ঢাকা ০৩:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারী নির্যাতন মামলায় হাজতে ইবির বিভাগীয় সভাপতি সঞ্জয়

ওয়াসিফ আল আবরার, ইবি

 

স্ত্রী জয়া সাহার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারা ১১(গ) ও ধারা ৩০ অনুযায়ী দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার সরকারকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) নাটোর জর্জ কোর্টের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় ড. সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে পারিবারিকভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আদালতে অস্থায়ী জামিন আবদেন করেন তিনি। আদালত তা মঞ্জুর করলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ড. সঞ্জয় বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হয়। ফলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে পারিবারিকভাবে সঞ্জয় ও জয়ার বিয়ে হয়। বিয়েতে জয়ার বাবা যৌতুক হিসেবে নগদ ২৫ লক্ষ টাকা, ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, টিভি, ফ্রিজসহ প্রয়োজনীয় ফার্ণিচার দেয়। তবে বিয়েরে পর থেকেই উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। গত বছরের জুন মাসে জয়াকে জোরপূর্বক শ্বশুরবাড়ি রেখে আসে সঞ্জয়। নির্যাতনের শিকার জয়া সাহা ইবির আইন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি নাটোরের উপরবাজার উপজেলার রতন কুমার সাহার বড় কন্যা। অভিযুক্ত সঞ্জয় পাবনার চড়াডাঙ্গা গ্রামের সুশান্ত কুমার সাহার পুত্র।

রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান বলেন, সঞ্জয় সাহার স্ত্রী তার নামে যৌতুক ও নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেছিলেন। মামলাটি পরে জুডিশিয়াল তদন্ত হয়। তদন্তে ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে যৌতুক নেওয়া, তাকে মারধর, নির্যাতনের সত্যতা পায়৷ পরে বিজ্ঞ বিচারক সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন। তখন সে এসে আপোষের কথা বলে অস্থায়ী জামিন নিয়ে যায়। আজকে মামলার পরবর্তী ডেট ছিল কিন্তু আজ পর্যন্তও আপোষ না করায় আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।

সঞ্জয় কুমারের আইনজীবী এ কে এম শাহজাহান কবীর বলেন, তার স্ত্রী তার নামে মামলা করছিল। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। আমার জানা মতে তিনি তার স্ত্রীকে গ্রহণ করতে চান কিন্তু তার স্ত্রী তার সাথে সংসার করতে রাজি হন না। এটা দ্রুত জামিন যোগ্য মামলা না হলেও আপোষযোগ্য মামলা। তবে আমরা আগামী রবিবার আবারো জামিনের চেষ্টা করবো ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:০৬:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪
১২৫ বার পড়া হয়েছে

নারী নির্যাতন মামলায় হাজতে ইবির বিভাগীয় সভাপতি সঞ্জয়

আপডেট সময় ০৭:০৬:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

 

স্ত্রী জয়া সাহার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারা ১১(গ) ও ধারা ৩০ অনুযায়ী দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার সরকারকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) নাটোর জর্জ কোর্টের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় ড. সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে পারিবারিকভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আদালতে অস্থায়ী জামিন আবদেন করেন তিনি। আদালত তা মঞ্জুর করলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ড. সঞ্জয় বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হয়। ফলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে পারিবারিকভাবে সঞ্জয় ও জয়ার বিয়ে হয়। বিয়েতে জয়ার বাবা যৌতুক হিসেবে নগদ ২৫ লক্ষ টাকা, ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, টিভি, ফ্রিজসহ প্রয়োজনীয় ফার্ণিচার দেয়। তবে বিয়েরে পর থেকেই উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। গত বছরের জুন মাসে জয়াকে জোরপূর্বক শ্বশুরবাড়ি রেখে আসে সঞ্জয়। নির্যাতনের শিকার জয়া সাহা ইবির আইন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি নাটোরের উপরবাজার উপজেলার রতন কুমার সাহার বড় কন্যা। অভিযুক্ত সঞ্জয় পাবনার চড়াডাঙ্গা গ্রামের সুশান্ত কুমার সাহার পুত্র।

রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান বলেন, সঞ্জয় সাহার স্ত্রী তার নামে যৌতুক ও নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেছিলেন। মামলাটি পরে জুডিশিয়াল তদন্ত হয়। তদন্তে ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে যৌতুক নেওয়া, তাকে মারধর, নির্যাতনের সত্যতা পায়৷ পরে বিজ্ঞ বিচারক সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন। তখন সে এসে আপোষের কথা বলে অস্থায়ী জামিন নিয়ে যায়। আজকে মামলার পরবর্তী ডেট ছিল কিন্তু আজ পর্যন্তও আপোষ না করায় আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।

সঞ্জয় কুমারের আইনজীবী এ কে এম শাহজাহান কবীর বলেন, তার স্ত্রী তার নামে মামলা করছিল। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। আমার জানা মতে তিনি তার স্ত্রীকে গ্রহণ করতে চান কিন্তু তার স্ত্রী তার সাথে সংসার করতে রাজি হন না। এটা দ্রুত জামিন যোগ্য মামলা না হলেও আপোষযোগ্য মামলা। তবে আমরা আগামী রবিবার আবারো জামিনের চেষ্টা করবো ।