বিচার বিভাগের পাশাপাশি ইসির স্বাধীনতাও নিশ্চিত করেছি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতের পাশাপাশি নির্বাচন প্রক্রিয়া ও কমিশন স্বাধীন করেছি। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের বিচার বিভাগকেও স্মার্ট করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘একবিংশ শতাব্দীতে দক্ষিণ এশিয়ার সাংবিধানিক আদালত বাংলাদেশ ও ভারত থেকে শিক্ষা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সরকার বিচার বিভাগকে প্রশাসন থেকে আলাদা করেছে। এর জন্য আলাদা বাজেট বরাদ্দ করে। তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগ আগে আর্থিক বিষয়ে সরকারের ওপর নির্ভরশীল ছিল।
এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়ন করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন কমিশন আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংযুক্ত ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এটিকে (ইসি) সম্পূর্ণ স্বাধীন করেছি এবং এর জন্য আলাদা তহবিল বরাদ্দ করেছি। তার মানে আমরা ইসির স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।
সরকারপ্রধান বলেন, তার সরকার সংবিধানে একটি অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত করেছে, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে, আমি বলতে পারি, জনগণের মৌলিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, সুরক্ষিত হয়েছে।
দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আর্থ-সামাজিক উন্নতি হচ্ছে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত যদি হিসাব করেন, আজকে দেশের যে আর্থ-সামাজিক উন্নতি হচ্ছে, সেটা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই। একটা স্থিতিশীল পরিবেশ আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে এটা প্রমাণিত সত্য যে, মানুষের জীবনে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি এবং আর্থসামাজিক উন্নতি- এটা একমাত্র হতে পারে যখন মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করার সুযোগ হয়। তখন দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। আজকে জনগণের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘৭৫-এ আমার ছোট বোন আর আমি বিদেশে ছিলাম। তখন ভারতই আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল। যারা গুলি খেয়ে বেঁচে গিয়েছিল, যারা স্বজন হারা ছিল, যাদের জীবন ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, তারাও কিন্তু ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কাজেই ‘৭৫-এর পরে আমাদেরকে আশ্রয় দিয়েছিল- সেটা আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি’!
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কী চেয়েছিলেন! চেয়েছিলেন, একটি শোষণমুক্ত সমাজ গঠন করতে। বাঙালি জাতিকে ক্ষুধা-দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিয়ে একটু উন্নত জীবন দিতে। এই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েই তিনি আজীবন সংগ্রাম করেন, জেল-জুলুম-অত্যাচার সহ্য করেন। তারই নেতেৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি।