ঢাকা ০৩:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বর্ণিল আয়োজনে ইবিতে ৫২ তম বিজয় দিবস উদযাপন

ওয়াসিফ আল আবরার, ইবি

বর্ণিল আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য ও বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উদযাপিত হয়েছে।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে প্রশাসন ভবন চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুইদিন প্রধান ফটক, প্রশাসন ভবন, মুক্ত বাংলা ও ভিসি বাংলো বর্ণিল আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়।

কর্মসূচির শুরুতে প্রশাসন ভবন চত্বরে বিএনসিসি কর্তৃক প্রদত্ত গার্ড অব অনারসহ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। একই সময়ে হলসমূহে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন স্ব স্ব হলের প্রভোস্টবৃন্দ। এরপর প্রশাসন ভবনের সামনের চত্বরে’ আনন্দের প্রতীক বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপি কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য। এ সময় তার সাথে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো: আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান।

এরপর প্রশাসনের নেতৃবৃন্দ, সকল অনুষদের ডিনবৃন্দসহ, হল, বিভাগ এবং সকল পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রী, বিভিন্ন সমিতি, বিভিন্ন পরিষদ ও ফোরাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক, সর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে এক আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘মুক্ত বাংলা’য়’ সমবেত হয়। শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘মুক্ত বাংলা’ তে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম এবং প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং তাঁদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মোনাজাতের পর স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম।

পরবর্তীতে বেলা সাড়ে ১১ টায় বিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে মহান বিজয় দিবস ২০২৩ উপলক্ষে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং ছাত্র হলসমূহের মধ্যে প্রীতি ভলিবল এবং মহিলা শিক্ষক,কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মধ্যে পিলো পাসিং প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ. এম. আলী হাসান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে। জন্মের পর থেকে অনেক উত্থান পতন হয়েছে। এই উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করুক এবং সেই আদলেই নিজেদের তৈরী করুক। তরুণ প্রজন্ম যদি এগিয়ে আসে তাহলে আমরা এই উন্নয়নের পথে আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবো।

তিনি আরো বলেন, তলাবিহীন বাংলাদেশ থেকে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল, আজকে বিশ্বের পঁয়ত্রিশ তম অর্থনীতির দেশ। এটাই আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ। আজকের বিজয় দিবসে যুবসমাজের প্রতি আহবান থাকবে তারা যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে এই বাংলাদেশকে আরো অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যায়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
১৬৯ বার পড়া হয়েছে

বর্ণিল আয়োজনে ইবিতে ৫২ তম বিজয় দিবস উদযাপন

আপডেট সময় ০৮:০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩

বর্ণিল আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য ও বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উদযাপিত হয়েছে।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে প্রশাসন ভবন চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুইদিন প্রধান ফটক, প্রশাসন ভবন, মুক্ত বাংলা ও ভিসি বাংলো বর্ণিল আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়।

কর্মসূচির শুরুতে প্রশাসন ভবন চত্বরে বিএনসিসি কর্তৃক প্রদত্ত গার্ড অব অনারসহ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। একই সময়ে হলসমূহে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন স্ব স্ব হলের প্রভোস্টবৃন্দ। এরপর প্রশাসন ভবনের সামনের চত্বরে’ আনন্দের প্রতীক বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপি কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য। এ সময় তার সাথে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো: আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান।

এরপর প্রশাসনের নেতৃবৃন্দ, সকল অনুষদের ডিনবৃন্দসহ, হল, বিভাগ এবং সকল পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রী, বিভিন্ন সমিতি, বিভিন্ন পরিষদ ও ফোরাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক, সর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে এক আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘মুক্ত বাংলা’য়’ সমবেত হয়। শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘মুক্ত বাংলা’ তে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম এবং প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং তাঁদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মোনাজাতের পর স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম।

পরবর্তীতে বেলা সাড়ে ১১ টায় বিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে মহান বিজয় দিবস ২০২৩ উপলক্ষে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং ছাত্র হলসমূহের মধ্যে প্রীতি ভলিবল এবং মহিলা শিক্ষক,কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মধ্যে পিলো পাসিং প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ. এম. আলী হাসান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে। জন্মের পর থেকে অনেক উত্থান পতন হয়েছে। এই উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করুক এবং সেই আদলেই নিজেদের তৈরী করুক। তরুণ প্রজন্ম যদি এগিয়ে আসে তাহলে আমরা এই উন্নয়নের পথে আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবো।

তিনি আরো বলেন, তলাবিহীন বাংলাদেশ থেকে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল, আজকে বিশ্বের পঁয়ত্রিশ তম অর্থনীতির দেশ। এটাই আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ। আজকের বিজয় দিবসে যুবসমাজের প্রতি আহবান থাকবে তারা যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে এই বাংলাদেশকে আরো অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যায়।