নানা আয়োজনে ইবিতে সরস্বতী পূজা উদযাপন
বাণী অর্চনা, পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মালোচনাসহ নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে বর্ণিল আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়েছে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরের পূজাঙ্গনে প্রতিমা স্থাপন ও প্রধান পুরোহিতের বাণী অর্চনার মধ্য দিয়ে বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবীর পূজা শুরু হয়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. অরবিন্দ সাহার সভাপতিত্বে ও পোয়েট্রি বিশ্বাস এবং নিরব বিশ্বাসের সঞ্চালনায় বাণী অর্চনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কাস্টমসের উপ-কমিশনার সুশান্ত পাল, ঝিনাইদহ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রথীন্দ্রনাথ রায়। অনুষ্ঠানে ধর্মালোচক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. নিখিল রঞ্জন বিশ্বাস। এসময় প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রতন রায় বলেন, আজকের পর থেকে পরবর্তী সকল পূজা এই পূজাঙ্গনেই আমরা করবো। সেজন্য প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবী থাকবে এই স্থানটি যেনো আমাদের মন্দিরের জন্য বরাদ্দ করে দেয়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, বর্তমান সময়ে সমাজে বেঁচে থাকতে হলে দরকার মেধাশক্তি বা বুদ্ধিশক্তি। আজকে আমরা বুদ্ধির দেবী, জ্ঞানের দেবীর আরাধনার উদ্দেশ্যে সমবেত হয়েছি। ব্রহ্মা কে সৃষ্টি করতে বলা হয়েছিলো আর কোনোকিছু তৈরি করতে অবশ্যই জ্ঞান দরকার। আর সে জ্ঞানের দেবী আমাদের সরস্বতী। আমাদের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলবো নিজেকে দেবীর আলোয় আলোকিত করে নক্ষত্রের মতো ছড়িয়ে পড়।
শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে, মাঘ মাসের শুক্লাপঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ তিথি বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। এবার সরস্বতী পুজোর তিথি পড়ছে ১৩ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২.৪১ মিনিট থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২.০৯ মিনিট পর্যন্ত।