ঢাকা ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে মর্টার হামলা

নিজস্ব সংবাদ

ইরাকের রাজধানী বাগদাদের অত্যন্ত সুরক্ষিত গ্রিন জোনের ভেতরে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে পর পর সাতটি মর্টার হামলা হয়েছে। শুক্রবার ভোরের দিকে সংঘটিত এই হামলাকে বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় হামলা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।

মার্কিন সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, শুক্রবার ভোররাতে দূতাবাসের ভেতরে ও বাইরে আনুমানিক সাতটি মর্টার শেল আঘাত হানে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার আরও অন্তত পাঁচবার ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীকে রকেট ও ড্রোন দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর পৃথক ঘাঁটিগুলোতে তিনবার ও ইরাকে বাগদাদের পশ্চিমে আইন আল-আসাদ বিমান ঘাঁটিতে দুইবার হামলা হয়েছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এসব হামলায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দেওয়ার পর থেকেই ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা ঘটনা বেড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এসব হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানিকে ফোন করে এসব হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এসব হামলার জন্য ইরানের মিত্র ইরাকি সশস্ত্র গোষ্ঠী কাতাইব হিজবুল্লাহ ও হরকত হিজবুল্লাহ আল নুজাবাকে দায়ী করেছেন।

পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অস্টিন সুদানীকে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেখানোর অধিকার রাখে।’

ইরাক ও সিরিয়ার কোনো গোষ্ঠী এসব হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে মার্কিন বাহিনীর ওপর এর আগে হামলার দায় স্বীকার করেছিল ইরাকে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ারা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩
২০৫ বার পড়া হয়েছে

বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে মর্টার হামলা

আপডেট সময় ১১:০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩

ইরাকের রাজধানী বাগদাদের অত্যন্ত সুরক্ষিত গ্রিন জোনের ভেতরে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে পর পর সাতটি মর্টার হামলা হয়েছে। শুক্রবার ভোরের দিকে সংঘটিত এই হামলাকে বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় হামলা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।

মার্কিন সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, শুক্রবার ভোররাতে দূতাবাসের ভেতরে ও বাইরে আনুমানিক সাতটি মর্টার শেল আঘাত হানে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার আরও অন্তত পাঁচবার ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীকে রকেট ও ড্রোন দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর পৃথক ঘাঁটিগুলোতে তিনবার ও ইরাকে বাগদাদের পশ্চিমে আইন আল-আসাদ বিমান ঘাঁটিতে দুইবার হামলা হয়েছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এসব হামলায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দেওয়ার পর থেকেই ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা ঘটনা বেড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এসব হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানিকে ফোন করে এসব হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এসব হামলার জন্য ইরানের মিত্র ইরাকি সশস্ত্র গোষ্ঠী কাতাইব হিজবুল্লাহ ও হরকত হিজবুল্লাহ আল নুজাবাকে দায়ী করেছেন।

পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অস্টিন সুদানীকে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেখানোর অধিকার রাখে।’

ইরাক ও সিরিয়ার কোনো গোষ্ঠী এসব হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে মার্কিন বাহিনীর ওপর এর আগে হামলার দায় স্বীকার করেছিল ইরাকে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ারা।