ঢাকা ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জে অস্বাস্থ্যকর স্যাঁতস্যাঁতে, নোংরা পরিবেশে তৈরী হচ্ছে বেকারী পন্য

রাকিব হাসান সাগর, নারায়ণগঞ্জ

আড়াই হাজার ও সোনারগাঁয়ের শান্তির বাজার এলাকায় কাদির বেকারীতে নিয়ম কানুন না মেনে অস্বাস্থ্যকর স্যাঁতস্যাঁতে নোংরা পরিবেশে ভেজাল ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি করছে বিস্কুট, কেক, বনরুটিসহ নানা ধরনের বেকারী পণ্য।

এসব খাদ্য তৈরী করার পাত্রগুলো অপরিষ্কার। যার মধ্যে মাছিসহ বিভিন্ন পোকামাকড় লক্ষ্য করা গেছে। কারখানার ভেতরে যেখানে তৈরী খাবার রাখা আছে সেখানেই নোংরা পরিবেশ, শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিদিন পৌঁছে যায় এসব খাবার।

ফলে মানুষ স্বাস্থ্যকর মনে করে এসব বেকারী খাবার খেয়ে থাকেন। কেউ কি কখনও ভেবে দেখেছেন এসব খাবারগুলো কোথায় এবং কিভাবে তৈরি হচ্ছে?তেমনি এক বেকারীর সন্ধান পাওয়া গেল সোনারগাঁয়ের শান্তির বাজার এলাকায় বেকারীগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরিকৃত খাবার বাইরে বিক্রি হচ্ছে।

সরেজমিনে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, সোনারগাঁও ও আড়াই হাজার মধ্যেবর্তী এলাকার শান্তির বাজারে কাদির বেকারীতে নিয়ম কানুন না মেনে অস্বাস্থ্যকর স্যাঁতস্যাঁতে নোংরা পরিবেশে ভেজাল ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি করছে এসব পণ্য। খাদ্য তৈরী করার পাত্রগুলো অপরিষ্কার। যার মধ্যে মাছিসহ বিভিন্ন পোকামাকড় লক্ষ্য করা গেছে। কারখানার ভেতরে যেখানে তৈরী খাবার রাখা আছে সেখানেই নোংরা পরিবেশ, রয়েছে ক্ষতিকারক রাসায়নিক স্যাকারিন, কেমিক্যাল এবং একাধিক পাম ওয়েলের ড্রাম। আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা ধরনের তৈরী পণ্য। উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীন তারিখ ছাড়ই বাহারি মোড়কে বনরুটি, পাউরুটি, কেক, বিস্কুটসহ বিভিন্ন ধরনের বেকারী সামগ্রী উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছে। বিএসটিআই এর কোনো অনুমোদন নেই। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেখা মেলেনি।

কখনো এসব কারখানা়য় অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানা করা হয় নাই। প্রতিদিন বেপোরোয়া গতিতে চালাচ্ছে তাদের পণ্য উৎপাদন। অনুমোদনহীন খাবারের সঙ্গে বেকিং পাউডার, ইষ্ট, স্যাকারিন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। কাদির বেকারীর উৎপাদিত বেকারি সামগ্রী পাউরুটিসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর মোড়কে বিএসটিআই, বিডিএস নম্বর লেখা নেই। মোড়কের গায়ে উৎপাদন ও মে়য়াদোত্তীণ লেখা নেই কত তারিখে উৎপাদন হয়েছে বা মেয়াদ কবে। শেষ হবে তার কোন উলেখ নেই।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভেজাল কেমিক্যাল ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরী করা এসব খাবার সামগ্রী খেলে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি হতে পারে। পেটব্যথা, শরীর দূর্বলসহ জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হও়য়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি রয়েছে।

এক বেকারীতে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী টিম অনুসন্ধান করতে গেলে কাদির বেকারীর মালিক বাচচু মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমার বেকারীতে আপনাদেরকে ঢোকার অনুমতি কে দিয়েছে? আপনি সাংবাদিক তাই কি হয়েছে? আপনি কি বেকারীর মালিক? আমাদের নিষেধ আছে বেকারীতে কোন সাংবাদিক ঢোকতে পারবে না, কে নিষেধ করেছে এমন প্রশ্ন করলে বলেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরীর অনুমতি কে দিয়েছে এ কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন। আমি এই বেকারীর মালিক আমি যেটা বলবো সেটাই হবে। আপনারা পারলে যা কিছু লিখেন গিয়ে।

পরে খোলা ব্যবহৃত টয়লেট থেকে ২ফুট দুরুত্বে খাদ্য রেখেছেন কেনো জানতে চাইলে তিনি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমরা বাথরুমে পাশে খাবার রাখবো সেই খাবার মানুষ খাবে তাতে আপনাদের কি। আপনারা ছবি তুলেছেন? যান ছবি নিয়ে যা ইচ্ছা করেন তাতে আমার কোন যাই আসেনা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:৩৩:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
৪৪৮ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জে অস্বাস্থ্যকর স্যাঁতস্যাঁতে, নোংরা পরিবেশে তৈরী হচ্ছে বেকারী পন্য

