পদত্যাগের সম্ভাবনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনারদের
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ করার পর দেশের সাংবিধানিক, সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে পদত্যাগ ও বদলি।
ইতোমধ্যে নানান সময়ে আলোচিত-সমালোচিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের পদত্যাগ চেয়ে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সামনে ব্যানার লাগিয়েছে ছাত্র-জনতা। গত ১০ আগস্ট ইসির চার উপসচিবকে বদলি করা হয়েছে।
এদিকে সরকার পতনের পরের দিন থেকে সরকারি অফিস খুলে দেওয়া হয়। সে সময় নিরাপত্তার অজুহাতে নিয়মিত অফিস করেননি প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা। কিন্তু গতকাল থেকে নির্বাচন ভবনে গুঞ্জন শুরু হয়েছে যেকোন সময় পদত্যাগ করতে পারেন কমিশনাররা। পদত্যাগ করার জন্য তাদের সব প্রস্তুতিও নাকি সম্পূর্ণ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। সিইসির একান্ত সচিব রিয়াজ উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, পদত্যাগ নিয়ে ওপর থেকে চাপ নেই। বা পদত্যাগের কোন লক্ষণ নেই। স্যাররা মাঝখানে নিরাপত্তাজনিত কারণে কয়েকদিন অফিস করেন নাই। এখন সবাই নিয়মিত অফিস করছে।
নির্বাচনের কমিশনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সোমবার (১২ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়েছেন। অন্য কমিশনাররা পদত্যাগের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছে। এখন সবাই প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দিকে তাকিয়ে আছেন। তার নির্দেশনা পেলেই পদত্যাগ করবেন কমিশনাররা।
আজকে অফিস করেন নাই নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, গতকাল বিদায় নেওয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি। আমি ব্যস্ত আছি পরে
এ বিষয়ে কথা বলবো।
সরকার পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাপে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পরদিনই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংসদ বিলুপ্ত করেন।
২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেয় কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসি। সাংবিধানিক এই সংস্থায় পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন তারা। বাকি কমিশনাররা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা ও অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব আনিছুর রহমান।
হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের অধীনে সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে সেই নির্বাচনে বিএনপিসহ বেশ কয়টি দল নির্বাচন বর্জন করে। প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে ভোটের হার নিয়ে সেসময় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন কমিশন।