ঢাকা ০১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সকল সাংবাদিক ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

মানবন্ধনে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক তৈয়ব শাহনুর বলেন, ‘ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল লেগেই থাকে। এসবকে কেন্দ্র করে তারা অস্ত্রের মহড়াসহ প্রায়ই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গতকালও তাই হয়েছিল। সেখানে ক্যাম্পাসের সাংবাদিকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় অনেক সাংবাদিকও। এই সাংবাদিকরা যেন তাদের অপকর্ম, তাদের নগ্নরূপ তুলে ধরতে না পারেন তাই তাদের প্রতিহত করতেই এই হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এইসব সন্ত্রাসী নানা ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করলেও ‘ছাত্রলীগ’ ট্যাগ ইউজ করে বেঁচে যায়। অথচ এরা ছাত্রলীগের কোনোরকম নীতি আদর্শ কখনোই প্রদর্শন করে নি। এরা বারবার বহিস্কৃত, তবু এরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘোরাফেরা করে, হলেও থাকে। প্রশাসন যদি এদের বিরুদ্ধে এবারও কড়া সিদ্ধান্ত না নেয় তাহলে প্রশাসনের মেরুদণ্ড নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলবে।’

মানববন্ধনে মোকছেদুল মোমিন বলেন, ‘এই সন্ত্রাসীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অতীতেও নানা ধরণের অপকর্ম করেছে। এদের নামে বড় বড় পত্রিকায় বারবার নিউজ হয়েছে। এরপরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এদের ব্যাপারে নমনীয় আচরণ করে আসছে।

মোস্তাফিজুর রহমান নোমান বলেন, ‘প্রশাসনের উপস্থিতিতে এরা যেধরণের নৃশংসতা দেখিয়েছে, তাতে এদের ছাত্র কিংবা ছাত্রলীগ, কোনোটিই বলার সুযোগ নেই। এরা সন্ত্রাসী, আর এরা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করে। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কি তাহলে সন্ত্রাসী লালন-পালন করে? যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই সন্ত্রাসীদের যথোপযুক্ত বিচার না করে, যদি সন্তোষজনক ফলাফল না আসে, তাহলে চরম পরিণতি হবে। ত্রিশাল প্রেসক্লাব, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন সহ স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায় থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, তারা সবাই একযোগে চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করবে।’

উল্লেখ্য, গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের নেতাকর্মীদের অতর্কিত হামলার শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত দুই সাংবাদিক। এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীবকে হামলা করা হয় সমিতির অফিসের সামনেই। এরপর সমিতির সভাপতি মো. ফাহাদ বিন সাঈদ তাকে উদ্ধার করতে আসলে তাকেও জয়ধ্বনি মঞ্চের সামনে বেধড়ক পেটানো হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ত্রিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি খুরশিদুল আলম মুজিব, সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের হোসেন, ত্রিশাল বার্তার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সময় টেলিভিশনের ময়মনসিংহ ব্যুরো চিফ সাদিকুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান সেলিম, ত্রিশাল উপজেলা কালের কন্ঠ প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান নোমান, মানবকন্ঠের প্রতিনিধি মো সেলিম ত্রিশাল প্রেস ইউনিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম তুহিন, বিজনেস বাংলাদেশের ত্রিশাল প্রতিনিধি নুরিদ্দিন সহ ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ফোরামের সাংবাদিকসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:৪৮:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
৬০ বার পড়া হয়েছে

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৬:৪৮:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সকল সাংবাদিক ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

মানবন্ধনে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক তৈয়ব শাহনুর বলেন, ‘ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল লেগেই থাকে। এসবকে কেন্দ্র করে তারা অস্ত্রের মহড়াসহ প্রায়ই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গতকালও তাই হয়েছিল। সেখানে ক্যাম্পাসের সাংবাদিকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় অনেক সাংবাদিকও। এই সাংবাদিকরা যেন তাদের অপকর্ম, তাদের নগ্নরূপ তুলে ধরতে না পারেন তাই তাদের প্রতিহত করতেই এই হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এইসব সন্ত্রাসী নানা ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করলেও ‘ছাত্রলীগ’ ট্যাগ ইউজ করে বেঁচে যায়। অথচ এরা ছাত্রলীগের কোনোরকম নীতি আদর্শ কখনোই প্রদর্শন করে নি। এরা বারবার বহিস্কৃত, তবু এরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘোরাফেরা করে, হলেও থাকে। প্রশাসন যদি এদের বিরুদ্ধে এবারও কড়া সিদ্ধান্ত না নেয় তাহলে প্রশাসনের মেরুদণ্ড নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলবে।’

মানববন্ধনে মোকছেদুল মোমিন বলেন, ‘এই সন্ত্রাসীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অতীতেও নানা ধরণের অপকর্ম করেছে। এদের নামে বড় বড় পত্রিকায় বারবার নিউজ হয়েছে। এরপরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এদের ব্যাপারে নমনীয় আচরণ করে আসছে।

মোস্তাফিজুর রহমান নোমান বলেন, ‘প্রশাসনের উপস্থিতিতে এরা যেধরণের নৃশংসতা দেখিয়েছে, তাতে এদের ছাত্র কিংবা ছাত্রলীগ, কোনোটিই বলার সুযোগ নেই। এরা সন্ত্রাসী, আর এরা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করে। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কি তাহলে সন্ত্রাসী লালন-পালন করে? যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই সন্ত্রাসীদের যথোপযুক্ত বিচার না করে, যদি সন্তোষজনক ফলাফল না আসে, তাহলে চরম পরিণতি হবে। ত্রিশাল প্রেসক্লাব, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন সহ স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায় থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, তারা সবাই একযোগে চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করবে।’

উল্লেখ্য, গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের নেতাকর্মীদের অতর্কিত হামলার শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত দুই সাংবাদিক। এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীবকে হামলা করা হয় সমিতির অফিসের সামনেই। এরপর সমিতির সভাপতি মো. ফাহাদ বিন সাঈদ তাকে উদ্ধার করতে আসলে তাকেও জয়ধ্বনি মঞ্চের সামনে বেধড়ক পেটানো হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ত্রিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি খুরশিদুল আলম মুজিব, সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের হোসেন, ত্রিশাল বার্তার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সময় টেলিভিশনের ময়মনসিংহ ব্যুরো চিফ সাদিকুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান সেলিম, ত্রিশাল উপজেলা কালের কন্ঠ প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান নোমান, মানবকন্ঠের প্রতিনিধি মো সেলিম ত্রিশাল প্রেস ইউনিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম তুহিন, বিজনেস বাংলাদেশের ত্রিশাল প্রতিনিধি নুরিদ্দিন সহ ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ফোরামের সাংবাদিকসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।