ঢাকা ১১:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৫৭ ভরি সোনা লুট, পাহারাদারকে হত্যা

নিজস্ব সংবাদ

নোয়াখালীর কবিরহাটে সোনার দোকানে ডাকাতির সময় শহীদ উল্যাহ (৫৫) নামে এক পাহারাদারকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

শহীদ উল্যাহ উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত ছায়েদুল হকের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে ১৫-২০ জনের ডাকাতদল বাজারের মা-মনি জুয়েলার্স ও নূর জুয়েলার্সের তালা ও সিন্দুক কেটে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যান। এসময় বাজারের পাহারাদার শহীদ উল্যাহ বাধা দিলে ডাকাতরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। সকালে মরদেহ উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিষয়টি তদন্ত করছে

এ বিষয়ে মা-মনি জুয়েলার্সের মালিক মিন্টু চন্দ্র নাথ জাগো নিউজকে জানান, রাত সাড়ে ৩টার দিকে ১৫-২০ জনের ডাকাতদল পিকআপ গাড়ি নিয়ে এসে আমার দোকানের তালা ও সিন্দুক কেটে ২৫০ ভরি স্বর্ণালংকার, ১৫০ ভরি রূপা ও নগদ তিন লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

নূর জুয়েলার্সে মালিক নূর আলম বলেন, দোকানের তালা কেটে ডাকাতরা সাত ভরি স্বর্ণালংকার ও ১৫০ ভরি রূপা নিয়ে গেছে। বাজারের ব্যবসায়ীরা বেরিয়ে আসায় স্বর্ণের মূল সিন্দুক ভাঙতে পারেনি তারা।

ওই বাজারের শরীফ শপিং সেন্টারের মালিক নেয়ামত উল্যাহ (২৬) বলেন, ভোর সোয়া ৪টার দিকে ব্যবসার কাজে ঢাকা যাওয়ার জন্য বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার সময় ডাকাতরা আমাকে আটক করে। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আমার সঙ্গে থাকা চালানের তিন লাখ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক জাহাঙ্গীর হোসেন বাচ্চু (৫০) বলেন, ভোর ৪টার দিকে ভাড়া আনতে যাওয়ার সময় ডাকাতরা আমাকে হাত-মুখ বেঁধে পিকআপে তোলে। অস্ত্রের মুখে আমার মোবাইল কেড়ে নেয়। স্কচটেপ দিয়ে হাতমুখ বেঁধে রাখে। সেখানে নামাজ পড়তে বের হওয়া আরও দুজনকেও বেঁধে রেখেছিল।

চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন টিটু বলেন, ভোরে বাজারের এক ব্যবসায়ী ফোন করে বিষয়টি আমাকে জানায়। বাজারে এসে পাহারাদার শহীদ উল্যাহর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সারারাত পুলিশ বাজারে ডিউটি করে রাত ৩টার পর অন্য ইউনিয়নের গেলে ডাকাতরা বাজারে হানা দেয়। খবর পেয়ে আমরা পাহারাদার শহীদ উল্যাহর মরদেহ উদ্ধার করেছি।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোর্তাহীন বিল্লাহ বলেন, দুটি সোনার দোকানে ডাকাতি এবং পাহারাদারকে হত্যার ঘটনায় তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:২৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩
১৬২ বার পড়া হয়েছে

২৫৭ ভরি সোনা লুট, পাহারাদারকে হত্যা

আপডেট সময় ০৬:২৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩

নোয়াখালীর কবিরহাটে সোনার দোকানে ডাকাতির সময় শহীদ উল্যাহ (৫৫) নামে এক পাহারাদারকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

শহীদ উল্যাহ উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত ছায়েদুল হকের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে ১৫-২০ জনের ডাকাতদল বাজারের মা-মনি জুয়েলার্স ও নূর জুয়েলার্সের তালা ও সিন্দুক কেটে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যান। এসময় বাজারের পাহারাদার শহীদ উল্যাহ বাধা দিলে ডাকাতরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। সকালে মরদেহ উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিষয়টি তদন্ত করছে

এ বিষয়ে মা-মনি জুয়েলার্সের মালিক মিন্টু চন্দ্র নাথ জাগো নিউজকে জানান, রাত সাড়ে ৩টার দিকে ১৫-২০ জনের ডাকাতদল পিকআপ গাড়ি নিয়ে এসে আমার দোকানের তালা ও সিন্দুক কেটে ২৫০ ভরি স্বর্ণালংকার, ১৫০ ভরি রূপা ও নগদ তিন লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

নূর জুয়েলার্সে মালিক নূর আলম বলেন, দোকানের তালা কেটে ডাকাতরা সাত ভরি স্বর্ণালংকার ও ১৫০ ভরি রূপা নিয়ে গেছে। বাজারের ব্যবসায়ীরা বেরিয়ে আসায় স্বর্ণের মূল সিন্দুক ভাঙতে পারেনি তারা।

ওই বাজারের শরীফ শপিং সেন্টারের মালিক নেয়ামত উল্যাহ (২৬) বলেন, ভোর সোয়া ৪টার দিকে ব্যবসার কাজে ঢাকা যাওয়ার জন্য বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার সময় ডাকাতরা আমাকে আটক করে। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আমার সঙ্গে থাকা চালানের তিন লাখ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক জাহাঙ্গীর হোসেন বাচ্চু (৫০) বলেন, ভোর ৪টার দিকে ভাড়া আনতে যাওয়ার সময় ডাকাতরা আমাকে হাত-মুখ বেঁধে পিকআপে তোলে। অস্ত্রের মুখে আমার মোবাইল কেড়ে নেয়। স্কচটেপ দিয়ে হাতমুখ বেঁধে রাখে। সেখানে নামাজ পড়তে বের হওয়া আরও দুজনকেও বেঁধে রেখেছিল।

চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন টিটু বলেন, ভোরে বাজারের এক ব্যবসায়ী ফোন করে বিষয়টি আমাকে জানায়। বাজারে এসে পাহারাদার শহীদ উল্যাহর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সারারাত পুলিশ বাজারে ডিউটি করে রাত ৩টার পর অন্য ইউনিয়নের গেলে ডাকাতরা বাজারে হানা দেয়। খবর পেয়ে আমরা পাহারাদার শহীদ উল্যাহর মরদেহ উদ্ধার করেছি।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোর্তাহীন বিল্লাহ বলেন, দুটি সোনার দোকানে ডাকাতি এবং পাহারাদারকে হত্যার ঘটনায় তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।