ঢাকা ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেসবুকে ধর্মীয় কটূক্তিমূলক পোস্ট শেয়ার নিয়ে খুলনায় শিক্ষক অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

মামুনর রশীদ রাজু, ব্যুরো চিফ (খুলনা)

 

খুলনা সরকারি সুন্দরবন আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক শিক্ষককে অপসারণ দাবিতে আজ বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করে।

 

খুলনা সরকারি সুন্দরবন আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক বাসুদেব সাহা ধর্মীয় কটূক্তিমূলক একটি পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার করাকে কেন্দ্র করে এই বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

 

শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ প্রদর্শণের একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়। এরপর কলেজ গেটের সামনে খানজাহান আলী সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে। এ সময় সড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। পরে কলেজের শিক্ষক ও স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অনুরোধে তারা সড়ক অবরোধ তুলে নিয়ে বিক্ষোভ থেকে সরে যায়।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কিছুদিন আগে সরকারি সুন্দরবন আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক বাসুদেব বিশ্বাস ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তিমূলক একটি পোস্ট শেয়ার করেন। শিক্ষার্থীদের চোখে শেয়ারটি পড়লে তারা এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়। বিষয়টি গত ২৪ মার্চ লিখিতভাবে অধ্যক্ষকে জানানো হয়। এরপর অধ্যক্ষ ওই শিক্ষককে শোকজ করেন। এর মধ্যে কলেজ বন্ধ হয়ে গেলে বিষয়টি আড়াল পড়ে যায়। এরপর আজ (বুধবার) কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা ওই কলেজ শিক্ষকের শাস্তি দাবি করে বিক্ষোভ শুরু করে।

সুন্দরবন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মাকসুদা সুলতানা জানান, শিক্ষকের ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্ট নিয়ে আমরা বিব্রত। ওই পোস্ট নিয়ে ছাত্ররা অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে আমাদের অনুরোধে তারা শান্ত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষক বাসুদেব বিশ্বাসকে শোকজ করা হয়েছে। আগামী চার-পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর নিয়ম অনুযায়ী এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশা করছি।

 

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন খান বলেন, ছাত্রদের বিক্ষোভের খবর শুনে আমরা কলেজে গিয়ে কাউকে পাইনি। কলেজের পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:৩৬:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১২৬ বার পড়া হয়েছে

ফেসবুকে ধর্মীয় কটূক্তিমূলক পোস্ট শেয়ার নিয়ে খুলনায় শিক্ষক অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আপডেট সময় ১২:৩৬:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

 

খুলনা সরকারি সুন্দরবন আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক শিক্ষককে অপসারণ দাবিতে আজ বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করে।

 

খুলনা সরকারি সুন্দরবন আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক বাসুদেব সাহা ধর্মীয় কটূক্তিমূলক একটি পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার করাকে কেন্দ্র করে এই বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

 

শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ প্রদর্শণের একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়। এরপর কলেজ গেটের সামনে খানজাহান আলী সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে। এ সময় সড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। পরে কলেজের শিক্ষক ও স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অনুরোধে তারা সড়ক অবরোধ তুলে নিয়ে বিক্ষোভ থেকে সরে যায়।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কিছুদিন আগে সরকারি সুন্দরবন আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক বাসুদেব বিশ্বাস ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তিমূলক একটি পোস্ট শেয়ার করেন। শিক্ষার্থীদের চোখে শেয়ারটি পড়লে তারা এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়। বিষয়টি গত ২৪ মার্চ লিখিতভাবে অধ্যক্ষকে জানানো হয়। এরপর অধ্যক্ষ ওই শিক্ষককে শোকজ করেন। এর মধ্যে কলেজ বন্ধ হয়ে গেলে বিষয়টি আড়াল পড়ে যায়। এরপর আজ (বুধবার) কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা ওই কলেজ শিক্ষকের শাস্তি দাবি করে বিক্ষোভ শুরু করে।

সুন্দরবন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মাকসুদা সুলতানা জানান, শিক্ষকের ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্ট নিয়ে আমরা বিব্রত। ওই পোস্ট নিয়ে ছাত্ররা অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে আমাদের অনুরোধে তারা শান্ত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষক বাসুদেব বিশ্বাসকে শোকজ করা হয়েছে। আগামী চার-পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর নিয়ম অনুযায়ী এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশা করছি।

 

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন খান বলেন, ছাত্রদের বিক্ষোভের খবর শুনে আমরা কলেজে গিয়ে কাউকে পাইনি। কলেজের পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।