ঢাকা ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‍‍`কুয়াশা উৎসব‍‍` ১০ ও ১১ ডিসেম্বর

আসাদুল্লাহ আল গালিব, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় 

অপেক্ষার প্রহর শেষে আগামি ১০ এবং ১১ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হতে যাচ্ছে কুয়াশা উৎসব। বাংলাদেশে ৩য় বারের মত আয়োজিত হচ্ছে ব্যতিক্রমী এই উৎসব। প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর দে, মাননীয় উপাচার্য, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যশা করেন এক সময় এটি জাতীয় উৎসবে পরিণত হবে।

শীতের ঐতিহ্যেকে টিকিয়ে রাখাই হচ্ছে এ উৎসবের মূল উদ্দেশ্য। কুয়াশা উৎসব জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তৈরি একটি উৎসব।শীত-কুয়াশা উপভোগের পাশাপাশি শীতকালীন নানা অনুসঙ্গ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই এ উৎসব করা হচ্ছে বলে জানান আয়োজকরা।

আয়োজক কমিটির একাধিক সদস্য জানান, উৎসবের জন্য গত ১ ডিসেম্বর থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি চলে এর প্রচারণা। মাসখানেক আগে থেকেই ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে উৎসবের প্রচারণা করা হচ্ছে। ক্যাম্পাস ঘুরে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে, গান পরিবেশনা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে করা হচ্ছে অর্থ সংগ্রহ।

আয়োজক কমিটির সদস্য আহসানুল্লাহ নিপুন জানান, কুয়াশা উৎসব মূলত শীতকালে আয়োজন করা হয়। কিন্তু এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শীতকালীন ছুটি এবং নির্বাচনের কথা চিন্তা করে উৎসবের তারিখ এগিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শান্তা রহমান বলেন, আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এটাই প্রথম কুয়াশা উৎসব। এর আগে ফেসবুক ও অন্যান্য নিউজ মিডিয়ায় এ সম্পর্কে অল্প জানলেও নিজের চোখে দেখার সৌভাগ্য হয়নি। এবারই প্রথম সেই সুযোগটা পেতে যাচ্ছি। এজন্য অত্যন্ত আগ্রহের সাথে অপেক্ষায় আছি এমন ভিন্নধর্মী আয়োজনের জন্য। আমি খুবই উচ্ছ্বসিত এবং আনন্দিত প্রথমবার কুয়াশা উৎসব দেখতে পাব বলে।

সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাসসুম মেহেজাবিন বলেন,প্রথম বার এটাকে উপভোগ করবো।খুবই ভালো লাগছে।আশা রাখি সারাদিন উৎসবে ভালো সময় কাটবে। সবাই একসাথে মিলেমিশে উৎসবের মজা করবো।উৎসবের মর্মে বলবো: আজি হ’তে শত বর্ষ আগে, স্মরণ তুমি করেছিলে আমাদের শত অনুরাগে!

২ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনে থাকছে- শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রকলা প্রদর্শনী, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, পিঠা পার্বণ উৎসব, বইমেলা, সংগীত, নৃত্য, স্ট্যান্ড-আপ কমেডি, ইনস্টুলেশন আর্ট, পারফরমেন্স আর্ট, কীর্তন এবং শিক্ষকদের অংশগ্রহণে সাহিত্য আলোচনা। আরো থাকছে হাতে তৈরি বিভিন্ন শীতবস্ত্র ও পিঠার সঙ্গে ছিল গ্রামীণ ঐতিহ্যকে দেখার এক অনন্য আয়োজন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:৪৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩
১৯৭ বার পড়া হয়েছে

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‍‍`কুয়াশা উৎসব‍‍` ১০ ও ১১ ডিসেম্বর

আপডেট সময় ০৯:৪৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩

অপেক্ষার প্রহর শেষে আগামি ১০ এবং ১১ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হতে যাচ্ছে কুয়াশা উৎসব। বাংলাদেশে ৩য় বারের মত আয়োজিত হচ্ছে ব্যতিক্রমী এই উৎসব। প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর দে, মাননীয় উপাচার্য, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যশা করেন এক সময় এটি জাতীয় উৎসবে পরিণত হবে।

শীতের ঐতিহ্যেকে টিকিয়ে রাখাই হচ্ছে এ উৎসবের মূল উদ্দেশ্য। কুয়াশা উৎসব জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তৈরি একটি উৎসব।শীত-কুয়াশা উপভোগের পাশাপাশি শীতকালীন নানা অনুসঙ্গ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই এ উৎসব করা হচ্ছে বলে জানান আয়োজকরা।

আয়োজক কমিটির একাধিক সদস্য জানান, উৎসবের জন্য গত ১ ডিসেম্বর থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি চলে এর প্রচারণা। মাসখানেক আগে থেকেই ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে উৎসবের প্রচারণা করা হচ্ছে। ক্যাম্পাস ঘুরে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে, গান পরিবেশনা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে করা হচ্ছে অর্থ সংগ্রহ।

আয়োজক কমিটির সদস্য আহসানুল্লাহ নিপুন জানান, কুয়াশা উৎসব মূলত শীতকালে আয়োজন করা হয়। কিন্তু এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শীতকালীন ছুটি এবং নির্বাচনের কথা চিন্তা করে উৎসবের তারিখ এগিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শান্তা রহমান বলেন, আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এটাই প্রথম কুয়াশা উৎসব। এর আগে ফেসবুক ও অন্যান্য নিউজ মিডিয়ায় এ সম্পর্কে অল্প জানলেও নিজের চোখে দেখার সৌভাগ্য হয়নি। এবারই প্রথম সেই সুযোগটা পেতে যাচ্ছি। এজন্য অত্যন্ত আগ্রহের সাথে অপেক্ষায় আছি এমন ভিন্নধর্মী আয়োজনের জন্য। আমি খুবই উচ্ছ্বসিত এবং আনন্দিত প্রথমবার কুয়াশা উৎসব দেখতে পাব বলে।

সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাসসুম মেহেজাবিন বলেন,প্রথম বার এটাকে উপভোগ করবো।খুবই ভালো লাগছে।আশা রাখি সারাদিন উৎসবে ভালো সময় কাটবে। সবাই একসাথে মিলেমিশে উৎসবের মজা করবো।উৎসবের মর্মে বলবো: আজি হ’তে শত বর্ষ আগে, স্মরণ তুমি করেছিলে আমাদের শত অনুরাগে!

২ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনে থাকছে- শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রকলা প্রদর্শনী, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, পিঠা পার্বণ উৎসব, বইমেলা, সংগীত, নৃত্য, স্ট্যান্ড-আপ কমেডি, ইনস্টুলেশন আর্ট, পারফরমেন্স আর্ট, কীর্তন এবং শিক্ষকদের অংশগ্রহণে সাহিত্য আলোচনা। আরো থাকছে হাতে তৈরি বিভিন্ন শীতবস্ত্র ও পিঠার সঙ্গে ছিল গ্রামীণ ঐতিহ্যকে দেখার এক অনন্য আয়োজন।