ঢাকা ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন বিরোধী কর্মসূচিতে জনগণের সাড়া নেই- প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদ

বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন বিরোধী কর্মসূচিতে জনগণ সাড়া দিচ্ছে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোট জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। জনগণ নির্বাচনের পক্ষে, ভোট চায়।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেটে হজরত শাহজালালের (র.) এর মাজার জিয়ারত শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন।

বিএনপি-জামায়াত মানুষকে মেরে ভীতি সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচাল করতে চায় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ’তারা (বিএনপি-জামায়াত) নির্বাচন বানচাল করতে চায়। মানুষকে ভোট দিতে দেবে না। মানুষ কিন্তু ভোটের পক্ষে। মানুষ নির্বাচনের পক্ষে। মানুষ তো তাদের হরতালে সাড়া দিচ্ছে না। মানুষ বরং ভোটের মিছিলে যোগ দিচ্ছে। এরপরও আবার কেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড?’

ভোট জনগণের সাংবিধানিক অধিকার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘ভোট জনগণের অধিকার। সাংবিধানিক অধিকার। সেই ভোট জনগণে দেবে। সেই ভোট দিতে জনগণকে বাধা দেওয়া, তাদের খুন করা, এই অধিকার কারো নাই। এটা বাংলাদেশের কেউ মানবেও না। এটা যারা করবে তাদের একদিন এদেশের মানুষ উৎখাত করবে। ’

বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধে জনগণ সাড়া দেয়নি মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা তো হরতাল দিয়েছে, এদেশের মানুষ হরতাল মানেও নাই। তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। তাদের বোঝা উচিত। এদেশের মানুষ নির্বাচন চায়, ভোট দিতে চায়। ’

বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন ঠেকানোর প্রচেষ্টা সফল হবে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘তারা কোনো দিন সফল হবে না। হতে পারে না। এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে জনগণকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারে না, পারেনি। ’

তিনি বলেন, ‘তাদের (বিএনপি-জামায়াত) অভিজ্ঞতা নাই? ২০১৩ সালে পারেনি, ২০১৪ সালে পারেনি। তাহলে আবার কেন এই আগুন দিয়ে পোড়ানো। বেশ ভালোই খেলা চলছে, একজন লন্ডনে বসে হুকুম দেয় আর এখানে তার কিছু চ্যালা আছে আগুন দেয়। বাংলাদেশে এভাবে খেলা, এই দুর্বৃত্তপরায়ণতা বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেবে না। ’

বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন কর্মসূচির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা নির্বাচন করবে না, করবে না। কিন্তু আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা, আগুন দিয়ে সরকারি সম্পত্তি (ধ্বংস), সরকারি সম্পত্তি মানে কি এটা হচ্ছে জনগণের সম্পত্তি। ’

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:৫১:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
১১৩ বার পড়া হয়েছে

বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন বিরোধী কর্মসূচিতে জনগণের সাড়া নেই- প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৯:৫১:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন বিরোধী কর্মসূচিতে জনগণ সাড়া দিচ্ছে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোট জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। জনগণ নির্বাচনের পক্ষে, ভোট চায়।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেটে হজরত শাহজালালের (র.) এর মাজার জিয়ারত শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন।

বিএনপি-জামায়াত মানুষকে মেরে ভীতি সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচাল করতে চায় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ’তারা (বিএনপি-জামায়াত) নির্বাচন বানচাল করতে চায়। মানুষকে ভোট দিতে দেবে না। মানুষ কিন্তু ভোটের পক্ষে। মানুষ নির্বাচনের পক্ষে। মানুষ তো তাদের হরতালে সাড়া দিচ্ছে না। মানুষ বরং ভোটের মিছিলে যোগ দিচ্ছে। এরপরও আবার কেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড?’

ভোট জনগণের সাংবিধানিক অধিকার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘ভোট জনগণের অধিকার। সাংবিধানিক অধিকার। সেই ভোট জনগণে দেবে। সেই ভোট দিতে জনগণকে বাধা দেওয়া, তাদের খুন করা, এই অধিকার কারো নাই। এটা বাংলাদেশের কেউ মানবেও না। এটা যারা করবে তাদের একদিন এদেশের মানুষ উৎখাত করবে। ’

বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধে জনগণ সাড়া দেয়নি মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা তো হরতাল দিয়েছে, এদেশের মানুষ হরতাল মানেও নাই। তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। তাদের বোঝা উচিত। এদেশের মানুষ নির্বাচন চায়, ভোট দিতে চায়। ’

বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন ঠেকানোর প্রচেষ্টা সফল হবে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘তারা কোনো দিন সফল হবে না। হতে পারে না। এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে জনগণকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারে না, পারেনি। ’

তিনি বলেন, ‘তাদের (বিএনপি-জামায়াত) অভিজ্ঞতা নাই? ২০১৩ সালে পারেনি, ২০১৪ সালে পারেনি। তাহলে আবার কেন এই আগুন দিয়ে পোড়ানো। বেশ ভালোই খেলা চলছে, একজন লন্ডনে বসে হুকুম দেয় আর এখানে তার কিছু চ্যালা আছে আগুন দেয়। বাংলাদেশে এভাবে খেলা, এই দুর্বৃত্তপরায়ণতা বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেবে না। ’

বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন কর্মসূচির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা নির্বাচন করবে না, করবে না। কিন্তু আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা, আগুন দিয়ে সরকারি সম্পত্তি (ধ্বংস), সরকারি সম্পত্তি মানে কি এটা হচ্ছে জনগণের সম্পত্তি। ’