ঢাকা ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চান নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা’

আসাদুল্লাহ আল গালিব

 

সম্প্রতি জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন  ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) জাককানইবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. তুষার কান্তি সাহা ও সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “গত ১৩ মার্চ ২০২৪ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত (এস.আর.ও নং-৪৭- আইন/২০২৪) প্রজ্ঞাপনে সকল স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তার অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহে আগামী ১ জুলাই, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ ও তৎপরবর্তী সময়ে নূতন যোগদানকৃত সকল চাকরিজীবীকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এই প্রজ্ঞাপন জারির ফলে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের মাঝে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। 

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে করে, ‘এই পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ চরম বৈষম্যের শিকার হবেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রজ্ঞাপন কাম্য নয়। ‘

স্বাধীনতার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করে যে শিক্ষা ও গবেষণার গুরুত্বকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের মাঝে সেই গুরুত্ব এবং শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানের স্বপ্ন ব্যাহত হবে যদি না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ শিক্ষা ও গবেষণায় একনিষ্ঠভাবে মনোনিবেশ করতে পারেন। এই বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপনের ফলে মেধাবীরা শিক্ষকতায় নিরুৎসাহিত হবেন।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি উক্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের মাঝে সৃষ্ট ক্ষোভ ও অসন্তোষ নিরসনের দাবি জানাচ্ছে। পাশাপাশি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর দীর্ঘদিনের দাবি প্রতি সমর্থন জ্ঞাপনপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের মর্যাদাকে সমুন্নত করার জোর দাবি জানাচ্ছে।”

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:৫১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪
১৪৪ বার পড়া হয়েছে

‘পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চান নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা’

আপডেট সময় ১০:৫১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

 

সম্প্রতি জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন  ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) জাককানইবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. তুষার কান্তি সাহা ও সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “গত ১৩ মার্চ ২০২৪ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত (এস.আর.ও নং-৪৭- আইন/২০২৪) প্রজ্ঞাপনে সকল স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তার অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহে আগামী ১ জুলাই, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ ও তৎপরবর্তী সময়ে নূতন যোগদানকৃত সকল চাকরিজীবীকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এই প্রজ্ঞাপন জারির ফলে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের মাঝে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। 

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে করে, ‘এই পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ চরম বৈষম্যের শিকার হবেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রজ্ঞাপন কাম্য নয়। ‘

স্বাধীনতার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করে যে শিক্ষা ও গবেষণার গুরুত্বকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের মাঝে সেই গুরুত্ব এবং শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানের স্বপ্ন ব্যাহত হবে যদি না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ শিক্ষা ও গবেষণায় একনিষ্ঠভাবে মনোনিবেশ করতে পারেন। এই বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপনের ফলে মেধাবীরা শিক্ষকতায় নিরুৎসাহিত হবেন।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি উক্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের মাঝে সৃষ্ট ক্ষোভ ও অসন্তোষ নিরসনের দাবি জানাচ্ছে। পাশাপাশি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর দীর্ঘদিনের দাবি প্রতি সমর্থন জ্ঞাপনপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের মর্যাদাকে সমুন্নত করার জোর দাবি জানাচ্ছে।”