ঢাকা ১০:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্ধ শেষে ক্যাম্পাসে ফিরছেন ইবি শিক্ষার্থীরা, ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা

ওয়াসিফ আল আবরার, ইবি

 

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হলে বাধ্য হয়ে হল ছেড়ে বাড়ি চলে যান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। তবে সরকার পতনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের পর পুনরায় হলে ফিরতে শুরু করছেন ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা। তবে ক্লাস-পরীক্ষা কবে শুরু হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন তারা।

 

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। সরকার পতনের পড়ে প্রথম দুদিন উপস্থিতি কম থাকলেও সময় বাড়ার সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়তে শুরু করেছে।

 

সুদূর গাজীপুর থেকে আসা সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শামীম বলেন, শুরুতে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় আসতে পারিনি। তবে বাস চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় এখন ক্যাম্পাসে ফিরে আসছি। এখন মনে হচ্ছে যেনো নিজে যুদ্ধ করে স্বাধীন করা একটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখছি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ম্যানার শিখানোর নামে যে নোংরা সংস্কৃতির চর্চা হতো সেটাও এখন নিপাত যাবে আশাকরি।

 

তবে হলে ফিরলেও শিক্ষা-কার্যক্রম শুরু হওয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, হল খুলে দেয়া হলেও বিভাগের পক্ষ থেকে ক্লাস শুরুর ব্যাপারে এখনো কোন নোটিশ পাওয়া যায়নি৷ তাই ক্লাস-পরীক্ষা কবে শুরু হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ক্যাম্পাস খোলার পরপরই ক্লাসের সময়সূচি নোটিশ আকারে জানিয়ে দেয়া হলে আমাদের অনিশ্চয়তাটা থাকতো না।

 

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার ঘোষণার পরদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছে। শুরুর দিকে ফিরে আসার সংখ্যা কম থাকলেও এখন উপস্থিতি অনেক বাড়ছে। আশাকরি শুক্রবারের মধ্যেই সবাই ক্যাম্পাসে ফিরে আসবে। আমার আহ্বান থাকবে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা যেন দ্রুত হলে আসে এবং শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা করে।

 

এদিকে শিক্ষা-কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে একাধিক বিভাগের সভাপতির সাথে কথা বললে তারাও দ্রুতই ক্লাস চালুর কথা জানিয়েছেন। লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম বলেন, অফিসিয়ালি যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হয়েছে আমাদের ক্লাস-পরীক্ষা চালু করতে কোন সমস্যা নেই। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার দেখে আমরা শনিবারেই মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে নোটিশের মাধ্যমে জানিয়ে দিবো। আমাদের বেশকিছু শিক্ষাবর্ষে পরীক্ষার রুটিন হয়েছিলো। সেগুলোও শনিবার বসে পুনরায় প্রকাশ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই পরীক্ষার আয়োজন করা হবে।

 

এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় তো খোলা ই আছে। সরকার গঠন হয়ে গেলে শিক্ষকদের ডেকে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে বলবো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটা ব্রিফিং রয়েছে সেখানে নির্দেশনা প্রদান করা হলে সে মোতাবেক আমরা আগাবো। আশাকরি আগামীকাল সকালেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:১৪:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪
৭৮ বার পড়া হয়েছে

বন্ধ শেষে ক্যাম্পাসে ফিরছেন ইবি শিক্ষার্থীরা, ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা

আপডেট সময় ০৩:১৪:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪

 

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হলে বাধ্য হয়ে হল ছেড়ে বাড়ি চলে যান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। তবে সরকার পতনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের পর পুনরায় হলে ফিরতে শুরু করছেন ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা। তবে ক্লাস-পরীক্ষা কবে শুরু হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন তারা।

 

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। সরকার পতনের পড়ে প্রথম দুদিন উপস্থিতি কম থাকলেও সময় বাড়ার সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়তে শুরু করেছে।

 

সুদূর গাজীপুর থেকে আসা সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শামীম বলেন, শুরুতে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় আসতে পারিনি। তবে বাস চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় এখন ক্যাম্পাসে ফিরে আসছি। এখন মনে হচ্ছে যেনো নিজে যুদ্ধ করে স্বাধীন করা একটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখছি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ম্যানার শিখানোর নামে যে নোংরা সংস্কৃতির চর্চা হতো সেটাও এখন নিপাত যাবে আশাকরি।

 

তবে হলে ফিরলেও শিক্ষা-কার্যক্রম শুরু হওয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, হল খুলে দেয়া হলেও বিভাগের পক্ষ থেকে ক্লাস শুরুর ব্যাপারে এখনো কোন নোটিশ পাওয়া যায়নি৷ তাই ক্লাস-পরীক্ষা কবে শুরু হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ক্যাম্পাস খোলার পরপরই ক্লাসের সময়সূচি নোটিশ আকারে জানিয়ে দেয়া হলে আমাদের অনিশ্চয়তাটা থাকতো না।

 

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার ঘোষণার পরদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছে। শুরুর দিকে ফিরে আসার সংখ্যা কম থাকলেও এখন উপস্থিতি অনেক বাড়ছে। আশাকরি শুক্রবারের মধ্যেই সবাই ক্যাম্পাসে ফিরে আসবে। আমার আহ্বান থাকবে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা যেন দ্রুত হলে আসে এবং শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে সহযোগিতা করে।

 

এদিকে শিক্ষা-কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে একাধিক বিভাগের সভাপতির সাথে কথা বললে তারাও দ্রুতই ক্লাস চালুর কথা জানিয়েছেন। লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম বলেন, অফিসিয়ালি যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হয়েছে আমাদের ক্লাস-পরীক্ষা চালু করতে কোন সমস্যা নেই। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার দেখে আমরা শনিবারেই মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে নোটিশের মাধ্যমে জানিয়ে দিবো। আমাদের বেশকিছু শিক্ষাবর্ষে পরীক্ষার রুটিন হয়েছিলো। সেগুলোও শনিবার বসে পুনরায় প্রকাশ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই পরীক্ষার আয়োজন করা হবে।

 

এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় তো খোলা ই আছে। সরকার গঠন হয়ে গেলে শিক্ষকদের ডেকে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে বলবো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটা ব্রিফিং রয়েছে সেখানে নির্দেশনা প্রদান করা হলে সে মোতাবেক আমরা আগাবো। আশাকরি আগামীকাল সকালেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।