আপডেট সময় ১২:৩৩:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

আড়াই হাজার ও সোনারগাঁয়ের শান্তির বাজার এলাকায় কাদির বেকারীতে নিয়ম কানুন না মেনে অস্বাস্থ্যকর স্যাঁতস্যাঁতে নোংরা পরিবেশে ভেজাল ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি করছে বিস্কুট, কেক, বনরুটিসহ নানা ধরনের বেকারী পণ্য।

এসব খাদ্য তৈরী করার পাত্রগুলো অপরিষ্কার। যার মধ্যে মাছিসহ বিভিন্ন পোকামাকড় লক্ষ্য করা গেছে। কারখানার ভেতরে যেখানে তৈরী খাবার রাখা আছে সেখানেই নোংরা পরিবেশ, শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিদিন পৌঁছে যায় এসব খাবার।

ফলে মানুষ স্বাস্থ্যকর মনে করে এসব বেকারী খাবার খেয়ে থাকেন। কেউ কি কখনও ভেবে দেখেছেন এসব খাবারগুলো কোথায় এবং কিভাবে তৈরি হচ্ছে?তেমনি এক বেকারীর সন্ধান পাওয়া গেল সোনারগাঁয়ের শান্তির বাজার এলাকায় বেকারীগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরিকৃত খাবার বাইরে বিক্রি হচ্ছে।

সরেজমিনে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, সোনারগাঁও ও আড়াই হাজার মধ্যেবর্তী এলাকার শান্তির বাজারে কাদির বেকারীতে নিয়ম কানুন না মেনে অস্বাস্থ্যকর স্যাঁতস্যাঁতে নোংরা পরিবেশে ভেজাল ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি করছে এসব পণ্য। খাদ্য তৈরী করার পাত্রগুলো অপরিষ্কার। যার মধ্যে মাছিসহ বিভিন্ন পোকামাকড় লক্ষ্য করা গেছে। কারখানার ভেতরে যেখানে তৈরী খাবার রাখা আছে সেখানেই নোংরা পরিবেশ, রয়েছে ক্ষতিকারক রাসায়নিক স্যাকারিন, কেমিক্যাল এবং একাধিক পাম ওয়েলের ড্রাম। আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা ধরনের তৈরী পণ্য। উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীন তারিখ ছাড়ই বাহারি মোড়কে বনরুটি, পাউরুটি, কেক, বিস্কুটসহ বিভিন্ন ধরনের বেকারী সামগ্রী উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছে। বিএসটিআই এর কোনো অনুমোদন নেই। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেখা মেলেনি।

কখনো এসব কারখানা়য় অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানা করা হয় নাই। প্রতিদিন বেপোরোয়া গতিতে চালাচ্ছে তাদের পণ্য উৎপাদন। অনুমোদনহীন খাবারের সঙ্গে বেকিং পাউডার, ইষ্ট, স্যাকারিন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। কাদির বেকারীর উৎপাদিত বেকারি সামগ্রী পাউরুটিসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর মোড়কে বিএসটিআই, বিডিএস নম্বর লেখা নেই। মোড়কের গায়ে উৎপাদন ও মে়য়াদোত্তীণ লেখা নেই কত তারিখে উৎপাদন হয়েছে বা মেয়াদ কবে। শেষ হবে তার কোন উলেখ নেই।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভেজাল কেমিক্যাল ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরী করা এসব খাবার সামগ্রী খেলে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি হতে পারে। পেটব্যথা, শরীর দূর্বলসহ জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হও়য়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি রয়েছে।

এক বেকারীতে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী টিম অনুসন্ধান করতে গেলে কাদির বেকারীর মালিক বাচচু মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমার বেকারীতে আপনাদেরকে ঢোকার অনুমতি কে দিয়েছে? আপনি সাংবাদিক তাই কি হয়েছে? আপনি কি বেকারীর মালিক? আমাদের নিষেধ আছে বেকারীতে কোন সাংবাদিক ঢোকতে পারবে না, কে নিষেধ করেছে এমন প্রশ্ন করলে বলেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরীর অনুমতি কে দিয়েছে এ কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন। আমি এই বেকারীর মালিক আমি যেটা বলবো সেটাই হবে। আপনারা পারলে যা কিছু লিখেন গিয়ে।

পরে খোলা ব্যবহৃত টয়লেট থেকে ২ফুট দুরুত্বে খাদ্য রেখেছেন কেনো জানতে চাইলে তিনি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমরা বাথরুমে পাশে খাবার রাখবো সেই খাবার মানুষ খাবে তাতে আপনাদের কি। আপনারা ছবি তুলেছেন? যান ছবি নিয়ে যা ইচ্ছা করেন তাতে আমার কোন যাই আসেনা।