাপ্পড় মারে। মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে। এভাবেই বলছিলেন ঢাকা-১৯ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের ট্রাক প্রতিক মার্কার সমর্থক ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম।’

আগামী ৭ই জানুয়ারী জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসন (সাভার-আশুলিয়া) থেকে ট্রাক প্রতীক মার্কা নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তার কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা ডা. এনামুর রহমান এনামের কর্মীদের বিরুদ্ধে।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর ৬টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়ার গোরাট এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের ট্রাক প্রতীক মার্কা সমর্থকদের মারধরের এমন ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীরা হলেন- (১) মোঃ সিরাজুল ইসলাম, (২) মো.সাইদ রানা, (৩) শ্রী সজ্ঞয় ও (৪) শ্রী সঞ্চিত। তারা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের ট্রাক প্রতীক মার্কার সমর্থক।

অভিযুক্তরা হলেন- আশুলিয়ার জামগড়া গোরাট এলাকার সাহাবুদ্দিন মাদবরের ছেলে মোঃ আরিফ মাদবরসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪ জন। মোঃ আরিফ মাদবর আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক। তারা সবাই নৌকা প্রতীক মার্কার ডা. এনামের সমর্থক বলে জানা যায়।

মারধরের এঘটনায় ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম দেশবার্তা২৪নিউজডটকমকে বলেন, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলামের ট্রাক প্রতীক মার্কার একজন সমর্থক হিসেবে কাজ করছি। সারারাত আমরা বিভিন্ন জায়গায় পোষ্টার লাগিয়েছি। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা ৬টার দিকে আশুলিয়ার গোরাট এলাকায় আরিফ মাদবরের অফিস থেকে দুই/হাড়াইশ গজ দুরে আমিসহ আমার সহযোগীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলামের ট্রাক প্রতীক মার্কার পোষ্টার লাগাইতেছি। এমন সময় আরিফ মাদবরসহ আরও চারজন লোক দুইটা মোটরসাইকেলে করে আমাদের কাছে আসে। এসময় আরিফ মাদবর সাইফুল ভাইয়ের ট্রাক প্রতীক মার্কার পোষ্টার লাগাতে দেখে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি প্রতিবাদ করলে আরিফ মাদবরসহ তার সঙ্গীরা আমাদের উপর হামলা করে। চড়থাপ্পড় মারা শুরু করে আর বলে তোদের এতো বড় সাহস তোরা ট্রাক মার্কার পোষ্টার লাগাছ, তোদের এই সাহস কে দিছে? তারাতাড়ি সর এখান থেকে তা-না হলে মেরে ফেলবো। এরপর তারা আমাদের লাগানো পোষ্টারগুলো সব ছিড়ে ফেলে। ওই এলাকায় পূনরায় ট্রাক মার্কার পোষ্টার লাগাতে দেখলে প্রাণ নাশের হুমকিও দেয় আরিফ মাদবর।

এই বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেছেন কিনা তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, থানায় মৌখিক অভিযোগ করেছি। আভিযোগ নিয়ে গেলে আমাকে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখত অভিযোগ দায়ের করতে বলেছেন।

এব্যাপারে নৌকা প্রতীকের সমর্থক আরিফ মাদবরের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, বিষয়টি আমাকে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে। ভুক্তভোগীদের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। ওনারা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৫৫:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
২২৮ বার পড়া হয়েছে

‘তোদের এতো বড় সাহস কে দিছে ট্রাক মার্কার পোষ্টার লাগাছ?’ 

আপডেট সময় ০৪:৫৫:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
‘তোদের এতো বড় সাহস কে দিছে ট্রাক মার্কার পোষ্টার লাগাছ?’

‘তোদের এতো বড় সাহস কে দিছে ট্রাক মার্কার পোষ্টার লাগাইতে? এখান থেকে তারাতাড়ি সর, তা-না হলে মেরে ফেলবো। তারাতাড়ি সর এখান থেকে। আমি প্রতিবাদ করাতে আমাকেসহ আমার সহযোগীদের মারধর করে। চড়থাপ্পড় মারে। মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে। এভাবেই বলছিলেন ঢাকা-১৯ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের ট্রাক প্রতিক মার্কার সমর্থক ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম।’

আগামী ৭ই জানুয়ারী জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসন (সাভার-আশুলিয়া) থেকে ট্রাক প্রতীক মার্কা নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তার কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা ডা. এনামুর রহমান এনামের কর্মীদের বিরুদ্ধে।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর ৬টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়ার গোরাট এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের ট্রাক প্রতীক মার্কা সমর্থকদের মারধরের এমন ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীরা হলেন- (১) মোঃ সিরাজুল ইসলাম, (২) মো.সাইদ রানা, (৩) শ্রী সজ্ঞয় ও (৪) শ্রী সঞ্চিত। তারা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের ট্রাক প্রতীক মার্কার সমর্থক।

অভিযুক্তরা হলেন- আশুলিয়ার জামগড়া গোরাট এলাকার সাহাবুদ্দিন মাদবরের ছেলে মোঃ আরিফ মাদবরসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪ জন। মোঃ আরিফ মাদবর আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক। তারা সবাই নৌকা প্রতীক মার্কার ডা. এনামের সমর্থক বলে জানা যায়।

মারধরের এঘটনায় ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম দেশবার্তা২৪নিউজডটকমকে বলেন, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলামের ট্রাক প্রতীক মার্কার একজন সমর্থক হিসেবে কাজ করছি। সারারাত আমরা বিভিন্ন জায়গায় পোষ্টার লাগিয়েছি। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা ৬টার দিকে আশুলিয়ার গোরাট এলাকায় আরিফ মাদবরের অফিস থেকে দুই/হাড়াইশ গজ দুরে আমিসহ আমার সহযোগীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলামের ট্রাক প্রতীক মার্কার পোষ্টার লাগাইতেছি। এমন সময় আরিফ মাদবরসহ আরও চারজন লোক দুইটা মোটরসাইকেলে করে আমাদের কাছে আসে। এসময় আরিফ মাদবর সাইফুল ভাইয়ের ট্রাক প্রতীক মার্কার পোষ্টার লাগাতে দেখে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি প্রতিবাদ করলে আরিফ মাদবরসহ তার সঙ্গীরা আমাদের উপর হামলা করে। চড়থাপ্পড় মারা শুরু করে আর বলে তোদের এতো বড় সাহস তোরা ট্রাক মার্কার পোষ্টার লাগাছ, তোদের এই সাহস কে দিছে? তারাতাড়ি সর এখান থেকে তা-না হলে মেরে ফেলবো। এরপর তারা আমাদের লাগানো পোষ্টারগুলো সব ছিড়ে ফেলে। ওই এলাকায় পূনরায় ট্রাক মার্কার পোষ্টার লাগাতে দেখলে প্রাণ নাশের হুমকিও দেয় আরিফ মাদবর।

এই বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেছেন কিনা তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, থানায় মৌখিক অভিযোগ করেছি। আভিযোগ নিয়ে গেলে আমাকে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখত অভিযোগ দায়ের করতে বলেছেন।

এব্যাপারে নৌকা প্রতীকের সমর্থক আরিফ মাদবরের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, বিষয়টি আমাকে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে। ভুক্তভোগীদের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। ওনারা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।